ঢাকা ০৫:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্ত প্রধান প্রকৌশলীর গাড়ি চাপায় পিষ্ট সহকারী প্রকৌশলী -উত্তাল গণপূর্ত Logo শাবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ Logo সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিনুরের সীমাহীন সম্পদ ও অনিয়ম -পর্ব-০১ Logo তামাক সেবনের আলাদা কক্ষ বানালেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী: রয়েছে দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ! Logo দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি: কালবে সর্বোচ্চ পদ দখলে রেখেছে আগস্টিন! Logo আইআইএফসি ও মার্কটেল বাংলাদেশ’র মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর পরিদর্শনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী Logo সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারে শাবি শিক্ষক সমিতি মৌন মিছিল ও কালোব্যাজ ধারণ Logo শাবিপ্রবিতে কুমিল্লা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত Logo শাবিপ্রবি কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভর্তির তিন ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন




ভূরুঙ্গামারীতে একই পরিবারে আরও দু’জন করোনায় আক্রান্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ইতোপূর্বে করোনা পজেটিভ এক ব্যক্তির পরিবারে আরো দুই সদস্য কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।
আজ (১৭মে ) ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থে‌কে প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষার ফলে  ২ জনের শরীরে কোভিড-১৯ সনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
গত ৭ মে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খামার পত্র নবীশ গ্রামের আসমা খাতুন নামের মহিলার শরীরে কোভিট-১৯ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ওই দিন রাতেই উপজেলা প্রশাসন আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ী লক ডাউন করে দেয়। এরপর পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গত কাল রাতে রংপুর পিসিআর ল্যাব থেকে নমুনা পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলে উক্ত পরিবারের আরো দুই জন সদস্যের শরীরে এই ভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে একজন মহিলা। তার বয়স ৫০ বছর। তিনি পূর্বে আক্রান্ত আসমা খাতুনের শাশুড়ি। অপর জন ১০ বছরের এক শিশু। এনিয়ে ভূরুঙ্গামারীতে করোনা আক্রান্ত হলেন  মোট ৬ ব্যক্তি।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, প্রথম ধাপে আক্রান্ত ৩ জনের পরিবারের সকল সদস্যের নমুনা নেয়া হয়েছিল। একই গ্রামের আবেদ আলী ও পাথরডুবির আশরাফুল এর পরিবারের সদস্যদের নমুনা পরিক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। আসমা খাতুনের পরিবারেরসদস্যরা আইসোলেসন বিধিনিষেধ ঠিকঠাক না মানায় বাকিরা আক্রান্ত হয়েছেন।
ডাঃ সায়েম আরো জানান, নতুন করে আক্রান্ত দুজনের মাঝেও কোন উপসর্গ নেই। তাদেরকে নিজ বাড়িতে আইসোলেটেড করে ইতোমধ্যে চিকিৎসা চালু করা হয়েছে।  তিনি বলেন, এক দিকে বাইরে থেকে করোনা ঝুঁকি নিয়ে ফেরা বিশাল জনগোষ্ঠীকে  সনাক্ত করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। অপর দিকে লোকজন স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না মোটেই। ভূরুঙ্গামারীতে  সামনের দিনগুলো আরো ভয়ানক হতে পারে বলে তিনি শংকা প্রকাশ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভূরুঙ্গামারীতে একই পরিবারে আরও দু’জন করোনায় আক্রান্ত

আপডেট সময় : ০৩:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ইতোপূর্বে করোনা পজেটিভ এক ব্যক্তির পরিবারে আরো দুই সদস্য কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।
আজ (১৭মে ) ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থে‌কে প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষার ফলে  ২ জনের শরীরে কোভিড-১৯ সনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
গত ৭ মে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খামার পত্র নবীশ গ্রামের আসমা খাতুন নামের মহিলার শরীরে কোভিট-১৯ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ওই দিন রাতেই উপজেলা প্রশাসন আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ী লক ডাউন করে দেয়। এরপর পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গত কাল রাতে রংপুর পিসিআর ল্যাব থেকে নমুনা পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলে উক্ত পরিবারের আরো দুই জন সদস্যের শরীরে এই ভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে একজন মহিলা। তার বয়স ৫০ বছর। তিনি পূর্বে আক্রান্ত আসমা খাতুনের শাশুড়ি। অপর জন ১০ বছরের এক শিশু। এনিয়ে ভূরুঙ্গামারীতে করোনা আক্রান্ত হলেন  মোট ৬ ব্যক্তি।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, প্রথম ধাপে আক্রান্ত ৩ জনের পরিবারের সকল সদস্যের নমুনা নেয়া হয়েছিল। একই গ্রামের আবেদ আলী ও পাথরডুবির আশরাফুল এর পরিবারের সদস্যদের নমুনা পরিক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। আসমা খাতুনের পরিবারেরসদস্যরা আইসোলেসন বিধিনিষেধ ঠিকঠাক না মানায় বাকিরা আক্রান্ত হয়েছেন।
ডাঃ সায়েম আরো জানান, নতুন করে আক্রান্ত দুজনের মাঝেও কোন উপসর্গ নেই। তাদেরকে নিজ বাড়িতে আইসোলেটেড করে ইতোমধ্যে চিকিৎসা চালু করা হয়েছে।  তিনি বলেন, এক দিকে বাইরে থেকে করোনা ঝুঁকি নিয়ে ফেরা বিশাল জনগোষ্ঠীকে  সনাক্ত করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। অপর দিকে লোকজন স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না মোটেই। ভূরুঙ্গামারীতে  সামনের দিনগুলো আরো ভয়ানক হতে পারে বলে তিনি শংকা প্রকাশ করেন।