ঢাকা ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




শিক্ষককে মারধরের খবরে শিক্ষার্থীদের থানা ঘেরাও, ভাঙচুর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৯ ১০৯ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি; ময়মনসিংহে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক শেখ মো. শরিফুল আলমকে ট্রাফিক পুলিশ মারধর করায় বিক্ষোভ ও থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে রাবার বুলেট, টিয়ার সেল ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে পুলিশ ও শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার সকালে শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক শেখ মো. শরিফুল আলমের গাড়ির সঙ্গে একটি অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। এতে রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যামের সৃষ্টি হয়। পরে ট্রাফিক পুলিশ এসে ঘটনার মধ্যস্থতা করতে চাইলে ওই শিক্ষকের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্য শিক্ষককে মারধর ও আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান।

এ ঘটনা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কোতোয়ালি মডেল থানা ও ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ ও শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হন।

আহত শিক্ষক শেখ মো. শরিফুল আলম বলেন, ওই অটোরিকাশার চালকের সঙ্গে আমার বাকবিতণ্ডার সময় যানজট সৃষ্টি হলে ওই ট্রাফিক পুলিশ এসে আমাকে ধাক্কা দেয়। আমি শিক্ষক পরিচয় দিয়ে তাকে ধাক্কা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে সে আবারও আমাকে ধাক্কা দেয়। পরে আমিও তাকে ধাক্কা দিলে কয়েকজন পুলিশ এসে আমাকে মারধর করে ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেও আমাকে গালমন্দ করে। পরে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।

জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বলেন, ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কলেজ শিক্ষকের বাকবিতণ্ডা ও মারধরের গুজবে শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর এবং ফাঁড়িতে হামলা করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পুলিশ আহত হয়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

জেলা প্রশাসক ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, শিক্ষককে মারধরের ঘটনা শুনে আমি তাৎক্ষণিক কলেজে যাই। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




শিক্ষককে মারধরের খবরে শিক্ষার্থীদের থানা ঘেরাও, ভাঙচুর

আপডেট সময় : ০৬:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি; ময়মনসিংহে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক শেখ মো. শরিফুল আলমকে ট্রাফিক পুলিশ মারধর করায় বিক্ষোভ ও থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে রাবার বুলেট, টিয়ার সেল ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে পুলিশ ও শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার সকালে শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক শেখ মো. শরিফুল আলমের গাড়ির সঙ্গে একটি অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। এতে রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যামের সৃষ্টি হয়। পরে ট্রাফিক পুলিশ এসে ঘটনার মধ্যস্থতা করতে চাইলে ওই শিক্ষকের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্য শিক্ষককে মারধর ও আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান।

এ ঘটনা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কোতোয়ালি মডেল থানা ও ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ ও শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হন।

আহত শিক্ষক শেখ মো. শরিফুল আলম বলেন, ওই অটোরিকাশার চালকের সঙ্গে আমার বাকবিতণ্ডার সময় যানজট সৃষ্টি হলে ওই ট্রাফিক পুলিশ এসে আমাকে ধাক্কা দেয়। আমি শিক্ষক পরিচয় দিয়ে তাকে ধাক্কা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে সে আবারও আমাকে ধাক্কা দেয়। পরে আমিও তাকে ধাক্কা দিলে কয়েকজন পুলিশ এসে আমাকে মারধর করে ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেও আমাকে গালমন্দ করে। পরে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।

জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বলেন, ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কলেজ শিক্ষকের বাকবিতণ্ডা ও মারধরের গুজবে শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর এবং ফাঁড়িতে হামলা করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পুলিশ আহত হয়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

জেলা প্রশাসক ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, শিক্ষককে মারধরের ঘটনা শুনে আমি তাৎক্ষণিক কলেজে যাই। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।