ঢাকা ১২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




করোনায় ব্যবহৃত বর্জ্যে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৪:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০ ৬৫ বার পড়া হয়েছে

সৈয়দ আশিক রহমান; বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম জনবহুল ও দশম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সবসময় এখানকার একটি বড় সমস্যা। প্রতি বছর দেশে বর্জ্য উৎপাদন হয় ২২.৪ মিলিয়ল টন যা মাথাপিছু ১৫০ কিলোগ্রাম। এসব বর্জ্যের কারণে পরিবেশ দূষিত হওয়ার মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। শিল্প বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য, প্রাণীজ বর্জ্য এবং রাসায়নিক বর্জ্যের কারণে প্রতিনিয়ত দুষিত হচ্ছে বায়ু, পানি ও মাটি। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে মানুষের ওপর। এসব বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে জীববৈচিত্র্যের পরিবর্তন ঘটছে, জলবায়ুর ওপর বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন প্রাণীর জটিল ও কঠিন রোগ হচ্ছে। পরিবেশের ওপর জলবায়ুর প্রভাবের কারণে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত এবং খাদ্যাভাবজনিত রোগসহ নানা জটিল ও অপরিচিত রোগ বাড়ছে।

বর্জ্য অব্যবস্থাপনার জন্য পরিবেশ দূষণ ও তার বিরূপ প্রভাব শুধু বাংলাদেশের একার সমস্যা নয়, এটি এখন সারা বিশ্বের একটি বড় সমস্যা। বাংলাদেশে বায়ুদুষণের বড় কারণ সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব। বায়ু দূষণের ফলে শ্বাসতন্ত্রের নানাবিধ রোগ, যেমন, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নাক দিয়ে পানি পড়া, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, হার্ট অ্যাটাক ও ক্যান্সারসহ নানা প্রাণঘাতী রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া বর্জ্য অব্যবস্থাপনার কারণে দিন দিন মাটির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। যা ভূমিক্ষয়সহ মাটির গুণগত পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এখন দেশব্যাপী লকডাউন চলছে। ঢাকার রাস্তায় নেই ৩০ থেকে ৪০ বছরের পুরনো মিনিবাস, কালো ধোঁয়া ছড়ানো যানবাহন। সে জন্য বাতাসের মানেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণা বলছে, গত ১০ বছরের মধ্যে এখন ঢাকার বাতাসের মান সবচেয়ে ভালো। এ রকম খবর আপ্লুত করলেও বেসরকারি সংস্থা এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসডো) গবেষণা রিপোর্ট আতঙ্কিত করেছে।

তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে গত ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত একমাসে করোনা প্রতিরোধে ‘ওয়ান টাইম ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক’ বর্জ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ টন। শুধু ঢাকাতেই এসব বর্জে্যর পরিমাণ হয়েছে ৩ হাজার ৭৬ টন। এসব বর্জ্য যত্রতত্র ফেলার কারণে মাটি ও পানিতে মিশে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যার কারণে ভয়াবহ গণসংক্রমণের ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলার এরকম অভিজ্ঞতা বিশ্বব্যাপী এটিই প্রথম। ভাইরাসটি থেকে নিজেকে সুরক্ষা দিতে যে পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ব্যবহার হচ্ছে তার প্রায় সবই ‘ওয়ান টাইম ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক’ সামগ্রী। কিন্তু এসব সামগ্রীর নিরাপদ নিষ্কাশন সম্পর্কে মানুষের মাঝে স্বচ্ছ ধারণার অভাবেই মূলত এই বিশাল বর্জ্যের সৃষ্টি হয়েছে। আবার ‘ওয়ান টাইম ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক’ সম্পর্কে মানুষের মাঝে অসচেতনাও কম দায়ী নয়। কারণ আমাদের দেশে প্রতি বছর ৮৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদন হয় শুধুমাত্র ‘ওয়ান টাইম ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক’ থেকে। এই প্লাস্টিক আবার রি-সাইকেল করা যায় না বলে এগুলোর জায়গা হচ্ছে নদী নালা খাল ও বিলে। যদি এ সম্পর্কে মানুষ আগে থেকে সচেতন থাকতো তাহলে হয়তো করোনার এই মহামারির সময় এনিয়ে এতোটা ভাবার প্রয়োজন হতো না। বর্ষাকাল শুরু হতে চলেছে। প্রতিদিন করোনা প্রতিরোধে যেসব প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার করে যত্রতত্র ফেলে দেয়া হচ্ছে বর্ষার পানিতে তা সব গিয়ে শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে আরও জটিল করতে তুলছে। প্রতি বছর বর্ষাকালে প্রতিটি সিটি করপোরেশন, পৌরসভাকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে হিমশিম খেতে হয়। সেখানে নতুন করে করোনায় ব্যবহৃত এসব প্লাস্টিক সামগ্রী এক দিকে যেমন পানি নিষ্কাশনে সমস্যা তৈরি করবে, অন্য দিকে তা চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলবে শহরবাসীকে।

এসডো’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা সামগ্রীর এই বিশাল বর্জ্যের মাঝে রয়েছে পলিথিন ব্যাগ, পলিথিন হ্যান্ডগ্লাভস, সার্জিক্যাল হ্যান্ডগ্লাভস, সার্জিক্যাল মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল। এসব সামগ্রীর সঠিক পদ্ধতিতে নিষ্কাশন না হলে মাটি, পানি ও বায়ুসহ পরিবেশের ভয়াবহ দূষণ দেখা দিবে।

মেডিকেল বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা সব সময়ই আলাদা। কারণ হাসপাতালের বর্জ্য ভেজা-শুকনো সব ধরনের দ্রব্য মিশে থাকে। এগুলো অত্যন্ত ছোঁয়াচেও হয়। সেজন্য নিরাপদ জায়গায় বিশেষ ব্যবস্থায় তা পুড়িয়ে ফেলতে হয়। কিন্তু করোনায় ব্যবহৃত এসব বর্জ্য পুড়িয়ে ফেললে এর বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়া, এবং ছোঁয়াচে বায়ুবাহিত উপাদান আশেপাশের এলাকার বাতাসের মান বিপর্যস্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার যথাযথ ব্যবস্থাপনা ছাড়া সরাসরি ভাগাড়ে ফেললে ছোঁয়াচে উপাদান ও জীবাণু মাটি ও বৃষ্টির পানিতে মিশে বিভিন্ন জলাধারে গিয়ে বিষাক্ত ডোবায় পরিণত হবে।

এতে জীবাণুর ভয়াবহ বিস্তার ঘটতে পারে, যার ফলে রূপ নিতে পারে ভয়াবহ গণসংক্রমণের। তাই এসব বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনায় সরকারকে এখনোই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

 

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

লেখক: সৈয়দ আশিক রহমান

প্রধান সম্পাদক আরটিভি অনলাইন ও সিইও আরটিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




করোনায় ব্যবহৃত বর্জ্যে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

আপডেট সময় : ১১:৫৪:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০

সৈয়দ আশিক রহমান; বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম জনবহুল ও দশম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সবসময় এখানকার একটি বড় সমস্যা। প্রতি বছর দেশে বর্জ্য উৎপাদন হয় ২২.৪ মিলিয়ল টন যা মাথাপিছু ১৫০ কিলোগ্রাম। এসব বর্জ্যের কারণে পরিবেশ দূষিত হওয়ার মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। শিল্প বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য, প্রাণীজ বর্জ্য এবং রাসায়নিক বর্জ্যের কারণে প্রতিনিয়ত দুষিত হচ্ছে বায়ু, পানি ও মাটি। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে মানুষের ওপর। এসব বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে জীববৈচিত্র্যের পরিবর্তন ঘটছে, জলবায়ুর ওপর বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন প্রাণীর জটিল ও কঠিন রোগ হচ্ছে। পরিবেশের ওপর জলবায়ুর প্রভাবের কারণে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত এবং খাদ্যাভাবজনিত রোগসহ নানা জটিল ও অপরিচিত রোগ বাড়ছে।

বর্জ্য অব্যবস্থাপনার জন্য পরিবেশ দূষণ ও তার বিরূপ প্রভাব শুধু বাংলাদেশের একার সমস্যা নয়, এটি এখন সারা বিশ্বের একটি বড় সমস্যা। বাংলাদেশে বায়ুদুষণের বড় কারণ সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব। বায়ু দূষণের ফলে শ্বাসতন্ত্রের নানাবিধ রোগ, যেমন, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নাক দিয়ে পানি পড়া, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, হার্ট অ্যাটাক ও ক্যান্সারসহ নানা প্রাণঘাতী রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া বর্জ্য অব্যবস্থাপনার কারণে দিন দিন মাটির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। যা ভূমিক্ষয়সহ মাটির গুণগত পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এখন দেশব্যাপী লকডাউন চলছে। ঢাকার রাস্তায় নেই ৩০ থেকে ৪০ বছরের পুরনো মিনিবাস, কালো ধোঁয়া ছড়ানো যানবাহন। সে জন্য বাতাসের মানেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণা বলছে, গত ১০ বছরের মধ্যে এখন ঢাকার বাতাসের মান সবচেয়ে ভালো। এ রকম খবর আপ্লুত করলেও বেসরকারি সংস্থা এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসডো) গবেষণা রিপোর্ট আতঙ্কিত করেছে।

তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে গত ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত একমাসে করোনা প্রতিরোধে ‘ওয়ান টাইম ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক’ বর্জ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ টন। শুধু ঢাকাতেই এসব বর্জে্যর পরিমাণ হয়েছে ৩ হাজার ৭৬ টন। এসব বর্জ্য যত্রতত্র ফেলার কারণে মাটি ও পানিতে মিশে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যার কারণে ভয়াবহ গণসংক্রমণের ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলার এরকম অভিজ্ঞতা বিশ্বব্যাপী এটিই প্রথম। ভাইরাসটি থেকে নিজেকে সুরক্ষা দিতে যে পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ব্যবহার হচ্ছে তার প্রায় সবই ‘ওয়ান টাইম ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক’ সামগ্রী। কিন্তু এসব সামগ্রীর নিরাপদ নিষ্কাশন সম্পর্কে মানুষের মাঝে স্বচ্ছ ধারণার অভাবেই মূলত এই বিশাল বর্জ্যের সৃষ্টি হয়েছে। আবার ‘ওয়ান টাইম ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক’ সম্পর্কে মানুষের মাঝে অসচেতনাও কম দায়ী নয়। কারণ আমাদের দেশে প্রতি বছর ৮৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদন হয় শুধুমাত্র ‘ওয়ান টাইম ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক’ থেকে। এই প্লাস্টিক আবার রি-সাইকেল করা যায় না বলে এগুলোর জায়গা হচ্ছে নদী নালা খাল ও বিলে। যদি এ সম্পর্কে মানুষ আগে থেকে সচেতন থাকতো তাহলে হয়তো করোনার এই মহামারির সময় এনিয়ে এতোটা ভাবার প্রয়োজন হতো না। বর্ষাকাল শুরু হতে চলেছে। প্রতিদিন করোনা প্রতিরোধে যেসব প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার করে যত্রতত্র ফেলে দেয়া হচ্ছে বর্ষার পানিতে তা সব গিয়ে শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে আরও জটিল করতে তুলছে। প্রতি বছর বর্ষাকালে প্রতিটি সিটি করপোরেশন, পৌরসভাকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে হিমশিম খেতে হয়। সেখানে নতুন করে করোনায় ব্যবহৃত এসব প্লাস্টিক সামগ্রী এক দিকে যেমন পানি নিষ্কাশনে সমস্যা তৈরি করবে, অন্য দিকে তা চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলবে শহরবাসীকে।

এসডো’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা সামগ্রীর এই বিশাল বর্জ্যের মাঝে রয়েছে পলিথিন ব্যাগ, পলিথিন হ্যান্ডগ্লাভস, সার্জিক্যাল হ্যান্ডগ্লাভস, সার্জিক্যাল মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল। এসব সামগ্রীর সঠিক পদ্ধতিতে নিষ্কাশন না হলে মাটি, পানি ও বায়ুসহ পরিবেশের ভয়াবহ দূষণ দেখা দিবে।

মেডিকেল বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা সব সময়ই আলাদা। কারণ হাসপাতালের বর্জ্য ভেজা-শুকনো সব ধরনের দ্রব্য মিশে থাকে। এগুলো অত্যন্ত ছোঁয়াচেও হয়। সেজন্য নিরাপদ জায়গায় বিশেষ ব্যবস্থায় তা পুড়িয়ে ফেলতে হয়। কিন্তু করোনায় ব্যবহৃত এসব বর্জ্য পুড়িয়ে ফেললে এর বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়া, এবং ছোঁয়াচে বায়ুবাহিত উপাদান আশেপাশের এলাকার বাতাসের মান বিপর্যস্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার যথাযথ ব্যবস্থাপনা ছাড়া সরাসরি ভাগাড়ে ফেললে ছোঁয়াচে উপাদান ও জীবাণু মাটি ও বৃষ্টির পানিতে মিশে বিভিন্ন জলাধারে গিয়ে বিষাক্ত ডোবায় পরিণত হবে।

এতে জীবাণুর ভয়াবহ বিস্তার ঘটতে পারে, যার ফলে রূপ নিতে পারে ভয়াবহ গণসংক্রমণের। তাই এসব বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনায় সরকারকে এখনোই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

 

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

লেখক: সৈয়দ আশিক রহমান

প্রধান সম্পাদক আরটিভি অনলাইন ও সিইও আরটিভি