ঢাকা ০২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’ Logo ওয়াসা প্রকৌশলী ফকরুলের আমলনামা: অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য Logo আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা Logo সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ Logo স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির রাঘব বোয়াল বায়ো ট্রেড ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাব্বি লাপাত্তা




স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর লিঙ্গ কাটার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৩:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মে ২০২০ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

নওগাঁ প্রতিনিধি;  নওগাঁর ধামইরহাটে ক্ষোভের বসে এক স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর লিঙ্গ কাটার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই অভিযুক্ত স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দেউলবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই ভুক্তভোগী স্বামী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ভুক্তভোগীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সেলিনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, বড় ভাইকে (ভাসুর) খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর ঘুমিয়ে পড়লে এ ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়।

এ ঘটনায় আজ রোববার (১০ মে) দুপুরে ভুক্তভোগীর বড় ভাই হাফিজ উদ্দিন তার ভাইয়ের স্ত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তারা প্রায় ২০ বছর যাবৎ সংসার করছেন। তাদের তিন সন্তান রয়েছে। সাংসারিক জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় কলহ হতো। এর জের ধরে ভুক্তভোগী স্বামী শনিবার রাতের খাবার খেয়ে সাড়ে ১১টার দিকে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমানোর কিছু পর ভুক্তভোগীর স্ত্রী ক্ষোভের বসে ধারালো হাঁসুয়া দ্বারা স্বামীর লিঙ্গ কেটে দেন।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী স্বামী যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করেন। বিষয়টি জানার পর ভুক্তভোগীর বড় ভাই হাফিজ উদ্দিন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ভাইকে গুরুত্বর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে ভুক্তভোগী সেখানেই চিকিৎসাধীন।

ধামইরহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিম হাসান সরদার বলেন, ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ধামইরহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. আরাফাত ইমাম বলেন, লিঙ্গ শরীর থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়নি। তবে প্রচণ্ড জখম হয়ে রক্তপাত হয়েছে। আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে সেলাই দেয়া হয়েছে। রোগী আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর লিঙ্গ কাটার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৮:৩৩:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মে ২০২০

নওগাঁ প্রতিনিধি;  নওগাঁর ধামইরহাটে ক্ষোভের বসে এক স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর লিঙ্গ কাটার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই অভিযুক্ত স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দেউলবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই ভুক্তভোগী স্বামী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ভুক্তভোগীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সেলিনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, বড় ভাইকে (ভাসুর) খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর ঘুমিয়ে পড়লে এ ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়।

এ ঘটনায় আজ রোববার (১০ মে) দুপুরে ভুক্তভোগীর বড় ভাই হাফিজ উদ্দিন তার ভাইয়ের স্ত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তারা প্রায় ২০ বছর যাবৎ সংসার করছেন। তাদের তিন সন্তান রয়েছে। সাংসারিক জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় কলহ হতো। এর জের ধরে ভুক্তভোগী স্বামী শনিবার রাতের খাবার খেয়ে সাড়ে ১১টার দিকে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমানোর কিছু পর ভুক্তভোগীর স্ত্রী ক্ষোভের বসে ধারালো হাঁসুয়া দ্বারা স্বামীর লিঙ্গ কেটে দেন।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী স্বামী যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করেন। বিষয়টি জানার পর ভুক্তভোগীর বড় ভাই হাফিজ উদ্দিন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ভাইকে গুরুত্বর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে ভুক্তভোগী সেখানেই চিকিৎসাধীন।

ধামইরহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিম হাসান সরদার বলেন, ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ধামইরহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. আরাফাত ইমাম বলেন, লিঙ্গ শরীর থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়নি। তবে প্রচণ্ড জখম হয়ে রক্তপাত হয়েছে। আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে সেলাই দেয়া হয়েছে। রোগী আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ রয়েছে।