স্টাফ রিপোর্টার: মহামারী করোনা ভাইরাসের ছোবলে বিশ্বের প্রায় ২১০ টির অধিক রাষ্ট্র যখন সংক্রমিত হয়ে একে একে মৃত্যুর নগরীতে পরিণত হচ্ছে।
ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সঠিক কার্যকরি প্রতিষেধক বা টিকা না থাকায় সংক্রমিত রাষ্ট্র গুলো জনসচেতনতা ও লকডাউন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভাইরাস রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের বাংলাদেশেও দিন দিন ভাইরাস সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় শুরু থেকেই সরকার সাধারণ ছুটির মাধ্যমে জনসাধারণকে নিজ নিজ ঘরে রেখে সংক্রমণ বিস্তার রোধে যথাসম্ভব চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। চলমান লকডাউন প্রক্রিয়ায় সারাদেশের শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় পরিবারের আহার যোগাতে হীমশিম খাচ্ছে।
জনবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে দিনমজুর, দরিদ্র-হতদরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য বিভিন্ন খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
জনবসতি অনুযায়ী যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তা এলাকা ভিত্তিক জনসংখ্যা অনুযায়ী খুবই কম ও অপ্রতুল। যার ফলে অধিকাংশ লোক সরকার প্রদত্ত খাদ্যসামগ্রী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ বঞ্চিত কর্মহীন মানুষের আহাজারি প্রতিনিয়ত চোখে পড়ছে।
এমনই কিছু ত্রাণ বঞ্চিত দিনমজুর, দরিদ্র-হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন খাবারের আকাঙ্ক্ষায় গত ১৪ ই এপ্রিল সকাল ১০ টায় বাড্ডা লিংক রোডের প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ করে।
এই দূর্যোগ কালীন লকডাউন পরিস্থিতিতে এত মানুষের সমাগমের খবর পেয়ে সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার পিন্টু তথ্য সংগ্রহ করে এবং তার একটি নিউজ পোর্টালের ফেসবুক সাইটে বিষয়টি লাইভ প্রচার করে। মূহুর্তেই আরো কয়েকটি মিডিয়ার প্রতিনিধীরা ঘটনাস্থলে এসে তথ্য সংগ্রহ করে এবং তা প্রকাশ করে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হওয়ায় ডিএনসিসির ৩৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সেলিমের উপর রাজনৈতিক চাপ আসতে থাকে। তার উপরে আবার বিভিন্ন স্থানে হতদরিদ্রদের হক লুন্ঠনকারী বা ত্রাণের চাল চোরদের চিত্রতো প্রতি মুহূর্তে প্রকাশ হচ্ছেই।
এই সমস্ত অপবাদের কালিমা যাতে নিজের উপরে না আসে সে জন্য ব্যাক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে গত ১৫-৪-২০২০ ইং তারিখ শেখ সেলিম বাদী হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নং ০৪ তারিখ: ১৫/০৪/২০২০,১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)তৎসহ১৫০/১৫৮ পেনেল কোড।
ঐ মামলায় সাংবাদিক গোলাম সরওয়ার পিন্টুকে গ্রেফতারপূর্বক জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের উক্তি সত্যের পক্ষে অবিচল থাকায় সময় উপযোগী অপ-কৌশলের ব্যাড়াকলে ফাঁসানো হয়েছে পিন্টুর মত একজন পেশাদার সংবাদ কর্মীকে।
বিশেষ সূত্রে জানা যায় পেশাগত কারণে এলাকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে তাদের প্রাপ্য অধিকার আদায়ে বিভিন্ন সময়ে বর্তমান ৩৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিমের সাথে দীর্ঘদিন ধরে মনমালিন্য রয়েছে।
এছাড়াও এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকায় গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে গোলাম সারোয়ার পিন্টু বর্তমান ডিএনসিসির ৩৮ নং ওয়ার্ডে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন।
সামাজিক দায়বদ্ধতা জনকল্যাণমূলক কাজে পূর্ব থেকেই মনমালিন্যের রেষারেষিতে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে জনসমাগমের ইন্ধন দাতার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এই ধরনের আইনি ঝামেলায় তাকে জড়ানো হয়েছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ।
যদি কারো স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্য এই ধরনের মামলা না করা হয় তাহলে সাংবাদিক হিসাবে শুধু পিন্টুকে একা কেন জড়ানো হলো আরোতো অনেক মিডিয়ায় ঐ সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেতো কোন অভিযোগ নাই এর কারণ কি? রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারক ও সুসীল সমাজের কাছে ভুক্তভোগীর পরিবারের প্রশ্ন।
একজন অসাধু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি মিডিয়ার একজন চৌকস উদ্যমী কর্মীকে দাবিয়ে রাখতে এমন অপ-কৌশলকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে বলে নিন্দনীয় ভাষায় অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।