চরফ্যাশনে মাদ্রাসা সুপারকে সন্ত্রাসী হামলা: লক্ষধিক টাকা ছিনতাই
- আপডেট সময় : ০৬:৩৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মে ২০২০ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ভোলা চরফ্যাশনে মাদ্রাজ ইউনিয়নের চর আপজাল গ্রামে এক মাদ্রাসা সুপারকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে স্থানীয় ক্যাডার বাহিনী সন্ত্রাসী হামলা করে প্রায় ২লক্ষ৫০হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
জানা যায়,মাদ্রাসা সুপার এর নাম শফি উদ্দিন। সে পুর্ব এওয়াজপুর মাজেদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপার হিসেবে কর্মরত রয়েছে। মাদ্রাসা সুপার শফি উদ্দিন মাদ্রাজ ইউনিয়নের চর আপজাল গ্রামের মৃত মমিন আলি মাজির ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,সুপার শফি উদ্দিন ৮ই মে শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ে বের হয়ে বাসায় এসে জমি ক্রয় করার জন্য প্রায় ২লক্ষ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাজারে উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।তখন স্থানীয় সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনীর সদস্য সোহেল,খোকন, বাখের, ইয়াছিন, আক্তার, শাহিন মুন্সী,শাকিল, সওকত,সাকিব ও রাকিব এসে পথে বাধা দিয়ে মাদ্রাসা সুপার শফি উদ্দিনকে বলে আপনি আপনার মাদ্রাসা এলাকায় অনৈতিক সম্পর্ক করেছেন,এখন আমাদের কে টাকা দিন। কিন্তু সন্ত্রাসীরা নির্দিষ্ট করে কোনো ভুক্তভোগী দেখাতে পারেনি। তখন শফি উদ্দিন মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে প্রচুর মারধর করে।তখন স্থানীয়রা জড়ো হয় এবং মাদ্রাসা সুপার এর ভাতিজা এমরান ও সবুজ উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে।কিন্তু সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে।মাদ্রাসা সুপার এর ভাবি চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে।পরবর্তীতে জোরপুর্বক পকেট থেকে প্রায় ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এমতাবস্থায় স্থানীয়রা আহত সকলকে চরফ্যাশন সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন।তখন সরকারী হাসপাতালে সিট না পাওয়ায় সুপারকে কতৃপক্ষের সিদ্ধন্ত মোতাবেক ফাষ্ট কেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানায়,এসব সন্ত্রাসীরা পেশি শক্তির বলে এলাকায় ভিবিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে। একাধিকবার ভিবিন্ন মামলায় জেল হাজতেও গিয়েছে এরা।এরা তাস,জুয়াসহ ভিবিন্ন কর্মকান্ডে অনেক বার বাধা দিয়েছিলো মাদ্রাসা সুপার।তার জন্যই পুর্বশত্রুতার জেরে ক্ষীপ্ত হয়ে এই সন্ত্রাসী হামলা করেন বলে দাবী স্থানীয়দের।
মাদ্রাসা সুপার শফি উদ্দিনের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও টাকা ছিনতাই হওয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সচেতন মহল।চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে সকলের মাঝে।সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি স্থানীয়মহলসহ সকলের।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার বাদি হয়ে চরফ্যাশন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অত্র মামলা প্রক্রিয়াদিন রয়েছে।