ঢাকা ০২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




আম্পান: প্রস্তুত ফেনীর সোনাগাজীর ৫২টি আশ্রয়কেন্দ্র

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০২০ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে। এ পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে ফেনী জেলা প্রশাসন।

ঘুর্ণিঝড়ে প্রস্তুতি বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবপর্যায়ে মিটিং সম্পন্ন হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্ধারিত স্কুলগুলো আশ্রয়কেন্দ্রের আওতায় আনা হয়েছে। নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। যথাসময়ে উপকূলীয় মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হবে। পাশাপাশি গবাদিপশু, হাস-মুরগি যতটা সম্ভব নিরাপদে সরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সম্ভাব্য দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও উপকূলে মাইকিং চলছে। আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার পানি ও খাবার ব্যবস্থা থাকবে।

এ পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় ফেনীতে সরকারি সহায়তা বরাদ্দের চিঠি পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন মো. ওয়াহিদুজজামান। বরাদ্দ প্রসঙ্গে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ১০০ টন চাল, ৪ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ফেনী জেলার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

‘আম্পান’ সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে বলে জানান উপকূলীয় সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত দেব। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবী সিপিপির টিম সব ইউনিয়নে প্রস্তুত রয়েছে। ১১টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ১০ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

প্রস্তুতির বিষয়ে অজিত দেব আরও বলেন, উপজেলার ৫৬টি সাইক্লোন শেল্টারের ব্যবহার উপযোগী ৫২টি আশ্রয়দানের প্রস্তুতি চলছে। তবে উপকূলীয় চার ইউনিয়ন চর দরবেশ, চর চান্দিয়া, সদর ও আমিরাবাদে ২৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও ৩৩টি স্কুল ঘর প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব মিলে ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়া যাবে। তবে করোনার কারণে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে সোনাগাজী পৌর এলাকায় শেল্টারেও মানুষজন সরিয়ে আনতে হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।

অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ পরিস্থিতি মোকাবিলায় দাগনভূঁঞা উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা ও করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে উপজেলা রেসপন্স কমিটির জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান জানান, ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ওয়ার্ড কমিটিকে দ্রুত সভা করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফেনীর উপ-পরিচালক তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে ফেনীতে ৯০ শতাংশ ধান কেটে ঘরে তোলা হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ ধান দুর্যোগের পরে ঘরে তোলা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আম্পান: প্রস্তুত ফেনীর সোনাগাজীর ৫২টি আশ্রয়কেন্দ্র

আপডেট সময় : ০৯:১৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০২০

অনলাইন ডেস্ক; বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে। এ পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে ফেনী জেলা প্রশাসন।

ঘুর্ণিঝড়ে প্রস্তুতি বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবপর্যায়ে মিটিং সম্পন্ন হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্ধারিত স্কুলগুলো আশ্রয়কেন্দ্রের আওতায় আনা হয়েছে। নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। যথাসময়ে উপকূলীয় মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হবে। পাশাপাশি গবাদিপশু, হাস-মুরগি যতটা সম্ভব নিরাপদে সরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সম্ভাব্য দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও উপকূলে মাইকিং চলছে। আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার পানি ও খাবার ব্যবস্থা থাকবে।

এ পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় ফেনীতে সরকারি সহায়তা বরাদ্দের চিঠি পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন মো. ওয়াহিদুজজামান। বরাদ্দ প্রসঙ্গে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ১০০ টন চাল, ৪ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ফেনী জেলার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

‘আম্পান’ সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে বলে জানান উপকূলীয় সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত দেব। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবী সিপিপির টিম সব ইউনিয়নে প্রস্তুত রয়েছে। ১১টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ১০ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

প্রস্তুতির বিষয়ে অজিত দেব আরও বলেন, উপজেলার ৫৬টি সাইক্লোন শেল্টারের ব্যবহার উপযোগী ৫২টি আশ্রয়দানের প্রস্তুতি চলছে। তবে উপকূলীয় চার ইউনিয়ন চর দরবেশ, চর চান্দিয়া, সদর ও আমিরাবাদে ২৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও ৩৩টি স্কুল ঘর প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব মিলে ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়া যাবে। তবে করোনার কারণে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে সোনাগাজী পৌর এলাকায় শেল্টারেও মানুষজন সরিয়ে আনতে হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।

অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ পরিস্থিতি মোকাবিলায় দাগনভূঁঞা উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা ও করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে উপজেলা রেসপন্স কমিটির জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান জানান, ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ওয়ার্ড কমিটিকে দ্রুত সভা করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফেনীর উপ-পরিচালক তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে ফেনীতে ৯০ শতাংশ ধান কেটে ঘরে তোলা হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ ধান দুর্যোগের পরে ঘরে তোলা যাবে।