ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ  Logo দশমিনায় যুবদল নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন Logo কেরানীগঞ্জ মডেল ভূমি অফিস যেন ঘুষের আস্তানা: এসিল্যান্ড থেকে পিয়ন সবাই এক আত্মা!  Logo শেখ সোহেলের সহচর কাউট রাজু গ্রুপের তাণ্ডব: অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি Logo পদোন্নতি,বদলি. কেনাকাটায় পাহাড়সম দুর্নীতি ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে: দুদকের বিশেষ অভিযান

নওগাঁয় পুলিশি নির্যাতনে এক ব্যক্তি নিহতের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০ ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় নরেশ চন্দ্র দাস (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন এএসআই মাসুদ। তিনি নওগাঁ সদর থানায় কর্মরত। নিহত নরেশ চন্দ্র দাস নওগাঁ শহরের মুন্সিপাড়ার নিমাই চন্দ্র দাসের ছেলে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের শুকুর আলী মেড়ে ডা. শাহিদার চেম্বারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের ছেলে পরেশ অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকে বাবাকে এএসআই মাসুদ তিনবার ফোন করে যেতে বলেন। বাবা বাহিরে যাননি। পরে সন্ধ্যার দিকে এএসআই মাসুদ সহ দু’তিন জন ব্যক্তি বাড়িতে এসে বাবাকে ডেকে নিয়ে যান। সন্ধ্যার দিকে ডা. শাহিদার চেম্বারের পাশে বাবা চিৎকার করছিল। এসময় স্থানীয় এক ব্যক্তি টর্চ লাইট মারলে এএসআই মাসুদ সহ কয়েকজনকে থানার দিকে দৌড়ে যেতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা এসে দেখেন বাবা অচেতন অবস্থায় সেখানে পড়ে আছে। এরপর তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাবা আগে থেকেই হার্ডের রোগী ছিলেন।

নিহতের স্ত্রী রিতা রানী বলেন, মানুষ যতই অপরাধ করুক না কেন তাকে তো পিটিয়ে মেরে ফেলার কোন অধিকার কারো নাই। স্বামীকে পিটিয়ে মেরে ফেলায় ওই অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন তিনি।

অভিযুক্ত এএসআই মাসুদ বলেন, আমি যে নরেশ চন্দ্র দাসকে ফোন করেছি, ফোন ট্যাগ করলেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। তবে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসা বা পিটিয়ে মেরে ফেলার সাথে সম্পৃক্ত নয় বলে দাবী করেন তিনি।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেনে বলেন, আমরা প্রকৃত ঘটনাটি জানার চেষ্টা করছি। এ ঘটনার সাথে যদি কোন পুলিশ সদস্য জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মুনির আলী আকন্দ বলেন, পুলিশি নির্যাতনের বিষয় ছিল কিনা তা জানিনা। তবে বাহিরে মারা যাওয়া এক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। আগামীকাল (সোমবার) ময়নাতদন্তের পর কিভাবে মারা গেছে সে বিষয়টি জানা যাবে।

জানাগেছে, নরেশ চন্দ্র দাস এক সময় মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে মুদি দোকান করে সংসার চলে। তবে তার বিরুদ্ধে ৬টি মাদক মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নওগাঁয় পুলিশি নির্যাতনে এক ব্যক্তি নিহতের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৩:১৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় নরেশ চন্দ্র দাস (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন এএসআই মাসুদ। তিনি নওগাঁ সদর থানায় কর্মরত। নিহত নরেশ চন্দ্র দাস নওগাঁ শহরের মুন্সিপাড়ার নিমাই চন্দ্র দাসের ছেলে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের শুকুর আলী মেড়ে ডা. শাহিদার চেম্বারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের ছেলে পরেশ অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকে বাবাকে এএসআই মাসুদ তিনবার ফোন করে যেতে বলেন। বাবা বাহিরে যাননি। পরে সন্ধ্যার দিকে এএসআই মাসুদ সহ দু’তিন জন ব্যক্তি বাড়িতে এসে বাবাকে ডেকে নিয়ে যান। সন্ধ্যার দিকে ডা. শাহিদার চেম্বারের পাশে বাবা চিৎকার করছিল। এসময় স্থানীয় এক ব্যক্তি টর্চ লাইট মারলে এএসআই মাসুদ সহ কয়েকজনকে থানার দিকে দৌড়ে যেতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা এসে দেখেন বাবা অচেতন অবস্থায় সেখানে পড়ে আছে। এরপর তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাবা আগে থেকেই হার্ডের রোগী ছিলেন।

নিহতের স্ত্রী রিতা রানী বলেন, মানুষ যতই অপরাধ করুক না কেন তাকে তো পিটিয়ে মেরে ফেলার কোন অধিকার কারো নাই। স্বামীকে পিটিয়ে মেরে ফেলায় ওই অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন তিনি।

অভিযুক্ত এএসআই মাসুদ বলেন, আমি যে নরেশ চন্দ্র দাসকে ফোন করেছি, ফোন ট্যাগ করলেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। তবে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসা বা পিটিয়ে মেরে ফেলার সাথে সম্পৃক্ত নয় বলে দাবী করেন তিনি।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেনে বলেন, আমরা প্রকৃত ঘটনাটি জানার চেষ্টা করছি। এ ঘটনার সাথে যদি কোন পুলিশ সদস্য জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মুনির আলী আকন্দ বলেন, পুলিশি নির্যাতনের বিষয় ছিল কিনা তা জানিনা। তবে বাহিরে মারা যাওয়া এক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। আগামীকাল (সোমবার) ময়নাতদন্তের পর কিভাবে মারা গেছে সে বিষয়টি জানা যাবে।

জানাগেছে, নরেশ চন্দ্র দাস এক সময় মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে মুদি দোকান করে সংসার চলে। তবে তার বিরুদ্ধে ৬টি মাদক মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।