ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবি কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভর্তির তিন ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন Logo শাবির গণিত সমিতির ভিপি রাহুল ও সম্পাদক রিজভী Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য




মানিকগঞ্জের হাট-বাজার ভরে গেছে জাটকায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০ ৫২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ | 

পদ্মা-যমুনাসহ মানিকগঞ্জের নদীগুলোতে চলছে অবাধে জাটকা নিধন। আরিচা, পাটুরিয়া, তরা ও বেউথা ঘাটআড়তসহ জেলার বিভিন্ন মাছের আড়ত ও হাট-বাজারে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে এসব জাটকা বা ইলিশ মাছের পোনা। করোনাভাইরাসের কারণে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নজর এদিকে নেই বলেই এটা সহজ হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

গত কয়েক দিনে মানিকগঞ্জ শহরের বেউথা ঘাট, বান্দুটিয়া বাজার, কাচারির মাঠ বাজারসহ গ্রামাঞ্চলের বাজার গুলোতেও এক থেকে চার ইঞ্চি আকারের জাটকা কেনা-বেচা করতে দেখা গেছে। জাটকা নিধন ও বিক্রি বন্ধে এখনই পদক্ষেপ না নিলে সরকারের ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না বলে মনে করছেন অনেকেই।

মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সাব্বিরুল ইসলাম জানান, তিনি দুদিন আগে শহরের হিজুলী বাজার থেকে জাটকা মাছ কিনেছেন ৩শ’ টাকা কেজি দরে। তিনি বলেন, জাটকা বন্ধে প্রশাসনের নজর দেয়া দরকার। শাহানুর ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, তিনি বেউথা ঘাট বাজারে জাটকা মাছ কেনা-বেচা করতে দেখেছেন।

এদিকে, মানিকগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ফণীভূষণ মালো বলেন, জাটকা মাছ ধরা বন্ধে নদী পাড়ের কিছু জেলেদের ৪০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার। এটা পর্যাপ্ত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু চাল হলেইতো হয় না। আরও সহায়তা প্রয়োজন। তারাতো পেটের দায়েই মাছ ধরতে যায়।

তিনি বলেন, জেলায় ২০ হাজারের ওপর জেলে পরিবার রয়েছে। সরকারিভাবে কার্ড দেয়া হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার পরিবারকে। কার্ডধারীদের মধ্যেও অনেকেই এই চাল পাচ্ছেন না। কর্মহীন এই মানুষগুলোকে জরুরিভাবে সহায়তা দেয়া প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত মা ইলিশ বা জাটকা ধরা নিষেধ। এই সময় সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা হিসেবে জেলেদের প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ২ হাজার ৩৩৬ জেলে পরিবারের প্রত্যেককে গত দুই মাসে ৪০ কেজি করে ৮০ কেজি চাল দেয়া হয়েছে। আগামী জুন মাস পর্যন্ত এই সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, জেলার মোট ৩ হাজার ৬৬৩ জন জেলে রয়েছে। সবাইকে এই সহায়তা দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে, ইতোমধ্যে যাদের দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক বাদ দিয়ে যারা পায়নি তাদের মধ্যে অতিদরিদ্রদেরকে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মানিকগঞ্জ নদী প্রধান জেলা হলেও আমাদের জন্যে নদীতে টহল দেয়ার জন্যে কোনও বোট নেই। তুলনামূলকভাবে লোকবলও কম। তবে আমরা সব সময়ই মনিটরিং করে যাচ্ছি। আমার দ্রুতই জাটকা নিধন বন্ধে আবারও অভিযান চালাবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মানিকগঞ্জের হাট-বাজার ভরে গেছে জাটকায়

আপডেট সময় : ০৪:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ | 

পদ্মা-যমুনাসহ মানিকগঞ্জের নদীগুলোতে চলছে অবাধে জাটকা নিধন। আরিচা, পাটুরিয়া, তরা ও বেউথা ঘাটআড়তসহ জেলার বিভিন্ন মাছের আড়ত ও হাট-বাজারে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে এসব জাটকা বা ইলিশ মাছের পোনা। করোনাভাইরাসের কারণে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নজর এদিকে নেই বলেই এটা সহজ হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

গত কয়েক দিনে মানিকগঞ্জ শহরের বেউথা ঘাট, বান্দুটিয়া বাজার, কাচারির মাঠ বাজারসহ গ্রামাঞ্চলের বাজার গুলোতেও এক থেকে চার ইঞ্চি আকারের জাটকা কেনা-বেচা করতে দেখা গেছে। জাটকা নিধন ও বিক্রি বন্ধে এখনই পদক্ষেপ না নিলে সরকারের ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না বলে মনে করছেন অনেকেই।

মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সাব্বিরুল ইসলাম জানান, তিনি দুদিন আগে শহরের হিজুলী বাজার থেকে জাটকা মাছ কিনেছেন ৩শ’ টাকা কেজি দরে। তিনি বলেন, জাটকা বন্ধে প্রশাসনের নজর দেয়া দরকার। শাহানুর ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, তিনি বেউথা ঘাট বাজারে জাটকা মাছ কেনা-বেচা করতে দেখেছেন।

এদিকে, মানিকগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ফণীভূষণ মালো বলেন, জাটকা মাছ ধরা বন্ধে নদী পাড়ের কিছু জেলেদের ৪০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার। এটা পর্যাপ্ত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু চাল হলেইতো হয় না। আরও সহায়তা প্রয়োজন। তারাতো পেটের দায়েই মাছ ধরতে যায়।

তিনি বলেন, জেলায় ২০ হাজারের ওপর জেলে পরিবার রয়েছে। সরকারিভাবে কার্ড দেয়া হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার পরিবারকে। কার্ডধারীদের মধ্যেও অনেকেই এই চাল পাচ্ছেন না। কর্মহীন এই মানুষগুলোকে জরুরিভাবে সহায়তা দেয়া প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত মা ইলিশ বা জাটকা ধরা নিষেধ। এই সময় সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা হিসেবে জেলেদের প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ২ হাজার ৩৩৬ জেলে পরিবারের প্রত্যেককে গত দুই মাসে ৪০ কেজি করে ৮০ কেজি চাল দেয়া হয়েছে। আগামী জুন মাস পর্যন্ত এই সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, জেলার মোট ৩ হাজার ৬৬৩ জন জেলে রয়েছে। সবাইকে এই সহায়তা দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে, ইতোমধ্যে যাদের দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক বাদ দিয়ে যারা পায়নি তাদের মধ্যে অতিদরিদ্রদেরকে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মানিকগঞ্জ নদী প্রধান জেলা হলেও আমাদের জন্যে নদীতে টহল দেয়ার জন্যে কোনও বোট নেই। তুলনামূলকভাবে লোকবলও কম। তবে আমরা সব সময়ই মনিটরিং করে যাচ্ছি। আমার দ্রুতই জাটকা নিধন বন্ধে আবারও অভিযান চালাবো।