ফেরিগুলোতে গায়ে গায়ে ঘেঁষেই আসছে মানুষ
- আপডেট সময় : ০৭:০৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মে ২০২০ ৬১ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি; শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের শিমুলিয়া ঘাটে আজও ঢাকামুখি দক্ষিণবঙ্গের মানুষের চাপ বেড়েছে। ফেরিগুলোতে গায়ে গায়ে ঘেঁষে আসছে মানুষ।
আজ সোমবার (১১ মে) ভোর থেকে পারাপারের অপেক্ষায় থাকে ৪ শতাধিক ছোট বড় গাড়ি। যাত্রীদের আসার পাশাপাশি যাওয়ার সংখ্যাই বেড়েছে। ১৩টি ফেরি চলছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে গাড়ির চাপ কমে গেলে ফেরির সংখ্যাও কমিয়ে দেয়া হচ্ছে।
বড় বড় শপিংমল বন্ধ রাখলেও অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা ইতোমধ্যে খুলে ফেলায় চাপ পড়েছে ঘাটে। করোনা সংক্রমণের শঙ্কা দেখা দিয়েছে ঘাট এলাকায় কর্মরত বিআইডব্লিউটিসি ও নিরাপত্তা কর্মীদের।
যাত্রীরা জানান, কর্মস্থল খুলে ফেলায় কাজে যোগ দিতে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ দীর্ঘদিন কর্মহীন হয়ে ঢাকা যাচ্ছেন কাজের সন্ধানে। একদিকে রোজা, এছাড়া সামনে ঈদ। পরিবার পরিজন নিনে খেয়ে বাঁচার তাগিদেই যাচ্ছেন ঢাকা।
বিআইডব্লিউটিসি মাওয়া সহকারী-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ জানান, আজ সোমবার ভোর থেকে ঢাকামুখি দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলা যাত্রীদের ঢল নেমেছে। পারাপারের অপেক্ষায় থাকে ৪ শতাধিক ছোট বড় গাড়ি। যাত্রীদের আসার পাশাপাশি যাওয়ার সংখ্যাই বেড়েছে। ১৩টি ফেরি চলছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে গাড়ির চাপ কমে গেলে ফেরির সংখ্যাও কমিয়ে দেয়া হচ্ছে। করোনার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
মাওয়া ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) মো. হিলাল উদ্দিন জানান, চাকরি বাঁচাতে ও জীবীকার তাগিদেই ছুটছেন ঢাকা, গাজিপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। ঘাট এলাকায় গণপরিবহন না থাকায় মোটরসাইকেল, মাইক্রবাস, পিকাপভ্যান, নসিমন, অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যান দিয়ে অনেকটা পথ ঘুরে ভেঙে ভেঙে পৌঁছতে হচ্ছে গন্তব্যে।
তিনি আরও জানান, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকা হতে আসা গাড়ি পুলিশ চেক করছে। প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে পাড় হতে দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও ট্রলার দিয়ে যেন যাত্রী পারাপার হতে না পাড়ে এ ব্যাপারে নৌ-পুলিশও কাজ করছে। এতকিছুর পরেও কমছেই না যাত্রী চাপ।