সকালের সংবাদ;
সারাদেশের মধ্যে রাজধানী ঢাকাতে এ মুহুর্তে করোনা আক্রান্ত রোগী সবচেয়ে বেশি। যাত্রাবাড়ি, রাজারবাগ, মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় রোগীর সংখ্য বারোশরও বেশি। আর ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকায় সামাজিক দুরত্বও মানা হচ্ছে না ঠিকঠাকমতো। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঝুকিঁপূর্ণ এলাকাগুলোতে কার্যকর লকডাউন ব্যবস্থা নেয়া হলে এখনো সংক্রমণের হার কমিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে।
রাজধানীর রাজারবাগ এলাকায় পুলিশ লাইনের অনেক সদস্যই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এলাকার জীবনযাত্রা যেন অনেকটাই স্বাভাবিক। যত্রতত্র ঘোরাফেরা করছেন সাধারণ মানুষ। শুরুর দিকে লকডাউন হওয়া রাজধানীর টোলারবাগের চিত্রটাও এখন অনেকটা স্বাভাবিক। মানুষ বাইরে বের মানুষ হচ্ছে নানান অজুহাতে।
আইইডিসিআরের পরিসংখ্যান বলছে, রাজারবাগে করোনা আক্রান্ত ২'শ জন, এরপরে বৃহত্তর মিরপুরে ১৭৮ জন, কাকরাইলে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৩ জন, যাত্রাবাড়িতে ১৬৯ জন, মহাখালীতে ১৪৬ জন, মুগদায় ১৪৯ জন ও মোহাম্মদপুরে ১২৬ জন। এছাড়া তেজগাঁও, লালবাগ, উত্তরা, মালিবাগ ও বাবুবাজারে করোনা আক্রান্ত রয়েছেন ৭০ এর বেশি মানুষ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঝুকিঁপূর্ণ এলাকায় লকডাউন শিথিল হলে সংক্রমণ বাড়বে নি:সন্দেহে। আইইডিসিআর ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান তাহমিনা শিরীন বলেন, আমরা এমন অনেককেই পেয়েছি যাদের কোন লক্ষণ ছিল না কিন্তু কোভিড-১৯ পজিটিভ। এমন মানুষ যখন ঘুরাফেরা করবে তাদের মাধ্যমে সংক্রমণ হওয়ার বেশি হবে। গার্মেন্টসে যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যেও এমন শংকা থাকতে পারে।
এক্ষেত্রে বেশি ঝুকিঁপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিশেষ কিছু কার্যক্রম নিতে পারে সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ডা. বে-নজীর আহমেদ বলেন, ঝুকিঁপূর্ণ এলাকাগুলোতে আমরা অন্যান্য জায়গা থেকে ডাক্তার,কর্মী এনে তাদের মধ্যে ভাইরাস আছে কি না তা পরীক্ষা করলাম। যাদের ভাইরাস আছে তাদের আলাদা করে ফেললাম। এভাবে আমরা ঝুকিঁপূর্ণ এলাকাগুলোকে ঝুকিঁমুক্ত করতে পারি।
প্রয়োজন করোনা প্রতিরোধক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাও। করোনা আক্রান্ত ঝুকিঁপূর্ণ এলাকাগুলোতে এখন লকডাউন অনেকটাই শিথিল। বিশেজ্ঞরা বলছেন বিশেষ সতর্কতার মাধ্যমে মানুষকে লকডাউন মানতে বাধ্য করতে হবে, তা না হলে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাবে।