হালদায় ডলফিন হত্যার অভিযোগ, আড়াই বছরে ২৪ ডলফিনের মৃত্যু!
- আপডেট সময় : ১১:৫৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
সকালের সংবাদঃ প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ও মৎস্য অভয়ারণ্য হালদা নদীতে বিপন্ন প্রজাতির একটি ডলফিনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকাল তিনটার দিকে রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম এলাকার ছায়াচর নামক স্থান হতে ক্ষতবিক্ষত মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার নয়াহাটস্থ হালদার পাড়ে ডলফিনটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
আইডিএফ এর জুনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে হালদার স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে জানতে পারি- একটি হালদার ছায়ারচরে ক্ষতবিক্ষত একটি মৃত ডলফিন পড়ে রয়েছে। এই বিষয়টি আমরা সাথে সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ড. মনজুরুল কিবরিয়া স্যারকে অবহিত করি। তারই নির্দেশে বিকাল তিনটার দিকে মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করে আইডিএফ কার্যালয়ে নিয়ে আসি। পরে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সন্ধ্যার দিকে হালদার পাড়ে ডলফিনটি মাটি চাপা দেওয়া হয়। এসব কাজে সহযোগীতা করেন হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর, আইডিএফ-এর কর্মী মিমু দাস, স্বেচ্ছাসেবক ডিম সংগ্রহকারী রওশনগীর আলম ও ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগর।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, উদ্ধারকৃত ডলফিনটির ওজন ৫২ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। এই ডলফিনটিকে মাথা বরাবর আড়াআড়িভাবে এবং ঘাড় থেকে লেজ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য বরাবর কাটা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের এই চিহ্ন বিগত সময়ের মৃত ডলফিনগুলোর চেয়ে একটি নতুন ইংগিত বহন করে।
২০১৭ সালের সেপ্টম্বর হতে ২০২০ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত যে ২৩টি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছিল ঐসব ডলফিনের মৃত্যুর কারণ ছিল ইঞ্জিন চালিত বোট, ড্রেজারের পাকার আঘাতজনিত ও নদী দূষণ। ১৭ দিনপর ২৪ তম ডলফিনের মৃত্যুর কারণ সম্পূর্ণ ভিন্ন। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো জেলের অবৈধ জালে আটকা পরলে ডলফিনটিকে ডাঙ্গায় তোলা হয় এবং কেটে চর্বি নেয়ার চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনাটি হালদা নদীর ডলফিন সংরক্ষণের জন্য একটি অশনি সংকেত বলে মনে করি।