গৌরীপুর উপজেলা নির্বাচনে আলোচনায় সর্ব কনিষ্ট সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী খায়রুল বাসার
- আপডেট সময় : ০১:০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জানুয়ারী ২০১৯ ১২৬ বার পড়া হয়েছে
মজিবুর,ময়মনসিংহ:
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরব হয়ে ওঠেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা। এ উপজেলায় বিএনপির অবস্থান দৃশ্যমান না হলেও আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যে প্রচারণা ও দলীয় মনোনয়নের জন্য দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন। এর মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ সদস্য, সাংস্কৃতিক ও সংবাদকর্মী সর্ব কনিষ্ঠ সম্ভাব্য উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এইচএম খায়রুল বাসার।
স্বচ্ছ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে খায়রুল বাসার স্থানীয়ভাবে উদীচী, গৌরীপুর থিয়েটার, বাংলা মঞ্চ, সংগীত নিকেতনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবেও রয়েছে তার ব্যাপক সুনাম ও অর্জন।
জাতীয় পর্যায়ে ইয়াং বাংলা কর্তৃক জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সোস্যাল ইউনিটি ফর নার্সিং (সান) এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক তিনি।
উপজেলার মাদক, বাল্য বিবাহ, দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকার কারনে সাধারণ মানুষের তার মধ্যে গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে।
বিশেষ করে নিজ উদ্যোগে তিনি উপজেলায় ১২টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলেন। এছাড়া স্বেচ্ছায় রক্তদান, দরিদ্রদের শিক্ষা সহায়তা, স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাঘাট সংস্কার, বস্ত্রবিতরণসহ নানারকম স্বেচ্ছাসেবী কাজে এসব সংগঠনগুলোকে নিয়মিত উদ্বুদ্ধকরণের ফলে তরুণদের কাছে প্রিয় ওঠেন তিনি।
খায়রুল বাসার গৌরীপুর প্রেসক্লাবের দুইবারের নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক। মফস্বল সাংবাদিকতার সাথে প্রায় এক যুগ ধরে জড়িত থেকে বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে তিনি একজন স্বচ্ছ সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত।
ময়মনসিংহ বিভাগের একজন শ্রেষ্ট সমবায়ী হিসেবে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিঃ এর চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয় সমবায়ীদের তার ব্যক্তিগত ইমেজ রয়েছে।
সাবেক এই ছাত্রনেতা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও বিভিন্ন সময় সৃজনশীল রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন।
বিগত ইউপি নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন ও দু’টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন সৃজনশীল প্রচারণা দিয়েও সবার দৃষ্টি কাড়েন তিনি।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাংসদ নাজিম উদ্দিন আহামেদের সঙ্গে নারীদের মাঝে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে শতাধিক উঠান বৈঠক করে সাড়া ফেলেছেন তিনি।
‘আলোকিত গৌরীপুর’ গড়ার আহবান নিয়ে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষদের কাছে।
প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় হেভিওয়েট প্রার্থীদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে সর্ব কনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়ে তিনি চমক সৃষ্টি করেন। তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগে সহ-সভাপতি ও আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে সক্রিয় কর্মকান্ডে ভূমিকা পালন করে আসছেন।
ক্লিন ইমেজের এই তরুণ রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দৌঁড়ে একটা বড়ো ফেক্টর হবেন বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
খায়রুল বাসার জানান, জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি গত দুই বছরে এ উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে উন্নয়ন ও সংস্কার কাজে প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্ণীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবেন।
এলাকার উন্নয়নে অংশ নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতিকে এলাকায় আরো গতিশীল করবেন।