মানিকগঞ্জের হাট-বাজার ভরে গেছে জাটকায়
- আপডেট সময় : ০৪:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০ ৬৫ বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ |
পদ্মা-যমুনাসহ মানিকগঞ্জের নদীগুলোতে চলছে অবাধে জাটকা নিধন। আরিচা, পাটুরিয়া, তরা ও বেউথা ঘাটআড়তসহ জেলার বিভিন্ন মাছের আড়ত ও হাট-বাজারে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে এসব জাটকা বা ইলিশ মাছের পোনা। করোনাভাইরাসের কারণে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নজর এদিকে নেই বলেই এটা সহজ হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
গত কয়েক দিনে মানিকগঞ্জ শহরের বেউথা ঘাট, বান্দুটিয়া বাজার, কাচারির মাঠ বাজারসহ গ্রামাঞ্চলের বাজার গুলোতেও এক থেকে চার ইঞ্চি আকারের জাটকা কেনা-বেচা করতে দেখা গেছে। জাটকা নিধন ও বিক্রি বন্ধে এখনই পদক্ষেপ না নিলে সরকারের ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না বলে মনে করছেন অনেকেই।
মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সাব্বিরুল ইসলাম জানান, তিনি দুদিন আগে শহরের হিজুলী বাজার থেকে জাটকা মাছ কিনেছেন ৩শ’ টাকা কেজি দরে। তিনি বলেন, জাটকা বন্ধে প্রশাসনের নজর দেয়া দরকার। শাহানুর ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, তিনি বেউথা ঘাট বাজারে জাটকা মাছ কেনা-বেচা করতে দেখেছেন।
এদিকে, মানিকগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ফণীভূষণ মালো বলেন, জাটকা মাছ ধরা বন্ধে নদী পাড়ের কিছু জেলেদের ৪০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার। এটা পর্যাপ্ত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু চাল হলেইতো হয় না। আরও সহায়তা প্রয়োজন। তারাতো পেটের দায়েই মাছ ধরতে যায়।
তিনি বলেন, জেলায় ২০ হাজারের ওপর জেলে পরিবার রয়েছে। সরকারিভাবে কার্ড দেয়া হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার পরিবারকে। কার্ডধারীদের মধ্যেও অনেকেই এই চাল পাচ্ছেন না। কর্মহীন এই মানুষগুলোকে জরুরিভাবে সহায়তা দেয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত মা ইলিশ বা জাটকা ধরা নিষেধ। এই সময় সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা হিসেবে জেলেদের প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ২ হাজার ৩৩৬ জেলে পরিবারের প্রত্যেককে গত দুই মাসে ৪০ কেজি করে ৮০ কেজি চাল দেয়া হয়েছে। আগামী জুন মাস পর্যন্ত এই সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, জেলার মোট ৩ হাজার ৬৬৩ জন জেলে রয়েছে। সবাইকে এই সহায়তা দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে, ইতোমধ্যে যাদের দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক বাদ দিয়ে যারা পায়নি তাদের মধ্যে অতিদরিদ্রদেরকে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মানিকগঞ্জ নদী প্রধান জেলা হলেও আমাদের জন্যে নদীতে টহল দেয়ার জন্যে কোনও বোট নেই। তুলনামূলকভাবে লোকবলও কম। তবে আমরা সব সময়ই মনিটরিং করে যাচ্ছি। আমার দ্রুতই জাটকা নিধন বন্ধে আবারও অভিযান চালাবো।