ঢাকা ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকায় সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শফিক Logo রাজধানীর বাউনিয়ার ভূমিদস্যু খোরশেদ পরিবারের কব্জায় ভুক্তভোগীদের ভিটামাটি  Logo স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক পথচলা Logo রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানঃ  উপদেষ্টা আসিফ Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ 

খুলনায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০ ১০৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; খুলনা মহানগরীতে সুপেয় পানির সংকট তীব্র আকার নিয়েছে।মধুমতি নদীর পানিতে লবনাক্ততা দেখা দেয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।ওয়াসা মধুমতি নদি থেকে পানি সংগ্রহ করে। এ অবস্থায় নদীর পানির লবনাক্ততা কমাতে পারলে সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চায় ওয়াসা।এ কারণে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে মধুমতি নদী থেকে পানি এনে পরিশোধন ও বিতরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সংস্থাটি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা।কিন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের এক বছর যেতে না যেতেই দেখা দিয়েছে পানিতে লবনাক্ততা। তাতে প্রকল্পের ভবিষৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘ গবেষণার পর ওই সময় যে তথ্য পাওয়া যায়, সে অনুযায়ী মধুমতি নদী মোল্লার হাট এলাকায় সবচেয়ে নিরাপদ।’

খুলনা মহনগরীতে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষের বসবাস। এই জনগোষ্ঠীর প্রতিদিন ২৪ কোটি লিটার সুপেয় পানি সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে খুলনা ওয়াসা। সম্প্রতি ওয়াসার সরবরাহকরা পানি সমস্যা দেখা দিয়েছে।

আর পরিবেশবিদরা বলছেন, শুস্ক মৌসুমে মিষ্টি পানির প্রবাহ কমে আসায় নদীতে লবনাক্ততা বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মিষ্টি পানির প্রবাহ প্রতিহত করতে পারে নদীর লবনাক্ততা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটার এন্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের সয়েল সাইন্সের অধ্যাপক মোহাম্মদ সানাউল ইসলাম বলেন, ‘ছোট নদীগুলো মরে যাবার কারণে, ওই নদীগুলো বড় নদীতে যেভাবে পানি সরবরাহ করতো সেটা বন্ধ হয়েছে। যার ফলে আমাদের এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’

আর ওয়াসা বলছে মধুমতি নদীতে হঠাৎ করে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কমতে শুরু করেছে নদীর লবনাক্ততা। স্বল্প সময়ে এই সমস্যার সমাধানের বিষয়ে আশাবাদী ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।

খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় আগের চেয়ে পানিতে লবনের পরিমান অনেকটা কমে গেছে। কোন কোন এলাকায় কিছুটা আ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এটা স্বাভাবিক অবস্থায় চলে যাবে।’

মধুমতি নদীতে মিঠাপানির প্রবাহ বাড়িয়ে লবনাক্ততা কমানোর ওপরই জোর দিচ্ছে ওয়াসা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

খুলনায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট

আপডেট সময় : ১০:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০

অনলাইন ডেস্ক; খুলনা মহানগরীতে সুপেয় পানির সংকট তীব্র আকার নিয়েছে।মধুমতি নদীর পানিতে লবনাক্ততা দেখা দেয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।ওয়াসা মধুমতি নদি থেকে পানি সংগ্রহ করে। এ অবস্থায় নদীর পানির লবনাক্ততা কমাতে পারলে সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চায় ওয়াসা।এ কারণে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে মধুমতি নদী থেকে পানি এনে পরিশোধন ও বিতরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সংস্থাটি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা।কিন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের এক বছর যেতে না যেতেই দেখা দিয়েছে পানিতে লবনাক্ততা। তাতে প্রকল্পের ভবিষৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘ গবেষণার পর ওই সময় যে তথ্য পাওয়া যায়, সে অনুযায়ী মধুমতি নদী মোল্লার হাট এলাকায় সবচেয়ে নিরাপদ।’

খুলনা মহনগরীতে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষের বসবাস। এই জনগোষ্ঠীর প্রতিদিন ২৪ কোটি লিটার সুপেয় পানি সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে খুলনা ওয়াসা। সম্প্রতি ওয়াসার সরবরাহকরা পানি সমস্যা দেখা দিয়েছে।

আর পরিবেশবিদরা বলছেন, শুস্ক মৌসুমে মিষ্টি পানির প্রবাহ কমে আসায় নদীতে লবনাক্ততা বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মিষ্টি পানির প্রবাহ প্রতিহত করতে পারে নদীর লবনাক্ততা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটার এন্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের সয়েল সাইন্সের অধ্যাপক মোহাম্মদ সানাউল ইসলাম বলেন, ‘ছোট নদীগুলো মরে যাবার কারণে, ওই নদীগুলো বড় নদীতে যেভাবে পানি সরবরাহ করতো সেটা বন্ধ হয়েছে। যার ফলে আমাদের এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’

আর ওয়াসা বলছে মধুমতি নদীতে হঠাৎ করে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কমতে শুরু করেছে নদীর লবনাক্ততা। স্বল্প সময়ে এই সমস্যার সমাধানের বিষয়ে আশাবাদী ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।

খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় আগের চেয়ে পানিতে লবনের পরিমান অনেকটা কমে গেছে। কোন কোন এলাকায় কিছুটা আ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এটা স্বাভাবিক অবস্থায় চলে যাবে।’

মধুমতি নদীতে মিঠাপানির প্রবাহ বাড়িয়ে লবনাক্ততা কমানোর ওপরই জোর দিচ্ছে ওয়াসা।