নওগাঁ প্রতিনিধি; নওগাঁর ধামইরহাটে ক্ষোভের বসে এক স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর লিঙ্গ কাটার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই অভিযুক্ত স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দেউলবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই ভুক্তভোগী স্বামী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সেলিনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, বড় ভাইকে (ভাসুর) খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর ঘুমিয়ে পড়লে এ ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়।
এ ঘটনায় আজ রোববার (১০ মে) দুপুরে ভুক্তভোগীর বড় ভাই হাফিজ উদ্দিন তার ভাইয়ের স্ত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তারা প্রায় ২০ বছর যাবৎ সংসার করছেন। তাদের তিন সন্তান রয়েছে। সাংসারিক জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় কলহ হতো। এর জের ধরে ভুক্তভোগী স্বামী শনিবার রাতের খাবার খেয়ে সাড়ে ১১টার দিকে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমানোর কিছু পর ভুক্তভোগীর স্ত্রী ক্ষোভের বসে ধারালো হাঁসুয়া দ্বারা স্বামীর লিঙ্গ কেটে দেন।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী স্বামী যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করেন। বিষয়টি জানার পর ভুক্তভোগীর বড় ভাই হাফিজ উদ্দিন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ভাইকে গুরুত্বর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে ভুক্তভোগী সেখানেই চিকিৎসাধীন।
ধামইরহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিম হাসান সরদার বলেন, ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ধামইরহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. আরাফাত ইমাম বলেন, লিঙ্গ শরীর থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়নি। তবে প্রচণ্ড জখম হয়ে রক্তপাত হয়েছে। আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে সেলাই দেয়া হয়েছে। রোগী আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ রয়েছে।