ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ  Logo দশমিনায় যুবদল নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন Logo কেরানীগঞ্জ মডেল ভূমি অফিস যেন ঘুষের আস্তানা: এসিল্যান্ড থেকে পিয়ন সবাই এক আত্মা!  Logo শেখ সোহেলের সহচর কাউট রাজু গ্রুপের তাণ্ডব: অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি Logo পদোন্নতি,বদলি. কেনাকাটায় পাহাড়সম দুর্নীতি ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে: দুদকের বিশেষ অভিযান

ইউরোপ-আমেরিকাও কিছু রোহিঙ্গা নিতে পারেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৮:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন রিপোর্ট;

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। আমরা আর পারব না। আমাদের কাছে কোনো জায়গা নেই। বড় যাঁরা মাতবর, ইউরোপ-আমেরিকা, যাঁরা আমাদের উপদেশ দেন, আদেশ করেন, তাঁরাও রোহিঙ্গাদের নিতে পারেন। তাঁদের জায়গার কোনো অভাব নেই। বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

সাগরে ভাসা একদল রোহিঙ্গাকে নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আজ শুক্রবার দুপুরে তিনি গণমাধ্যমের কাছে এ মন্তব্য করেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘অনেকের ধারণা যেহেতু নতুন একটা দ্বীপ সেখানে পানি থাকে। আর ঝড়-বৃষ্টি হলে ভাসানচর ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। অন্যরা যেহেতু বলে আমাদেরও ভয় ছিল। বড় ঝড় হলে ভাসানচর বোধ হয় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। অথচ ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ছোবল হানার পর শ-পাঁচেক জেলে ভাসানচরে আশ্রয় নিয়েছিল। এবার ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আগে আমাদের ইউরোপীয় বন্ধু দেশ ও তাদের রাষ্ট্রদূতেরা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে আমরা ওখানে রেখেছি। তাদের জন্য তারা কিছু করবে কি না। ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের নিয়ে উনারা খুব চিন্তিত। ঝড়ে যদি রোহিঙ্গারা ভেসে যায়!

তিনি জানান, ঐতিহাসিকভাবে ভাসানচরে পানির উচ্চতা ১৫ ফুটের বেশি নয়। ভাসানচরে দুটো বাঁধ আছে। প্রথমটা ১২ ফুট উঁচু আর দ্বিতীয়টি ৩৩ ফুট। রাখাইন থেকে মালয়েশিয়ায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়া রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে বাধ্য হয়ে ভাসানচরে নিয়েছে। তা ছাড়া তো কোনো বিকল্প ছিল না। কারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখনই ঝামেলা হয়, তখন সবাই বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ভাবখানা এমন আমরা যেহেতু আগে ১১ লাখ আশ্রয় দিয়েছি, বাকিগুলোকেও দিই। রোহিঙ্গা দুনিয়ার যেখানেই হবে, তাকে আপনারা সাহায্য করেন। আমরা বলেছি, আমরা আর পারব না। আমাদের কাছে কোনো জায়গা নেই। অন্যদেরও দায়িত্ব আছে। রোহিঙ্গা একা আমাদের সমস্যা নয়। বিশ্বের সমস্যা। উপকূলীয় যে দেশগুলো রয়েছে তারা নিতে পারে। কিংবা বড় যারা মাতবর, যাঁরা আমাদের উপদেশ দেন, আদেশ করেন, তাঁরাও নিতে পারে। তাঁদের জায়গার কোনো অভাব নেই।’

গত বুধবার ইউরোপের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সেদিন ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন। আমি তাকে বলেছি আপনার যদি তাদের উন্নত জীবন দেওয়ার দরদ থাকে, আপনারা নিয়ে যান কোনো অসুবিধা নেই। কাউকে আটকাব না। তাদের যেকোনো জায়গায় নিয়ে যান। এখানে থাকলে তাদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ইউরোপ-আমেরিকাও কিছু রোহিঙ্গা নিতে পারেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:৪৮:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০

অনলাইন রিপোর্ট;

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। আমরা আর পারব না। আমাদের কাছে কোনো জায়গা নেই। বড় যাঁরা মাতবর, ইউরোপ-আমেরিকা, যাঁরা আমাদের উপদেশ দেন, আদেশ করেন, তাঁরাও রোহিঙ্গাদের নিতে পারেন। তাঁদের জায়গার কোনো অভাব নেই। বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

সাগরে ভাসা একদল রোহিঙ্গাকে নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আজ শুক্রবার দুপুরে তিনি গণমাধ্যমের কাছে এ মন্তব্য করেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘অনেকের ধারণা যেহেতু নতুন একটা দ্বীপ সেখানে পানি থাকে। আর ঝড়-বৃষ্টি হলে ভাসানচর ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। অন্যরা যেহেতু বলে আমাদেরও ভয় ছিল। বড় ঝড় হলে ভাসানচর বোধ হয় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। অথচ ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ছোবল হানার পর শ-পাঁচেক জেলে ভাসানচরে আশ্রয় নিয়েছিল। এবার ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আগে আমাদের ইউরোপীয় বন্ধু দেশ ও তাদের রাষ্ট্রদূতেরা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে আমরা ওখানে রেখেছি। তাদের জন্য তারা কিছু করবে কি না। ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের নিয়ে উনারা খুব চিন্তিত। ঝড়ে যদি রোহিঙ্গারা ভেসে যায়!

তিনি জানান, ঐতিহাসিকভাবে ভাসানচরে পানির উচ্চতা ১৫ ফুটের বেশি নয়। ভাসানচরে দুটো বাঁধ আছে। প্রথমটা ১২ ফুট উঁচু আর দ্বিতীয়টি ৩৩ ফুট। রাখাইন থেকে মালয়েশিয়ায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়া রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে বাধ্য হয়ে ভাসানচরে নিয়েছে। তা ছাড়া তো কোনো বিকল্প ছিল না। কারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখনই ঝামেলা হয়, তখন সবাই বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ভাবখানা এমন আমরা যেহেতু আগে ১১ লাখ আশ্রয় দিয়েছি, বাকিগুলোকেও দিই। রোহিঙ্গা দুনিয়ার যেখানেই হবে, তাকে আপনারা সাহায্য করেন। আমরা বলেছি, আমরা আর পারব না। আমাদের কাছে কোনো জায়গা নেই। অন্যদেরও দায়িত্ব আছে। রোহিঙ্গা একা আমাদের সমস্যা নয়। বিশ্বের সমস্যা। উপকূলীয় যে দেশগুলো রয়েছে তারা নিতে পারে। কিংবা বড় যারা মাতবর, যাঁরা আমাদের উপদেশ দেন, আদেশ করেন, তাঁরাও নিতে পারে। তাঁদের জায়গার কোনো অভাব নেই।’

গত বুধবার ইউরোপের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সেদিন ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন। আমি তাকে বলেছি আপনার যদি তাদের উন্নত জীবন দেওয়ার দরদ থাকে, আপনারা নিয়ে যান কোনো অসুবিধা নেই। কাউকে আটকাব না। তাদের যেকোনো জায়গায় নিয়ে যান। এখানে থাকলে তাদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না।’