অনলাইন রিপোর্ট;
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনাভাইরাসের ক্ষতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষ ও অর্থনীতির জন্য ১১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যা জিডিপির ৩.৫ শতাংশ। উদ্ভূত এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় অর্থসংস্থান আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইএসডিবি) প্রেসিডেন্ট ড. বন্দর এম এইচ হাজ্জার সঙ্গে করোনার প্রভাবে মানবজাতি ও অর্থনীতির ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে তা নিয়ে টেলিকনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি মানুষের জন্য খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্প আয়ের মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
অর্থমন্ত্রী আইএসডিবি সদস্য দেশগুলোর জন্য কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে কৌশলগত প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তার জন্য আইএসডিবির প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রেসিডেন্টের গতিশীল নেতৃত্ব ও ভূমিকার প্রশংসা করেন। আইএসডিবির এ পদক্ষেপ সদস্য দেশগুলোর মানুষ ও অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ আইএসডিবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ১৯৭৪ সাল থেকে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বস্ত অংশীদার। বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আইএসডিবির সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ঢাকায় আঞ্চলিক কেন্দ্র চালু করে। বাংলাদেশে বর্তমানে বিভিন্ন খাতে আইএসডিবির সহায়তায় মোট ১১টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের হার সন্তোষজনক।
অর্থমন্ত্রী তিনটি ক্ষেত্রে আইএসডিবির সহায়তা কামনা করেন। এগুলো হলো- ১. খাদ্যনিরাপত্তা, ২. চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়তা এবং ৩. কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন ও যান্ত্রিকীকরণ।
আইএসডিবি প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত সময়োপযোগী আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের জন্য তার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ জানান।