মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ নিয়ন্ত্রন,করোনা সংক্রামণ এড়াতে, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ যানবাহনের চলাচল ঠেকাতে কঠোর হয়েছে পুলিশ প্রশাসন । তারই অংশ হিসেবে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের প্রায় ৩৩ কিলোমিটার আগে মানিকগঞ্জের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে আটকে দেয়া হচ্ছে পাটুরিয়াগামী যাত্রী বহনকারী সকল প্রকারের যানবাহন। শুধুমাত্র ওষুধ ও জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
রোববার (১০ মে) সকাল থেকে ওই ব্যারিকেড বসানো হয়। আগে থেকে মানুষ না জানার ফলে বিপুল সংখ্যক গাড়ি এসে সেখানে আটকা পড়ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ওইসব গাড়িগুলোকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তবে, এরপরও চেকপোস্ট এলাকা পায়ে হেঁটে ফের মোটরসাইকেল বা অটোরিকশা করে গন্তব্যে যাচ্ছে অনেকেই।
ঢাকা আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বাধীন জেলা পুলিশের সমন্বয়ে বসে এই চেকপোস্ট। মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান বলেন, করোনা সংক্রামন ঠেকাতে এই ব্যবস্থা। সকাল থেকেই গোলড়া বাসস্ট্যান্ডে চেক-পোস্টে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ছুটে আসছে। সেসব গাড়িদেরকে আটকে
দেয়া হচ্ছে এবং সেগুলোকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
তবে, জরুরি পণ্যবোঝাই ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়িগুলোকে যেতে দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনা করে ঈদ পর্যন্ত এই অভিযান চলমান থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সকলকে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় না আসার জন্যও অনুরোধ করেন তিনি।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কদিয়ে কোনও যাত্রীবাহী গাড়িকে ঢাকা থেকে আসতে দেয়া হবে না। জেলারঅভ্যন্তরের উপজেলাগুলোতেও এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এদিকে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর গাড়িগুলো পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া নৌপথ পাড়ি দিয়ে ঢাকার দিকে যেতে দেয়া হচ্ছে।
বিআইডবিøউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, রোববার (১৭ মে) সকাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী প্রাইভেটকার ও লোকাল যাত্রীর চাপ বাড়তে শুরু করে। লোকারণ্য হয়ে যায় পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা। সকাল
থেকে দুপুর পর্যন্ত নৌ-রুটে পারাপার করা হয় কয়েকশ প্রাইভেটকার। তবে দুপুরেই সেই চাপ কমে যায়। এখন পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় লোকাল যাত্রী ও প্রাইভেটকারের কোনো চাপ নেই বলে জানান তিনি।