ঢাকা ১১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আইআইএফসি ও মার্কটেল বাংলাদেশ’র মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর পরিদর্শনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী Logo সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারে শাবি শিক্ষক সমিতি মৌন মিছিল ও কালোব্যাজ ধারণ Logo শাবিপ্রবিতে কুমিল্লা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত Logo শাবিপ্রবি কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভর্তির তিন ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন Logo শাবির গণিত সমিতির ভিপি রাহুল ও সম্পাদক রিজভী Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন




যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃত্যু ঝুঁকিতে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ও ভারতীয়রা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৫৫:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ;

যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে শেতাঙ্গদের তুলনায় বাংলাদেশিসহ এশিয়ান ও কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যায় মৃত্যু হতে পারে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভুতদের। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পরিসংখ্যান কার্যালয় এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।

যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত দুই লাখেরও বেশি। গণমাধ্যম বলছে, এ পর্যন্ত দেশটিতে ১২২ অভিবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে পরিসংখ্যানগতভাবে শেতাঙ্গদের তুলনায় বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, ভারতীয় ও মিশ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে কোভিড-নাইন্টিন এ মৃত্যুর ঝুকি বেশি। আর্থ-সামাজিক উপাদানকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করে এটা বের করা হয়েছে।

ব্রিটিশ পরিসখ্যান দপ্তর জানিয়েছে, করোনায় শেতাঙ্গদের চেয়ে ৪ দশমিক ২ গুণ কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ মারা যেতে পারে। নারীদের বেলায় এই সম্ভাবনা ৪ দশমিক ৩ গুণ বেশি। সমন্বিত মডেলে বলা হয়েছে, শেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ নারী ও পুরুষের মধ্যে করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি ১ দশমিক ৯ গুণ বেশি। মডেল অনুযায়ী বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি ১ দশমিক ৮ গুণ বেশি। ভারতীয়দের এ ঝুঁকি এক দশমিক চার এবং চীনাদের ক্ষেত্রে এ ঝুকি শূন্য দশমিক আট গুন বেশি।

এর আগেও কয়েকটি গবেষণায় যুক্তরাজ্যে শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুহার বেশি দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণায়ও দেখা গেছে, আফ্রিকান আমেরিকানরাই করোনা মৃত্যুর বেশি ঝুকিতে আছে।

করোনাভাইরাস নিয়ে তেমন সচেতন বা সতর্ক না থাকা এবং আর্থ-সামাজিক সুবিধা বঞ্চিত হওয়াসহ আরো নানা কারণ এর পেছনে কাজ করছে বলেই মনে করছেন গবেষকরা। পাশাপাশি কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গর মধ্যে স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অসমতা বিরাজ করছে তাতেই পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃত্যু ঝুঁকিতে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ও ভারতীয়রা

আপডেট সময় : ০২:৫৫:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০

সকালের সংবাদ;

যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে শেতাঙ্গদের তুলনায় বাংলাদেশিসহ এশিয়ান ও কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যায় মৃত্যু হতে পারে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভুতদের। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পরিসংখ্যান কার্যালয় এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।

যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত দুই লাখেরও বেশি। গণমাধ্যম বলছে, এ পর্যন্ত দেশটিতে ১২২ অভিবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে পরিসংখ্যানগতভাবে শেতাঙ্গদের তুলনায় বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, ভারতীয় ও মিশ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে কোভিড-নাইন্টিন এ মৃত্যুর ঝুকি বেশি। আর্থ-সামাজিক উপাদানকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করে এটা বের করা হয়েছে।

ব্রিটিশ পরিসখ্যান দপ্তর জানিয়েছে, করোনায় শেতাঙ্গদের চেয়ে ৪ দশমিক ২ গুণ কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ মারা যেতে পারে। নারীদের বেলায় এই সম্ভাবনা ৪ দশমিক ৩ গুণ বেশি। সমন্বিত মডেলে বলা হয়েছে, শেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ নারী ও পুরুষের মধ্যে করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি ১ দশমিক ৯ গুণ বেশি। মডেল অনুযায়ী বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি ১ দশমিক ৮ গুণ বেশি। ভারতীয়দের এ ঝুঁকি এক দশমিক চার এবং চীনাদের ক্ষেত্রে এ ঝুকি শূন্য দশমিক আট গুন বেশি।

এর আগেও কয়েকটি গবেষণায় যুক্তরাজ্যে শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুহার বেশি দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণায়ও দেখা গেছে, আফ্রিকান আমেরিকানরাই করোনা মৃত্যুর বেশি ঝুকিতে আছে।

করোনাভাইরাস নিয়ে তেমন সচেতন বা সতর্ক না থাকা এবং আর্থ-সামাজিক সুবিধা বঞ্চিত হওয়াসহ আরো নানা কারণ এর পেছনে কাজ করছে বলেই মনে করছেন গবেষকরা। পাশাপাশি কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গর মধ্যে স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অসমতা বিরাজ করছে তাতেই পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।