ঢাকা ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্ত প্রধান প্রকৌশলীর গাড়ি চাপায় পিষ্ট সহকারী প্রকৌশলী -উত্তাল গণপূর্ত Logo শাবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ Logo সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিনুরের সীমাহীন সম্পদ ও অনিয়ম -পর্ব-০১ Logo তামাক সেবনের আলাদা কক্ষ বানালেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী: রয়েছে দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ! Logo দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি: কালবে সর্বোচ্চ পদ দখলে রেখেছে আগস্টিন! Logo আইআইএফসি ও মার্কটেল বাংলাদেশ’র মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর পরিদর্শনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী Logo সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারে শাবি শিক্ষক সমিতি মৌন মিছিল ও কালোব্যাজ ধারণ Logo শাবিপ্রবিতে কুমিল্লা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত Logo শাবিপ্রবি কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভর্তির তিন ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন




ঋতুস্রাব পরীক্ষার নামে ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০ ৯৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:

ঋতুস্রাব পরীক্ষার নামে মেয়েদের অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের গুজরাটের শ্রী সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ওই কলেজে একদল ছাত্রীকে অন্তর্বাস খুলে তাদের ঋতুস্রাব চলছে কি-না তা প্রমাণ করতে বাধ্য করা হয়।

এ ঘটনার পর গার্লস ইনস্টিটিউটের হোস্টেল কর্মকর্তা এবং দুই শিক্ষকের ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে।

সহজাননন্দ গার্লস ইনস্টিটিউট পরিচালনা করে একটি হিন্দু ট্রাস্ট। যখন মেয়েদের ঋতুস্রাব চলে, তখন তাদের ছাত্রীনিবাসের রান্নাঘরে প্রবেশ করা নিষেধ বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, মোট ৬৮ জন ছাত্রীকে বাধ্য করা হয় তাদের যে ঋতুস্রাব চলছে না, তা প্রমাণ করতে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীরা জানিয়েছেন, তাদের দল বেঁধে কলেজের ক্যাম্পাস থেকে টয়লেটে হেঁটে যেতে বাধ্য করা হয়। সেখানে তাদের কাপড় খুলতে বলা হয়।

বিবিসির সঙ্গে কথা হয়েছে এমন কয়েকজন ছাত্রী জানিয়েছেন, এই বিষয়টি বাইরে প্রকাশ না করার জন্যও কলেজের কর্মকর্তারা তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এক ছাত্রী জানান, ‘১১ ফেব্রুয়ারি পুরো কলেজ ক্যাম্পাসে সবার সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। তারা একে একে আমাদের বাথরুমে নিয়ে গেছে, সেখানে আমাদের পরীক্ষা করে দেখেছে আমাদের ঋতুস্রাব চলছে কিনা।’

‘ওরা আমাদের গায়ে স্পর্শ করেনি। কিন্তু মৌখিকভাবে আমাদের এমন হেনস্থা করেছে যে আমরা আমাদের কাপড় খুলে ওদের পরীক্ষা করতে দিতে বাধ্য হয়েছি।’

কলেজের একজন কর্মচারী দর্শনা ঢোলাকিয়া বলেছেন, ‘এই মেয়েরা স্বেচ্ছায় রাজি হয়েছিল তাদের ঋতুস্রাব চলছে কিনা সেটি পরীক্ষায়। তখন কলেজের কর্মীরা তাদের পরীক্ষা করেছে। কিন্তু তাদের শরীর কেউ স্পর্শ করেনি। এই মেয়েদের ঋতুস্রাব চলছিল। তারা এর জন্য ক্ষমা চেয়েছে। এখানে মেয়েরাই দোষী। কারণ তারা মিথ্যা বলেছিল।’

ভারতের অনেক অঞ্চলে মেয়েদের ঋতুস্রাবের ব্যাপারটিকে এখনো ঘৃণার সঙ্গে দেখা হয়। যখন মেয়েদের ঋতুস্রাব চলে, তখন তাদের নোংরা বলে গণ্য করা হয়। তাদের প্রার্থনার জায়গাসহ অনেক জায়গায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ঋতুস্রাব পরীক্ষার নামে ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:৫৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

ঋতুস্রাব পরীক্ষার নামে মেয়েদের অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের গুজরাটের শ্রী সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ওই কলেজে একদল ছাত্রীকে অন্তর্বাস খুলে তাদের ঋতুস্রাব চলছে কি-না তা প্রমাণ করতে বাধ্য করা হয়।

এ ঘটনার পর গার্লস ইনস্টিটিউটের হোস্টেল কর্মকর্তা এবং দুই শিক্ষকের ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে।

সহজাননন্দ গার্লস ইনস্টিটিউট পরিচালনা করে একটি হিন্দু ট্রাস্ট। যখন মেয়েদের ঋতুস্রাব চলে, তখন তাদের ছাত্রীনিবাসের রান্নাঘরে প্রবেশ করা নিষেধ বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, মোট ৬৮ জন ছাত্রীকে বাধ্য করা হয় তাদের যে ঋতুস্রাব চলছে না, তা প্রমাণ করতে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীরা জানিয়েছেন, তাদের দল বেঁধে কলেজের ক্যাম্পাস থেকে টয়লেটে হেঁটে যেতে বাধ্য করা হয়। সেখানে তাদের কাপড় খুলতে বলা হয়।

বিবিসির সঙ্গে কথা হয়েছে এমন কয়েকজন ছাত্রী জানিয়েছেন, এই বিষয়টি বাইরে প্রকাশ না করার জন্যও কলেজের কর্মকর্তারা তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এক ছাত্রী জানান, ‘১১ ফেব্রুয়ারি পুরো কলেজ ক্যাম্পাসে সবার সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। তারা একে একে আমাদের বাথরুমে নিয়ে গেছে, সেখানে আমাদের পরীক্ষা করে দেখেছে আমাদের ঋতুস্রাব চলছে কিনা।’

‘ওরা আমাদের গায়ে স্পর্শ করেনি। কিন্তু মৌখিকভাবে আমাদের এমন হেনস্থা করেছে যে আমরা আমাদের কাপড় খুলে ওদের পরীক্ষা করতে দিতে বাধ্য হয়েছি।’

কলেজের একজন কর্মচারী দর্শনা ঢোলাকিয়া বলেছেন, ‘এই মেয়েরা স্বেচ্ছায় রাজি হয়েছিল তাদের ঋতুস্রাব চলছে কিনা সেটি পরীক্ষায়। তখন কলেজের কর্মীরা তাদের পরীক্ষা করেছে। কিন্তু তাদের শরীর কেউ স্পর্শ করেনি। এই মেয়েদের ঋতুস্রাব চলছিল। তারা এর জন্য ক্ষমা চেয়েছে। এখানে মেয়েরাই দোষী। কারণ তারা মিথ্যা বলেছিল।’

ভারতের অনেক অঞ্চলে মেয়েদের ঋতুস্রাবের ব্যাপারটিকে এখনো ঘৃণার সঙ্গে দেখা হয়। যখন মেয়েদের ঋতুস্রাব চলে, তখন তাদের নোংরা বলে গণ্য করা হয়। তাদের প্রার্থনার জায়গাসহ অনেক জায়গায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।