নিজস্ব প্রতিবেদক;
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস আরও এক পুলিশ সদস্যের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এই নিয়ে করোনা যুদ্ধে ১১তম পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হলো। মারা যাওয়া এ পুলিশ সদস্য হলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নায়েক মোহাম্মদ আল মামুন-রশিদ।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানী রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নায়েক মামুনকে বাঁচানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হলেও তাকে ধরে রাখা যায়নি।
সোহেল রানা বলেন, ‘দেশ ও মানুষের সেবা একটি বিরল সুযোগ। এই সুযোগটি বাংলাদেশ পুলিশের দুই লাখ দেশপ্রেমী সদস্য মনে-প্রাণে সর্বান্তকরণে কাজে লাগাচ্ছে। দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য জীবন বাজি রেখে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। ইতিমধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ (৩ হাজার ২৩৫) সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ১১ জন গর্বিত দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য আত্মত্যাগ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘এই তালিকায় ১১তম অর্থাৎ সর্বশেষ আত্মদানকারী পুলিশ সদস্য হচ্ছেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের নায়েক মো. আল মামুনুর রশিদ। তিনি ডিএমপির পরিবহন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।’
তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানায়। তিনি স্ত্রী ও দুই কন্যা রেখে গেছেন।
নায়েক আল মামুনসহ আরও যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এআইজি সোহেল রানা বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ সেবা ও সুচিকিৎসা দেয়ার যে চেষ্টা সেটা আমরা অব্যাহত রেখেছি।’
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ ব্যক্তিগত উদ্যোগে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। খোঁজখবর নেয়ার জন্য যাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদেরকে মনিটর করছেন। আক্রান্ত পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৫০০ পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়েছেন তাদের অনেকেই কর্মে যোগদান করেছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আক্রান্ত বাকি পুলিশ সদস্যরাও পুরোপুরি সুস্থ হবেন এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে পুনরায় কর্মে যোগদান করবেন।’