ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




সিগারেটের ব্রান্ড জাতির জনকের পদবী “শেখ”! তামাক সেবীদের কুরুচিপূর্ণ ব্যাঙ্গ, ব্যান্ড ব্যবহারকারী কোম্পানির শাস্তি দাবী।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:১১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

হাফিজুর রহমান শফিক; বাংলার আকাশের একটা পুর্ন চাঁদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, এই বাংলায় তার প্রয়োজনীয়তা ছিলো যেন শত বছরের অতৃপ্ত চাওয়ার।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তি যে উক্তি করেছিলেন তাই শুধু যথেষ্ট নয় তার গুন প্রকাশে,

“শেখ মুজিব দৈহিকভাবেই মহাকায় ছিলেন,সাধারণ বাঙালির থেকে অনেক উচুঁতে ছিলো তার মাথাটি, সহজেই চোখে পড়তো তার উচ্চতা। একাত্তরে বাংলাদেশকে তিনিই আলোড়িত- বিস্ফোরিত করে চলেছিলেন, আর তার পাশে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে যাচ্ছিল তার সমকালীন এবং প্রাক্তন সকল বঙ্গীয় রাজনীতিবিদ। জনগণকে ভুল পথেও নিয়ে যাওয়া যায়; হিটলার মুসোলিনির মতো একনায়কেরাও জনগণকে দাবানলে, প্লাবনে, অগ্নিগিরিতে পরিণত করেছিলো, যার পরিণতি হয়েছিলো ভয়াবহ। তারা জনগণকে উন্মাদ আর মগজহীন প্রাণীতে পরিণত করেছিলো। একাত্তরের মার্চে শেখ মুজিব সৃষ্টি করেছিলো শুভ দাবানল, শুভ প্লাবন, শুভ আগ্নেয়গিরি, নতুনভাবে সৃষ্টি করেছিলেন বাঙালি মুসলমানকে, যার ফলে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম।”
–হুমায়ুন আজাদ

মুজিব হত্যার পর বাঙালীদের আর বিশ্বাস
করা যায় না,যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে l
—নোবেল বিজয়ী উইলিবান্ট।

শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ
হারাল তাদের একজন মহান নেতাকে,আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে l
—ফিদেল কাস্ট্রো।

আপোষহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব আর কুসুম কোমল হৃদয় ছিল মুজিব চরিত্রের বৈশিষ্ঠ্য l
—ইয়াসির আরাফাত।

@শেখ মুজিব নিহত হবার খবরে আমি মর্মাহত।
তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন।তার
অনন্যসাধারন সাহসিকতা এশিয়া ও
আফ্রিকার জনগনের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল।
–ইন্দিরা গান্ধী।
@ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন সমাজতন্ত্র প্রতীষ্ঠার সংগ্রামের প্রথম শহীদ।তাই তিনি অমর।
–সাদ্দাম হোসেন।

@শেখ মুজিবুর রহমান ভিয়েতনামী জনগনকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন l
— কেনেথা কাউণ্ডা।

@বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে বাঙলাদেশই শুধু এতিম
হয় নি বিশ্ববাসী হারিয়েছে একজন মহান
সন্তানকে।
– জেমসলামন্ড,ইংলিশ এম পি।

@শেখ মুজিবকে চতুর্দশ লুই য়ের
সাথে তুলনা করা যায়। জনগন তার কাছে এত প্রিয় ছিল যে লুই ইয়ের মত তিনি এ
দাবী করতে পারেন আমি ই রাষ্ট্র।
— পশ্চিম জার্মানী পত্রিকা।

সেই জাতির জনক, এদেশের মানুষের স্বাধীনতার প্রদর্শক নেতা শুধু তিনিই। তার বংশ পদবী শেখ, এই শেখ নাম টি ব্যাবহার করে এদেশের একটি শীর্ষ তামক পন্য উতপাদন কারী কোম্পানি (ঢাকা টোবাকো) তাদের উৎপাদিত সিগারেটের ব্রান্ড হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাবহার করছে। আর এই শেখ সিগারেট নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানে নাম জরিয়ে রাস্তা ঘাট, হাট বাজার, সহ দেশের সর্বত্র ঠাট্টা ও কুরুচিপূর্ণ শব্দ অহরহ শুনতে পাওয়া যায়, এমন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে সংবিধানে কঠিন শাস্তির আইন রয়েছে। হতে পারে এটা তাদের নিজস্ব কারো পদবী আবার জনপ্রিয়তা পেতে ও এই শেখ নামটি ব্যাবহার করাটা হতে পারে তাদের কৌশল। এবিষয়ে একজন সুনাগরিক হিসেবে আইন ও রাষ্ট্রের নিকট ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দারস্ত হওয়া আমার নৈতিক ও নাগরিক অধিকার।

এত কিছু রেখে সামান্য একটি তামাক/সিগারেট বিষয়ে আমি এতটা সিরিয়াস কখনোই হতাম না যদি রাস্তা ঘাটে এই শেখে শব্দটা নিয়ে বিড়ি খোড় দের ব্যাঙ্গাত্বক শব্দগুলো বছরের পর বছর ধরে আমার কানে না আসতো,,
একটা অশালীন ভাষা সব সময়ই অলিগলিতে চা’য়ের দোকানে সর্বত্র (শেখের….. আগুন দেই) উচ্চারিত। এর দায়িত্ব এড়াতে পারেন না এই ব্রান্ড ব্যাবহার করা কর্তৃপক্ষ। উচ্চারণ করার সু্যোগ দিয়েছে কোম্পানির এই পদবীর নাম ব্যবহারের কারনে। এই কারনে উক্ত কোম্পানি জাতির জনকের নাম পদবী কে অসম্মান করার মত ঘৃন্য অপরাধের পাশাপাশি কোটি মানুষকে ঠাট্টা করার সমান সুযোগ করে দিয়েছে।
এই রাষ্ট্রের স্থপতির পদবী সামান্য একটি তামাক দ্রব্যের নাম হওয়াটা খুবই ঘৃন্য ও নিম্ন মানুষিকতার পরিচয় বহন করে বলে সুশীল সমাজের অনেকেই মনে করেন। এই অপরাধে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠক, জাতির জনক, ও শত বছরের শ্রেষ্ঠ বাংঙ্গালীর পদবী বংশকে রাস্তায় ধর্ষনের সামীল বলে মনে করি! এমন কুরুচিপূর্ণ কাজের জন্য যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়ার বিষয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলিষ্ঠ দাবী জানাচ্ছি।
প্রতিবেদন এই বিষয়ে কঠিন ব্যাবস্থা গ্রহনে দাবিতে একজন নাগরিক হিসেবে সেচ্ছায় আইন ও রাষ্ট্রের দারস্ত হওয়ার সক্রিয় ইচ্ছা পোষন করছে।
(বিদ্রঃ- লেখাটি কপি ও অনুকরণ করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হইবো)

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সিগারেটের ব্রান্ড জাতির জনকের পদবী “শেখ”! তামাক সেবীদের কুরুচিপূর্ণ ব্যাঙ্গ, ব্যান্ড ব্যবহারকারী কোম্পানির শাস্তি দাবী।

আপডেট সময় : ০৫:১১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৮

হাফিজুর রহমান শফিক; বাংলার আকাশের একটা পুর্ন চাঁদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, এই বাংলায় তার প্রয়োজনীয়তা ছিলো যেন শত বছরের অতৃপ্ত চাওয়ার।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তি যে উক্তি করেছিলেন তাই শুধু যথেষ্ট নয় তার গুন প্রকাশে,

“শেখ মুজিব দৈহিকভাবেই মহাকায় ছিলেন,সাধারণ বাঙালির থেকে অনেক উচুঁতে ছিলো তার মাথাটি, সহজেই চোখে পড়তো তার উচ্চতা। একাত্তরে বাংলাদেশকে তিনিই আলোড়িত- বিস্ফোরিত করে চলেছিলেন, আর তার পাশে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে যাচ্ছিল তার সমকালীন এবং প্রাক্তন সকল বঙ্গীয় রাজনীতিবিদ। জনগণকে ভুল পথেও নিয়ে যাওয়া যায়; হিটলার মুসোলিনির মতো একনায়কেরাও জনগণকে দাবানলে, প্লাবনে, অগ্নিগিরিতে পরিণত করেছিলো, যার পরিণতি হয়েছিলো ভয়াবহ। তারা জনগণকে উন্মাদ আর মগজহীন প্রাণীতে পরিণত করেছিলো। একাত্তরের মার্চে শেখ মুজিব সৃষ্টি করেছিলো শুভ দাবানল, শুভ প্লাবন, শুভ আগ্নেয়গিরি, নতুনভাবে সৃষ্টি করেছিলেন বাঙালি মুসলমানকে, যার ফলে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম।”
–হুমায়ুন আজাদ

মুজিব হত্যার পর বাঙালীদের আর বিশ্বাস
করা যায় না,যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে l
—নোবেল বিজয়ী উইলিবান্ট।

শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ
হারাল তাদের একজন মহান নেতাকে,আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে l
—ফিদেল কাস্ট্রো।

আপোষহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব আর কুসুম কোমল হৃদয় ছিল মুজিব চরিত্রের বৈশিষ্ঠ্য l
—ইয়াসির আরাফাত।

@শেখ মুজিব নিহত হবার খবরে আমি মর্মাহত।
তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন।তার
অনন্যসাধারন সাহসিকতা এশিয়া ও
আফ্রিকার জনগনের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল।
–ইন্দিরা গান্ধী।
@ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন সমাজতন্ত্র প্রতীষ্ঠার সংগ্রামের প্রথম শহীদ।তাই তিনি অমর।
–সাদ্দাম হোসেন।

@শেখ মুজিবুর রহমান ভিয়েতনামী জনগনকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন l
— কেনেথা কাউণ্ডা।

@বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে বাঙলাদেশই শুধু এতিম
হয় নি বিশ্ববাসী হারিয়েছে একজন মহান
সন্তানকে।
– জেমসলামন্ড,ইংলিশ এম পি।

@শেখ মুজিবকে চতুর্দশ লুই য়ের
সাথে তুলনা করা যায়। জনগন তার কাছে এত প্রিয় ছিল যে লুই ইয়ের মত তিনি এ
দাবী করতে পারেন আমি ই রাষ্ট্র।
— পশ্চিম জার্মানী পত্রিকা।

সেই জাতির জনক, এদেশের মানুষের স্বাধীনতার প্রদর্শক নেতা শুধু তিনিই। তার বংশ পদবী শেখ, এই শেখ নাম টি ব্যাবহার করে এদেশের একটি শীর্ষ তামক পন্য উতপাদন কারী কোম্পানি (ঢাকা টোবাকো) তাদের উৎপাদিত সিগারেটের ব্রান্ড হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাবহার করছে। আর এই শেখ সিগারেট নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানে নাম জরিয়ে রাস্তা ঘাট, হাট বাজার, সহ দেশের সর্বত্র ঠাট্টা ও কুরুচিপূর্ণ শব্দ অহরহ শুনতে পাওয়া যায়, এমন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে সংবিধানে কঠিন শাস্তির আইন রয়েছে। হতে পারে এটা তাদের নিজস্ব কারো পদবী আবার জনপ্রিয়তা পেতে ও এই শেখ নামটি ব্যাবহার করাটা হতে পারে তাদের কৌশল। এবিষয়ে একজন সুনাগরিক হিসেবে আইন ও রাষ্ট্রের নিকট ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দারস্ত হওয়া আমার নৈতিক ও নাগরিক অধিকার।

এত কিছু রেখে সামান্য একটি তামাক/সিগারেট বিষয়ে আমি এতটা সিরিয়াস কখনোই হতাম না যদি রাস্তা ঘাটে এই শেখে শব্দটা নিয়ে বিড়ি খোড় দের ব্যাঙ্গাত্বক শব্দগুলো বছরের পর বছর ধরে আমার কানে না আসতো,,
একটা অশালীন ভাষা সব সময়ই অলিগলিতে চা’য়ের দোকানে সর্বত্র (শেখের….. আগুন দেই) উচ্চারিত। এর দায়িত্ব এড়াতে পারেন না এই ব্রান্ড ব্যাবহার করা কর্তৃপক্ষ। উচ্চারণ করার সু্যোগ দিয়েছে কোম্পানির এই পদবীর নাম ব্যবহারের কারনে। এই কারনে উক্ত কোম্পানি জাতির জনকের নাম পদবী কে অসম্মান করার মত ঘৃন্য অপরাধের পাশাপাশি কোটি মানুষকে ঠাট্টা করার সমান সুযোগ করে দিয়েছে।
এই রাষ্ট্রের স্থপতির পদবী সামান্য একটি তামাক দ্রব্যের নাম হওয়াটা খুবই ঘৃন্য ও নিম্ন মানুষিকতার পরিচয় বহন করে বলে সুশীল সমাজের অনেকেই মনে করেন। এই অপরাধে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠক, জাতির জনক, ও শত বছরের শ্রেষ্ঠ বাংঙ্গালীর পদবী বংশকে রাস্তায় ধর্ষনের সামীল বলে মনে করি! এমন কুরুচিপূর্ণ কাজের জন্য যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়ার বিষয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলিষ্ঠ দাবী জানাচ্ছি।
প্রতিবেদন এই বিষয়ে কঠিন ব্যাবস্থা গ্রহনে দাবিতে একজন নাগরিক হিসেবে সেচ্ছায় আইন ও রাষ্ট্রের দারস্ত হওয়ার সক্রিয় ইচ্ছা পোষন করছে।
(বিদ্রঃ- লেখাটি কপি ও অনুকরণ করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হইবো)