ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




প্রবাসী ফখরুল হত্যার বিচারের দাবিতে ইতালীতে আলোচনা সভা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জানুয়ারী ২০১৯ ১৭৯ বার পড়া হয়েছে

ইসমাইল হোসেন স্বপন. ইতালী প্রতিনিধি :“আমার আদরের ছোট ভাইয়ের খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই…আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হয়েও তাকে নিঃশংস ভাবে খুন হতে হয়েছে” নিহতের বড়ো ভাই নাজিম উদ্দীন চৌধুরীর আর্তনাদে উপস্থিত সকলেই ছিল শোকে কাতর।

রাজধানী রোমের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা তরপিনাত্তার রোসই রেস্টুরেন্টের হল রুমে আয়োজিত ফেনীর দাগনভূইয়ার পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিহত ফকরুল উদ্দিন চৌধুরীর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে একটি আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নিহতের বড়ো ভাই নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ঘটে যাওয়া সেই ভয়ঙ্কর দিন গুলোর বর্ণনা দেন। বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা তরপিনাত্তার রোসই রেস্টুরেন্টের হল রুমে আয়োজিত এই আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন বাংকার ব্যবসায়ী সমিতি ইটালীর সাধারণ সম্পাদক সাখোওয়াত হোসেন। আলোচনা সভার অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইটালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল, ইটালী যুবলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতিয়ার রাসুুল কিটন, রোম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মামুন, বাংকার ব্যবসায়ী সমিতি রোমের প্রধান উপদেষ্টা এম ডি তারা।

ঘটনার বর্ণনায় নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন”২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারী সৌদি প্রবাসী নিহত ফকরুল উদ্দিন চৌধুরীর ৯ বছর পর দেশে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নামধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন অপকর্ম ও তাদের নিষিদ্ধ ব্যবসা ইয়াবা সংক্রান্ত গোপন তথ্য জেনে যায়। পরবর্তীতে তিনি তা প্রকাশ করলে (সাইফুল, হিরু, বাহাদুর, পারভেজ,দিদার) এই সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মম ভাবে খুন করে বাড়ির পাশের রাস্তার উপর ফেলে রেখে যায়। নিহতের বড় ভাই আরো বলেন” ফেনীর এই দাগনভূইয়াতে তারা একনিষ্ঠ আওয়ামী লীগের পরিবার হিসাবে সুপরিচিত। আওয়ামী লীগের জন্য তার দাদা ও বাবারা ছিলেন অন্তঃপ্রান।

কিন্তু সেই আওয়ামী লীগের পরিবারের সন্তান হয়েও নামধারী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এই নিশংস ঘটনার সৃষ্টি করে।” তিনি আরো বলেন” এক বছর হয়ে গেল এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা তাদের দুর্দান্ত দাপটের সঙ্গে চলছে। বাংলাদেশের প্রতিটি গণ মাধ্যমে তা প্রকাশিত হলেও কোন বা কারো ইশারায় তারা আজো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে এই পরিবারকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

এই পরিবারের একটিমাত্র চাওয়া তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। এবং সারা বিশ্বের ১ কোটি ৩০ লক্ষ প্রবাসী রয়েছে তিনি সকল প্রবাসীদের পক্ষ থেকে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।”

ইটালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল নিহতের বড় ভাইয়ের কাছ থেকে এই নিশংস ও নির্মন ঘটনা শুনে বলেন” সন্ত্রাসীরা কখনো কোন দলের হতে পারেনা।

বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সন্ত্রাসীর হাত যতো বড়ো হোক না কেন? আইনের হাতের চেয়ে তা কখনোই বড়ো নয়। তিনি আশ্বস্ত করেন যে তার করণীয় যা কিছু আছে তা করবেন এবং আসামীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী ও তিনি করেন।

ইটালী যুবলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতিয়ার রাসুল কিটন বলেন” এই ধরনের মৃত্যু কখনোই কাম্য নয়। অতিদ্রুত এই নিশংস হত্যাকান্ড যারা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেফতারের দাবী জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




প্রবাসী ফখরুল হত্যার বিচারের দাবিতে ইতালীতে আলোচনা সভা

আপডেট সময় : ১২:১৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জানুয়ারী ২০১৯

ইসমাইল হোসেন স্বপন. ইতালী প্রতিনিধি :“আমার আদরের ছোট ভাইয়ের খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই…আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হয়েও তাকে নিঃশংস ভাবে খুন হতে হয়েছে” নিহতের বড়ো ভাই নাজিম উদ্দীন চৌধুরীর আর্তনাদে উপস্থিত সকলেই ছিল শোকে কাতর।

রাজধানী রোমের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা তরপিনাত্তার রোসই রেস্টুরেন্টের হল রুমে আয়োজিত ফেনীর দাগনভূইয়ার পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিহত ফকরুল উদ্দিন চৌধুরীর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে একটি আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নিহতের বড়ো ভাই নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ঘটে যাওয়া সেই ভয়ঙ্কর দিন গুলোর বর্ণনা দেন। বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা তরপিনাত্তার রোসই রেস্টুরেন্টের হল রুমে আয়োজিত এই আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন বাংকার ব্যবসায়ী সমিতি ইটালীর সাধারণ সম্পাদক সাখোওয়াত হোসেন। আলোচনা সভার অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইটালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল, ইটালী যুবলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতিয়ার রাসুুল কিটন, রোম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মামুন, বাংকার ব্যবসায়ী সমিতি রোমের প্রধান উপদেষ্টা এম ডি তারা।

ঘটনার বর্ণনায় নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন”২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারী সৌদি প্রবাসী নিহত ফকরুল উদ্দিন চৌধুরীর ৯ বছর পর দেশে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নামধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন অপকর্ম ও তাদের নিষিদ্ধ ব্যবসা ইয়াবা সংক্রান্ত গোপন তথ্য জেনে যায়। পরবর্তীতে তিনি তা প্রকাশ করলে (সাইফুল, হিরু, বাহাদুর, পারভেজ,দিদার) এই সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মম ভাবে খুন করে বাড়ির পাশের রাস্তার উপর ফেলে রেখে যায়। নিহতের বড় ভাই আরো বলেন” ফেনীর এই দাগনভূইয়াতে তারা একনিষ্ঠ আওয়ামী লীগের পরিবার হিসাবে সুপরিচিত। আওয়ামী লীগের জন্য তার দাদা ও বাবারা ছিলেন অন্তঃপ্রান।

কিন্তু সেই আওয়ামী লীগের পরিবারের সন্তান হয়েও নামধারী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এই নিশংস ঘটনার সৃষ্টি করে।” তিনি আরো বলেন” এক বছর হয়ে গেল এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা তাদের দুর্দান্ত দাপটের সঙ্গে চলছে। বাংলাদেশের প্রতিটি গণ মাধ্যমে তা প্রকাশিত হলেও কোন বা কারো ইশারায় তারা আজো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে এই পরিবারকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

এই পরিবারের একটিমাত্র চাওয়া তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। এবং সারা বিশ্বের ১ কোটি ৩০ লক্ষ প্রবাসী রয়েছে তিনি সকল প্রবাসীদের পক্ষ থেকে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।”

ইটালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল নিহতের বড় ভাইয়ের কাছ থেকে এই নিশংস ও নির্মন ঘটনা শুনে বলেন” সন্ত্রাসীরা কখনো কোন দলের হতে পারেনা।

বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সন্ত্রাসীর হাত যতো বড়ো হোক না কেন? আইনের হাতের চেয়ে তা কখনোই বড়ো নয়। তিনি আশ্বস্ত করেন যে তার করণীয় যা কিছু আছে তা করবেন এবং আসামীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী ও তিনি করেন।

ইটালী যুবলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতিয়ার রাসুল কিটন বলেন” এই ধরনের মৃত্যু কখনোই কাম্য নয়। অতিদ্রুত এই নিশংস হত্যাকান্ড যারা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেফতারের দাবী জানান।