অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদারের শোক
- আপডেট সময় : ১০:৩৬:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মে ২০২০ ৭৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় অধ্যাপক ও উপমহাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ জানিয়েছেন সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান মোঃ বাপ্পি সরদার।
সবুজ আন্দোলনের পক্ষ থেকে এক শোকবার্তায় তিনি বাপ্পি সরদার জানান, প্রফেসর আনিসুজ্জামান শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে দেশের জন্য ছিলেন আশীর্বাদস্বরুপ, এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। অনাবিল সমাজ হিতৈষী, গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল চেতনা, সুশীল বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও ব্যক্তিগত মণীষা দিয়ে তিনি নিজেকে পরিণত করেছিলেন দেশের অগ্রগণ্য পুরুষে। দেশের ক্রান্তিলগ্নে তিনি জাতিকে সঠিক পথের দিশা দেখিয়েছেন বারংবার। শিক্ষা ও সংস্কৃতি প্রসারে তাঁর রয়েছে অনবদ্য ভূমিকা। তাঁর মত একজন গুণী শিক্ষাবিদের মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
শোকবার্তায় পরিবেশ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে কাজ করা সংগঠন সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান ও তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
উল্লেখ্য, লেখক, গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত এই শিক্ষাবিদ ও লেখক ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতার পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুলে থাকাবস্থাতেই ঢাকায় সপরিবারে চলে আসেন তিনি। তিনি ভাষা আন্দোলন (১৯৫২), ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান (১৯৬৯) ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ড. কুদরাত-এ-খুদাকে প্রধান করে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে তার গবেষণা সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
ডক্টর আনিসুজ্জামান শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য একাধিক পুরস্কার লাভ করেছেন। প্রবন্ধ গবেষণায় অবদানের জন্য ১৯৭০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি থেকে প্রদত্ত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। শিক্ষায় অবদানের জন্য তাকে ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য তাকে ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পদক প্রদান করা হয়। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়।