সাহাবউদ্দিন, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) থেকেঃ বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজার কমলগঞ্জের কালাছড়া বনে চলছে সংরক্ষিত টিলা এবং গাছগাছালি কেটে লেবু-আনারস বাগান করার মহোৎসব।
স্থানীয় প্রভাবশালী বন ভিলেজার আব্দুর জব্বার একাই দখল করে নিয়েছেন বেশ কটি পাহাড়ি টিলা। পাশাপাশি তার মেয়ের জামাইসহ তার নিকট আত্বীয়স্বজন দখল করেছেন আরো কয়েকটি টিলা। দখলকৃত পাহাড়ি ওই টিলা দখল করে টিলা কেটে আনারস-লেবু বাগান করা হচ্ছে।
অবৈধভাবে সংরক্ষিত বনের পাহাড়ি টিলা দখল করার পর টিলা কেটে আনারস-লেবু বাগান করার পাশাপাশি অনেক ভিলেজার সেখানে গড়ে তুলেছেন বসতিও।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার ২৭ জানুয়ারি সকালে স্থানীয় বন বিভাগ নিরীহ অসহায় বন ভিলেজার খুন্ডা উড়াং,উত্তম উড়াং ও রশিদ মিয়ার মাথার গোজার শেষ সম্ভল বসত ঘর ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিলেও রহস্যজনক কারনে বন বিভাগ প্রভাবশালী বন ভিলেজারদের অবৈধ আনারস ও লেবু বাগান উচ্ছদ বা দখল মুক্ত করেনি।
অভিযোগ রয়েছে প্রভাবশালী বন ভিলেজার আব্দুর জব্বার সংরক্ষিত বনের টিলা দখল করে আনারস ও লেবু বাগান করার পাশাপাশি বসতি স্থাপন করে বসতঘর ভাড়া দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী বন ভিলেজার পাহাড়ি বিশাল বিশাল টিলা দখল করে মালিক বনে যান। কিন্তু নিরীহ বন ভিলেজার জীবন বাজি রেখে বন রক্ষা করলেও তারা কখনো সংরক্ষিত বনের টিলা দখল করেননি। কিন্তু ধনে বলে বলিয়ান প্রভাবশালী বন ভিলেজাররা একের পর এক টিলা দখল করে পাহাড়ি টিলা কেটে ফলদ বাগান করে টিলার মালিক বনে গেলেও রহস্যজনক কারনে বন বিভাগ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
জানা গেছে, কালাছড়া বনে স্থানীয় কয়েকটি পরিবার কয়েক যুগ ধরে বনের পাহাড়ি টিলাভূমিতে বসবাস করছে। তারা ফরেস্ট ভিলেজার হিসাবে বনভূমি দেখাশুনা করার জন্য বন বিভাগের কাছ থেকে দুই কিয়ার,আড়াই কিয়ার হারে ভূমি বরাদ্ধ নেয়। এসব ভূমির সাথে পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন পাহাড়িটিলা ভূমি দখলে নিয়ে প্রায় শতাধিক একর উঁচুনিচু পাহাড়ি টিলা ভূমিতে বিভিন্ন ধরনের বাগানসহ নতুন নতুন বাড়িঘর গড়ে তুলছেন।
এসব টিলার বনজঙ্গল ও গাছগাছালি কেটে চাষাবাদের জন্য সম্পূর্ণ সাবাড় করা হচ্ছে সংরক্ষিত বনের বিভিন্ন প্রজাতির মুল্যবান গাছগাছালি।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন,সংরক্ষিত বনের অবৈধ স্থাপনা এবং আনারস লেবু বাগান উচ্ছেদ চলছে। যে যতই প্রভাবশালী হোক না কেন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে।
আজ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবৈধ বাগানগুলো দখলমুক্ত করা হবে।