ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




খুলনায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০ ৫৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; খুলনা মহানগরীতে সুপেয় পানির সংকট তীব্র আকার নিয়েছে।মধুমতি নদীর পানিতে লবনাক্ততা দেখা দেয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।ওয়াসা মধুমতি নদি থেকে পানি সংগ্রহ করে। এ অবস্থায় নদীর পানির লবনাক্ততা কমাতে পারলে সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চায় ওয়াসা।এ কারণে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে মধুমতি নদী থেকে পানি এনে পরিশোধন ও বিতরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সংস্থাটি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা।কিন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের এক বছর যেতে না যেতেই দেখা দিয়েছে পানিতে লবনাক্ততা। তাতে প্রকল্পের ভবিষৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘ গবেষণার পর ওই সময় যে তথ্য পাওয়া যায়, সে অনুযায়ী মধুমতি নদী মোল্লার হাট এলাকায় সবচেয়ে নিরাপদ।’

খুলনা মহনগরীতে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষের বসবাস। এই জনগোষ্ঠীর প্রতিদিন ২৪ কোটি লিটার সুপেয় পানি সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে খুলনা ওয়াসা। সম্প্রতি ওয়াসার সরবরাহকরা পানি সমস্যা দেখা দিয়েছে।

আর পরিবেশবিদরা বলছেন, শুস্ক মৌসুমে মিষ্টি পানির প্রবাহ কমে আসায় নদীতে লবনাক্ততা বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মিষ্টি পানির প্রবাহ প্রতিহত করতে পারে নদীর লবনাক্ততা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটার এন্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের সয়েল সাইন্সের অধ্যাপক মোহাম্মদ সানাউল ইসলাম বলেন, ‘ছোট নদীগুলো মরে যাবার কারণে, ওই নদীগুলো বড় নদীতে যেভাবে পানি সরবরাহ করতো সেটা বন্ধ হয়েছে। যার ফলে আমাদের এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’

আর ওয়াসা বলছে মধুমতি নদীতে হঠাৎ করে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কমতে শুরু করেছে নদীর লবনাক্ততা। স্বল্প সময়ে এই সমস্যার সমাধানের বিষয়ে আশাবাদী ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।

খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় আগের চেয়ে পানিতে লবনের পরিমান অনেকটা কমে গেছে। কোন কোন এলাকায় কিছুটা আ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এটা স্বাভাবিক অবস্থায় চলে যাবে।’

মধুমতি নদীতে মিঠাপানির প্রবাহ বাড়িয়ে লবনাক্ততা কমানোর ওপরই জোর দিচ্ছে ওয়াসা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




খুলনায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট

আপডেট সময় : ১০:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০

অনলাইন ডেস্ক; খুলনা মহানগরীতে সুপেয় পানির সংকট তীব্র আকার নিয়েছে।মধুমতি নদীর পানিতে লবনাক্ততা দেখা দেয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।ওয়াসা মধুমতি নদি থেকে পানি সংগ্রহ করে। এ অবস্থায় নদীর পানির লবনাক্ততা কমাতে পারলে সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চায় ওয়াসা।এ কারণে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে মধুমতি নদী থেকে পানি এনে পরিশোধন ও বিতরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সংস্থাটি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা।কিন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের এক বছর যেতে না যেতেই দেখা দিয়েছে পানিতে লবনাক্ততা। তাতে প্রকল্পের ভবিষৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘ গবেষণার পর ওই সময় যে তথ্য পাওয়া যায়, সে অনুযায়ী মধুমতি নদী মোল্লার হাট এলাকায় সবচেয়ে নিরাপদ।’

খুলনা মহনগরীতে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষের বসবাস। এই জনগোষ্ঠীর প্রতিদিন ২৪ কোটি লিটার সুপেয় পানি সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে খুলনা ওয়াসা। সম্প্রতি ওয়াসার সরবরাহকরা পানি সমস্যা দেখা দিয়েছে।

আর পরিবেশবিদরা বলছেন, শুস্ক মৌসুমে মিষ্টি পানির প্রবাহ কমে আসায় নদীতে লবনাক্ততা বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মিষ্টি পানির প্রবাহ প্রতিহত করতে পারে নদীর লবনাক্ততা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটার এন্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের সয়েল সাইন্সের অধ্যাপক মোহাম্মদ সানাউল ইসলাম বলেন, ‘ছোট নদীগুলো মরে যাবার কারণে, ওই নদীগুলো বড় নদীতে যেভাবে পানি সরবরাহ করতো সেটা বন্ধ হয়েছে। যার ফলে আমাদের এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’

আর ওয়াসা বলছে মধুমতি নদীতে হঠাৎ করে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কমতে শুরু করেছে নদীর লবনাক্ততা। স্বল্প সময়ে এই সমস্যার সমাধানের বিষয়ে আশাবাদী ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।

খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় আগের চেয়ে পানিতে লবনের পরিমান অনেকটা কমে গেছে। কোন কোন এলাকায় কিছুটা আ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এটা স্বাভাবিক অবস্থায় চলে যাবে।’

মধুমতি নদীতে মিঠাপানির প্রবাহ বাড়িয়ে লবনাক্ততা কমানোর ওপরই জোর দিচ্ছে ওয়াসা।