ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




জীবিতকে মৃত বানালেন নীলফামারীর সমাজসেবা কর্মকর্তা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

সৈয়দপুর প্রতিনিধি;

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে বয়স্ক, বিধবা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার সুবিধাভোগীরা তার হাতে নাজেহাল হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘুষ দিতে না পারায় বেশ কিছু জীবিত সুবিধাভোগীকে তালিকায় মৃত বলে ঘোষণা করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন এই কর্মকর্তা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১৩ হাজার ৯৫০ জন প্রতিবন্ধী, বিধবা ও বয়স্ক ভাতার সুবিধাভোগী রয়েছেন। করোনাভাইরাস মহামারি ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবার সরকারি নির্দেশনায় একসঙ্গে তিন মাসের জায়গায় ছয় মাসের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিজন প্রতিবন্ধী ৭৫০ টাকা মাসিক হারে ৬ মাসে ৪ হাজার ৫০০ টাকা, বিধবা ও বয়স্ক ভাতা মাসে ৫০০ টাকা হারে ৬ মাসে ৩ হাজার টাকা করে পাবেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এই টাকা তুলতে গিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রতিজন সুবিধাভোগীর কাছ থেকে অগ্রিম ২০০ টাকা করে নিয়েছেন। কেবল তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললে আগামীতে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। এদিকে ঘুষের সেই টাকা দিতে না পারায় বেশ কিছু সুবিধাভোগীকে জীবিত থাকা অবস্থাতেও তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে।

এমন দুজন বৃদ্ধা উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের রাহেলা বেগম (৮২) এবং ময়না রানী রায় (৭০)। এই দুই বৃদ্ধার অভিযোগ, গতকাল রোববার তারা ভাতার টাকা তুলতে গেলে ব্যাংকের লোকজন তাদের জানান, সমাজসেবা অফিস থেকে পাঠানো তালিকায় তাদেরকে মৃত দেখানো হয়েছে। তাই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বসে থাকার পর তারা খালি হাতে ফিরে গেছেন।

তবে ঘুষের টাকা দিতে না পারায় তালিকায় সুবিধাভোগীদের মৃত দেখানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘তালিকা তৈরিতে ভুল হতেই পারে। বাদপড়া ব্যক্তিরা অফিসে এসে যোগাযোগ করলেই তাদেরকে তালিকাভুক্ত করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




জীবিতকে মৃত বানালেন নীলফামারীর সমাজসেবা কর্মকর্তা!

আপডেট সময় : ১০:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০

সৈয়দপুর প্রতিনিধি;

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে বয়স্ক, বিধবা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার সুবিধাভোগীরা তার হাতে নাজেহাল হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘুষ দিতে না পারায় বেশ কিছু জীবিত সুবিধাভোগীকে তালিকায় মৃত বলে ঘোষণা করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন এই কর্মকর্তা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১৩ হাজার ৯৫০ জন প্রতিবন্ধী, বিধবা ও বয়স্ক ভাতার সুবিধাভোগী রয়েছেন। করোনাভাইরাস মহামারি ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবার সরকারি নির্দেশনায় একসঙ্গে তিন মাসের জায়গায় ছয় মাসের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিজন প্রতিবন্ধী ৭৫০ টাকা মাসিক হারে ৬ মাসে ৪ হাজার ৫০০ টাকা, বিধবা ও বয়স্ক ভাতা মাসে ৫০০ টাকা হারে ৬ মাসে ৩ হাজার টাকা করে পাবেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এই টাকা তুলতে গিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রতিজন সুবিধাভোগীর কাছ থেকে অগ্রিম ২০০ টাকা করে নিয়েছেন। কেবল তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললে আগামীতে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। এদিকে ঘুষের সেই টাকা দিতে না পারায় বেশ কিছু সুবিধাভোগীকে জীবিত থাকা অবস্থাতেও তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে।

এমন দুজন বৃদ্ধা উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের রাহেলা বেগম (৮২) এবং ময়না রানী রায় (৭০)। এই দুই বৃদ্ধার অভিযোগ, গতকাল রোববার তারা ভাতার টাকা তুলতে গেলে ব্যাংকের লোকজন তাদের জানান, সমাজসেবা অফিস থেকে পাঠানো তালিকায় তাদেরকে মৃত দেখানো হয়েছে। তাই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বসে থাকার পর তারা খালি হাতে ফিরে গেছেন।

তবে ঘুষের টাকা দিতে না পারায় তালিকায় সুবিধাভোগীদের মৃত দেখানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘তালিকা তৈরিতে ভুল হতেই পারে। বাদপড়া ব্যক্তিরা অফিসে এসে যোগাযোগ করলেই তাদেরকে তালিকাভুক্ত করা হবে।’