ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




সংবাদপত্র, কাপড়, জুতা, চুল থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায় না

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০ ১৮৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; 

কভিড-১৯ করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের শেষ নেই। নতুন ভাইরাস হওয়ার কারণে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও এখনো জানা সম্ভব হয়নি। মানুষের এমন আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে অনেক ‘মৌসুমী করোনা বিশেষজ্ঞ’ জুটেছেন যারা করোনা আতঙ্ককে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সংবাদপত্র, কাপড়সহ নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের মধ্য দিয়ে করোনা ছড়ায় কী না তা নিয়ে জিজ্ঞাসার শেষ নেই। বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ১৭ এপ্রিল এমনই কিছু প্রশ্নের উত্তর ছেপেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

ছাপা সংবাদপত্র ও প্যাকেটজাত দ্রব্য নিয়ে কী উদ্বেগের কিছু আছে?
মেইল ও প্যাকেটজাত দ্রব্য থেকে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি খুবই কম। কোনো প্যাকেটজাত দ্রব্য খুলে কিংবা ছাপার সংবাদপত্র পড়ে কেউ অসুস্থ হয়েছে এমন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ বক্তব্যের সাথে একমত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নিজেদের ওয়েবসাইটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সংবাদপত্র, মেইল ও প্যাকেটজাত দ্রব্য থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নেই বললেই চলে। কেউ আক্রান্ত হয়েছেন এমন প্রমাণও তারা পাননি।

মুদি দোকান থেকে এসে কাপড় ছেড়ে গোসল করা উচিত?
যারা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন তাদেরকে মুদি দোকান, ফার্মাসিতে মাঝে মাঝে যেতেই হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘরে ফেরার পর কাপড় পরিবর্তন কিংবা গোসল করার প্রয়োজন নেই। তবে সবসময় বাইরে থেকে আসার পর হাত পরিষ্কার করতে হবে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের জীবানু বাতাসে আধ ঘণ্টা থাকতে পারে। তবে বাতাসে সেই জীবানুর কনা এতই ক্ষুদ্র যে তা থেকে আপনার সংক্রমণের ঝুঁকি একেবারে নেই বললেই চলে।

বাইরে থেকে ফেরার পর জুতা জীবানুমুক্ত করা উচিত কী না?
এটা ঠিক যে জুতা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস বহন করতে পারে। তার মানেই এ নয় যে জুতা থেকে সংক্রমণ ছড়াবে। জুতা পরিষ্কারের করা গেলে করে নিন। তবে জুতা হাত দিয়ে মোছার দরকার নেই। এতে জুতা থেকে ভাইরাস আপনার হাতে চলে আসতে পারে। সম্প্রতি চীনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা রোগীদের সেবা দেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের অর্ধেকের জুতায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর কারণও আছে। তারা সরাসরি করোনা রোগীদের সেবা দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, জুতায় কী আছে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। বাসায় যদি মেঝেতে গড়াগড়ি করার মতো কোনো শিশু থাকে, বা কারো অ্যালার্জি কিংবা অসুস্থ কোনো ব্যক্তি থাকে তাহলে ঘরে জুতা না রাখাই ভালো।

চুল ও দাঁড়িতে ভাইরাস থাকতে পারে কী না?
যদি আপনি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেন তবে আপনার এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এছাড়া কেউ যদি আপনার মাথায় এসে হাঁচি বা কাঁশি দেয় তাহলেও সংক্রমণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যে ব্যক্তি হাঁচি-কাঁশি দিয়েছে তার শরীরে ভাইরাস থাকলে এবং হাঁচি-কাঁশির মধ্য দিয়ে পর্যাপ্ত কণা আপনার শরীরে পড়লে এবং আপনি তা স্পর্শ করার পর মুখের যে কোনো অংশে লাগালে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। নাহলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সংবাদপত্র, কাপড়, জুতা, চুল থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায় না

আপডেট সময় : ০৩:৩৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন ডেস্ক; 

কভিড-১৯ করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের শেষ নেই। নতুন ভাইরাস হওয়ার কারণে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও এখনো জানা সম্ভব হয়নি। মানুষের এমন আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে অনেক ‘মৌসুমী করোনা বিশেষজ্ঞ’ জুটেছেন যারা করোনা আতঙ্ককে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সংবাদপত্র, কাপড়সহ নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের মধ্য দিয়ে করোনা ছড়ায় কী না তা নিয়ে জিজ্ঞাসার শেষ নেই। বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ১৭ এপ্রিল এমনই কিছু প্রশ্নের উত্তর ছেপেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

ছাপা সংবাদপত্র ও প্যাকেটজাত দ্রব্য নিয়ে কী উদ্বেগের কিছু আছে?
মেইল ও প্যাকেটজাত দ্রব্য থেকে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি খুবই কম। কোনো প্যাকেটজাত দ্রব্য খুলে কিংবা ছাপার সংবাদপত্র পড়ে কেউ অসুস্থ হয়েছে এমন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ বক্তব্যের সাথে একমত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নিজেদের ওয়েবসাইটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সংবাদপত্র, মেইল ও প্যাকেটজাত দ্রব্য থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নেই বললেই চলে। কেউ আক্রান্ত হয়েছেন এমন প্রমাণও তারা পাননি।

মুদি দোকান থেকে এসে কাপড় ছেড়ে গোসল করা উচিত?
যারা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন তাদেরকে মুদি দোকান, ফার্মাসিতে মাঝে মাঝে যেতেই হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘরে ফেরার পর কাপড় পরিবর্তন কিংবা গোসল করার প্রয়োজন নেই। তবে সবসময় বাইরে থেকে আসার পর হাত পরিষ্কার করতে হবে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের জীবানু বাতাসে আধ ঘণ্টা থাকতে পারে। তবে বাতাসে সেই জীবানুর কনা এতই ক্ষুদ্র যে তা থেকে আপনার সংক্রমণের ঝুঁকি একেবারে নেই বললেই চলে।

বাইরে থেকে ফেরার পর জুতা জীবানুমুক্ত করা উচিত কী না?
এটা ঠিক যে জুতা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস বহন করতে পারে। তার মানেই এ নয় যে জুতা থেকে সংক্রমণ ছড়াবে। জুতা পরিষ্কারের করা গেলে করে নিন। তবে জুতা হাত দিয়ে মোছার দরকার নেই। এতে জুতা থেকে ভাইরাস আপনার হাতে চলে আসতে পারে। সম্প্রতি চীনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা রোগীদের সেবা দেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের অর্ধেকের জুতায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর কারণও আছে। তারা সরাসরি করোনা রোগীদের সেবা দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, জুতায় কী আছে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। বাসায় যদি মেঝেতে গড়াগড়ি করার মতো কোনো শিশু থাকে, বা কারো অ্যালার্জি কিংবা অসুস্থ কোনো ব্যক্তি থাকে তাহলে ঘরে জুতা না রাখাই ভালো।

চুল ও দাঁড়িতে ভাইরাস থাকতে পারে কী না?
যদি আপনি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেন তবে আপনার এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এছাড়া কেউ যদি আপনার মাথায় এসে হাঁচি বা কাঁশি দেয় তাহলেও সংক্রমণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যে ব্যক্তি হাঁচি-কাঁশি দিয়েছে তার শরীরে ভাইরাস থাকলে এবং হাঁচি-কাঁশির মধ্য দিয়ে পর্যাপ্ত কণা আপনার শরীরে পড়লে এবং আপনি তা স্পর্শ করার পর মুখের যে কোনো অংশে লাগালে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। নাহলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।