ঢাকা ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ঘুমের ঘোরে চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তর: পাহাড় কাটছে প্রভাবশালীরা Logo রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান সাবেক ডিআইজি হাবিব? Logo বিপুর লুটেরা সহযোগী ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি গাউছ মহিউদ্দিন বহাল পিজিসিবিতে! Logo আর্থিক খাতে লুটপাটের মাস্টারমাইন্ড: কে এই প্রতারক ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম? Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’ Logo ওয়াসা প্রকৌশলী ফকরুলের আমলনামা: অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য Logo আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা




হয়তো কখনোই শতভাগ নির্মূল হবে না করোনাভাইরাস : ডব্লিউএইচও

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০২০ ১১১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক;  হতাশার খবর দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির ইমার্জেন্সি বিষয়ের পরিচালক ডা. মাইক রায়ান বলেছেন, কোভিড-19 হয়ত বিশ্ব থেকে কখনও শতভাগ নির্মূল হবে না।

তিনি বলেছেন, যে প্রতিষেধক যদি পাওয়াও যায়, তবুও এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ‘ব্যাপক প্রচেষ্টা’ চালাতে হবে।

এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে ৪৩ লাখের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় তিন লাখ মানুষ মারা গেছে।

জেনেভার ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে ডা. রায়ান বলেন, ‘এই ভাইরাসটি আমাদের জাতিগত রোগ হিসেবে আমাদের সাথেই থাকতে পারে এবং হয়তো কখনোই শতভাগ নির্মূল হবে না।’

তিনি বলেন, এইচআইভি’ও নির্মূল হয়নি। কিন্তু আমরা ওই ভাইরাসের সাথে সহাবস্থান অর্জন করতে পেরেছি।

ডা রায়ান আরও বলেন, এই ভাইরাস কবে নির্মূল হবে সেই ধারণা যে কেউ করতে পারে – তাও বিশ্বাস করতে চান না তিনি।

বর্তমানে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরির অন্তত ১০০টি প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। তবে প্রতিষেধক আবিষ্কারই যে ভাইরাসের বিলুপ্তি নিশ্চিত করে না, তা মনে করিয়ে দেন ডা রায়ান।

তিনি উল্লেখ করেন যে হামের টিকা বহুদিন আগে আবিষ্কার হলেও হাম এখনও বিলুপ্ত হয়নি পৃথিবী থেকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস অবশ্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

“এর গতিপথ আমাদের হাতে এবং এটি আমাদের সবার মাথাব্যথা। এই মহামারি থামাতে আমাদের সবার অবদান গুরুত্বপূর্ণ।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রোগতত্ববিদ মারিয়া ভ্যান কারখোভ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এই মহামারি পরিস্থিতি থেকে বের হতে আমাদের সময় লাগবে, আমাদের মানসিকভাবে এর জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তার এমন সময় এই মন্তব্য করলেন যখন বিভিন্ন দেশ পর্যায়ক্রমে তাদের লকডাউনের কড়াকড়িতে শৈথিল্য আনছে এবং আরও অনেক দেশের নেতাই তাদের নিজ নজি অর্থনীতি উন্মুক্ত করে দেয়ার চিন্তা করছে।

ডা. টেড্রোস সতর্ক করেছেন যে চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিলে দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যায়।

‘অনেক দেশই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ শিথিল করতে চাইবে। কিন্তু আমাদের সুপারিশ, এখনও যেকোনো দেশকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকা উচিত।’

ডা. রায়ান সতর্ক করেছেন, ‘অনেকেই চিন্তা করছেন লকডাউন শতভাগ কার্যকর ছিল এবং লকডাউন উঠিয়ে নিলে পরিস্থিতি ভালো হবে। এই দুইটি ধারণাই ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ।’ খবর বিবিসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




হয়তো কখনোই শতভাগ নির্মূল হবে না করোনাভাইরাস : ডব্লিউএইচও

আপডেট সময় : ০৯:৫৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক;  হতাশার খবর দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির ইমার্জেন্সি বিষয়ের পরিচালক ডা. মাইক রায়ান বলেছেন, কোভিড-19 হয়ত বিশ্ব থেকে কখনও শতভাগ নির্মূল হবে না।

তিনি বলেছেন, যে প্রতিষেধক যদি পাওয়াও যায়, তবুও এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ‘ব্যাপক প্রচেষ্টা’ চালাতে হবে।

এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে ৪৩ লাখের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় তিন লাখ মানুষ মারা গেছে।

জেনেভার ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে ডা. রায়ান বলেন, ‘এই ভাইরাসটি আমাদের জাতিগত রোগ হিসেবে আমাদের সাথেই থাকতে পারে এবং হয়তো কখনোই শতভাগ নির্মূল হবে না।’

তিনি বলেন, এইচআইভি’ও নির্মূল হয়নি। কিন্তু আমরা ওই ভাইরাসের সাথে সহাবস্থান অর্জন করতে পেরেছি।

ডা রায়ান আরও বলেন, এই ভাইরাস কবে নির্মূল হবে সেই ধারণা যে কেউ করতে পারে – তাও বিশ্বাস করতে চান না তিনি।

বর্তমানে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরির অন্তত ১০০টি প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। তবে প্রতিষেধক আবিষ্কারই যে ভাইরাসের বিলুপ্তি নিশ্চিত করে না, তা মনে করিয়ে দেন ডা রায়ান।

তিনি উল্লেখ করেন যে হামের টিকা বহুদিন আগে আবিষ্কার হলেও হাম এখনও বিলুপ্ত হয়নি পৃথিবী থেকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস অবশ্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

“এর গতিপথ আমাদের হাতে এবং এটি আমাদের সবার মাথাব্যথা। এই মহামারি থামাতে আমাদের সবার অবদান গুরুত্বপূর্ণ।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রোগতত্ববিদ মারিয়া ভ্যান কারখোভ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এই মহামারি পরিস্থিতি থেকে বের হতে আমাদের সময় লাগবে, আমাদের মানসিকভাবে এর জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তার এমন সময় এই মন্তব্য করলেন যখন বিভিন্ন দেশ পর্যায়ক্রমে তাদের লকডাউনের কড়াকড়িতে শৈথিল্য আনছে এবং আরও অনেক দেশের নেতাই তাদের নিজ নজি অর্থনীতি উন্মুক্ত করে দেয়ার চিন্তা করছে।

ডা. টেড্রোস সতর্ক করেছেন যে চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিলে দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যায়।

‘অনেক দেশই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ শিথিল করতে চাইবে। কিন্তু আমাদের সুপারিশ, এখনও যেকোনো দেশকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকা উচিত।’

ডা. রায়ান সতর্ক করেছেন, ‘অনেকেই চিন্তা করছেন লকডাউন শতভাগ কার্যকর ছিল এবং লকডাউন উঠিয়ে নিলে পরিস্থিতি ভালো হবে। এই দুইটি ধারণাই ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ।’ খবর বিবিসি।