পুলিশের হস্তক্ষেপে ময়মনসিংহে কৃষকের গোলায় উঠল ধান
- আপডেট সময় : ১০:৫২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ত্রিশ শতক জমি বর্গা চাষ করেছিলেন ফরুখ মিয়া। কাঠ ফাটা রোদে হারভাঙা পরিশ্রমের ফসলে চোখের সামনেই সবুজ থেকে সোনালী হয়ে উঠে। ধান ঘরে তোলার আগেই বেধে যায় বিপত্তি। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে বিরোধ চরমে যাওয়ায় পাকা ধান নষ্ট হতে শুরু করে জমিতেই। ওই অবস্থায় ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) সাখের হোসেন সিদ্দিকীর হস্তক্ষেপে ও উপস্থিতিতে কৃষক তার পাকা ধান গোলায় তোলেছে।
কেন্দুয়া উপজেলার রোয়েলবাড়ি ইউনিয়নের সরিদাকান্দা গ্রাম ও নান্দাইল উপজেলা গাঙ্গাইল ইউনিয়নের পূর্বকান্দা গ্রামের সীমান্তবর্তী জায়গায় বাড়ি ফরুখ ও মোখলেছের। মোখলেছ সরিদাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। আর ফরুখ পূর্বকান্দা গ্রামের। মোখলেছের ৩০ শতক জমি চলতি মৌসুমে বর্গা চাষ করেছিলেন ফরুখ। ফারুখের শ্রমে মাঠে ধান উৎপাদন হয়। সোনালী ধানে ভরে উঠে ক্ষেত। কিন্তু সীমান্তবর্তী দুই উপজেলার দুই গ্রামের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে ফরুখে ধান কাটায় বাধা আসে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামে বিরোধ থাকায় পুলিশ একাধীকবার সালিশ করে মীমাংসার করে দেয়। কিন্তু গত কয়েদিন আগে দুই পক্ষে বিরোধে মারামারিও হয়। এ নিয়ে গত শনিবার নান্দাইল থানায় একটি মামলা হয়েছে।
দুই পক্ষের বিরোধে জমিতে পাকা ধান নষ্ট হতে থাকে। পাকা ধান গুলো রক্ষা করতে উদ্যোগ নেন ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) সাখের হোসেন সিদ্দিকী। দুই পক্ষের সাথে আলোচনায় বসে ধান কাটার ব্যবস্থা করেন। অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার পুলিশ কর্মকর্তা নিজে ধানের জমিতে উপস্থিতি থেকে ধান কেটে কৃষকের গোলায় তোলার ব্যবস্থা করেন।
ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) সাখের হোসেন সিদ্দিকী বলেন, দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী দুই গ্রামের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিলো। এ নিয়ে মামলাও হয়েছে। পাকা ধান নষ্ট হতে থাকায় উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে ধান গুলো কাটার ব্যবস্থা করেছেন। নিজে উপস্থিত থেকে ধান জমি থেকে কেটে কৃষকের গোলায় তোলার ব্যবস্থা করেন।