ভূরুঙ্গামারী সোনাহাট স্থলবন্দরে মাদক ব্যবসায়ীর সন্ত্রাসী তান্ডবে অতিষ্ট এলাকাবাসী
- আপডেট সময় : ০৬:২০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
আজিজুল হক, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম); ভূরুঙ্গামারী-সোনাহাট সড়কের সম্প্রসারণ কাজের বালু সরবরাহকারী কাছে দুস্কৃতিকারীর চাঁদা দাবীকে কেন্দ্র করে ঠিকাদার পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ব্যাপারে গনাইয়েরকুটি গ্রামের সরবরাহকারী আহত সুলতান মোল্লা বাদী হয়ে বানুরকুটি গ্রামের অভিযুক্ত চাঁদাবাজ মিজানুর রহমান মিজু (৪৬),রন্জু মিয়া ও রিপন মিয়া গং এর বিরুদ্ধে ভূরুঙ্গামারী থানায় ১৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং- ০৮ তারিখ-১৭মে/২০।
অভিযোগে প্রকাশ, সুলতান ও তার সহকমর্ী জাহাঙগীর আলম হ্যাপী সহ বালুর লেবারদের টাকা পরিশোধ করতে গেলে অভিযুক্ত মিজু সুলতানের নিকট মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবী করলে চাঁদা দিতে রাজী না হওয়ায় বাগবিতন্ডার এক পযার্য়ে মিজু তার লোকজন নিয়ে হামলা করে। এতে গুরুতর আহত হয় সুলতান, মাঈদুল, হ্যাপী ও সাইফুর সহ বেশ কয়েকজন। আহত সুলতান জানায়,মিজুর হাতে থাকা বেকী দ্বারা আমার মাথায় স্বজরে কোপ দিলে আমি মাঠিতে পড়ে গেলে আমার সঙ্গে থাকা ৫০ হাজার ৫শত টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ২০/০৩/২০১৮ইং তারিখে গাড়ি সাইট করাকে কেন্দ্র করে সোনাহাট ক্যাম্পের মোড় নামক স্থানে মাদক সম্রাট ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মিজু ও তার নেশাগ্রস্থ দুই ভাতিজা সুজন ও সুমনকে সাথে নিয়ে কুড়িগ্রাম পাটেশ্বরী (ভোগডাঙ্গা) নামক এলাকার আঃ সাত্তারের ছেলে শাহ আলম ট্রাক ড্রাইভারকে লোহার রড দিয়ে বেদম প্রহার করে দাঁতের উপরের পাটির তিনটি দাঁত ভেঙ্গে একদম মাটিতে ফেলে দেয়। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উক্ত ট্রাক ড্রাইভারকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে হাসপাতাল কতর্ৃপক্ষ রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছিলেন। এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা হয়েছে যার নম্বর ১৬/১৮। স্থানীয় সুত্রে আরও জানা গেছে, মিজু ও তার বড় ভাই আমিনুর ও পুরো পরিবার ইয়াবা, মাদক, গাঁজা, মদসহ সব ধরণের নেশা জাতীয় ব্যবসার সাথে জরিত । গত ১৯ জুলাই/১৭ ইং তারিখে সোনাহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে থানা পুলিশ উক্ত আমিনুরকে ১০ পিচ ইয়াবাসহ আটক করে যার মামলা নং-১৯/২০১৭।
মাদকের ব্যবসা করে মিজু ছিচকে চোর থেকে কোটিপতি, এছাড়াও ভূমিদস্যু হিসেবেও খ্যাত । তার নানা অপকর্মের ফসল থেকে ৫তলা ভবনসহ বিলাস বহুল তিনটি বাড়ি ও টাকার পাহাড় গড়েছে খুব অল্প সময়ে। তার অপকর্মের একাধিক শিরোনামে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও মিজু অদৃশ্য শক্তির কারণে প্রতিবারেই ধরাছেঁায়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এছাড়াও মিজুর নামে জমাজমি সহ প্রায় বিভিন্ন ৫টি মামলা হয়েছে যা কিছু চলমান যার নং জি,আর-০৪/১৬০(ভূরুঙ্গা)তাং-৯ ডিসেম্বর/১৩ ইং, সি আর ১৪৯/১৩(ভূরুঙ্গা)তাং-১৯ডিসেম্বর/১৩ইং।
সি আর ১৪৮/১৩(ভূরুঙ্গা)তাং-১৯ডিসেম্বর/১৩ইং, জি,আর-৮৬/১৭(ভূরুঙ্গা)তাং-২মে/১৭ ইং, জি,আর-১৬/১৮ এমতাবস্থায়, কর্তৃপক্ষের নিকট ভূক্তভোগী জনগণ শীর্ষ সন্ত্রাসী মিজু ও তার দুস্কৃতিকারী ভাই ভাতিজাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করে।