ঢাকা ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




ইলিশ কেনায় আগ্রহ নেই ক্রেতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০ ৪৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | প্রতি বছর পহেলা বৈশাখের আগে  সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ‘বৈশাখে পান্তা ইলিশ’ এড়িয়ে চলতে বলেন। যদিও এটা অফিসিয়াল না তবে ইলিশ প্রজননের কথা ভেবেই এটা বলা হয়। এরপরও কে শোনে কার কথা, বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়ে ক্রেতারা। সুযোগ বুঝে বিক্রেতাও কয়েকগুণ দাম বাড়িয়ে দেন ইলিশের।

তবে এবারই প্রথম, যেখানে বাজারে সব ধরনের (ছোট, বড়) ইলিশ থাকলেও ক্রেতা ছিলো না। অনেক বিক্রেতা বড় ইলিশ পূর্ব থেকে হিমায়িত করে রেখেছিলেন ‘বৈশাখের বাজার ধরতে’। সেটা আর হলো না। ইলিশের দাম তেমন না বাড়লেও ক্রেতার আগমন ছিলো না বললেই চলে।

বিক্রেতারা বলছেন, গত ১০/১৫ দিন ধরে বরফ দিয়ে মাছ হিমায়িত করে রাখলেও এখন বরফের দামও উঠবে না। মাছ কেনায় ক্রেতার আগ্রহ নেই। এজন্য তারা করোনা ভাইরাসকে (কভিড-১৯) দায়ি করছেন।

আর ক্রেতারা বলছেন, মানুষের আনন্দ যেমন করোনা কেড়েছে, তেমনি বিক্রেতাও মাছের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। দামের কথা মাথায় রেখে অনেকে আগেই ইলিশ কিনে রেখেছেন।

মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি, কমলাপুর ও ফকিরাপুল বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এ বাজারগুলোতে ক্রেতা না থাকায় আড্ডায় সময় কাটান অনেকেই। তারা বলছেন, এবারের মৌসুম তাদের জন্য ‘লোকসানি।’ বাজারে ক্রেতা নাই, কিছু ক্রেতা থাকলেও তাদের চাহিদা নেই মোটেও।

এসব বাজারে বছরের একই সময়ের (অন্য বছরের বৈশাখ) তুলনায় সামান্যই দাম বেড়েছে ইলিশের। বর্তমানে প্রতি এক কেজি ওজনের ইলিশ ১১৫০ থেকে ১২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, প্রতি ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০৬০ টাকা, ৭৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজিদরে, প্রতি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজিদরে। আর জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিদরে।

অথচ এক সপ্তাহ আগে এসব বাজারে প্রতি এক কেজি ওজনের ইলিশ ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকা কেজিদরে, প্রতি ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা, ৭৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজিদরে, প্রতি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিদরে। আর জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিদরে। উৎসব হিসেবে ইলিশের দাম না বাড়লেও করোনা ভাইরাসকে এজন্য দায়ী করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ক্রেতারা বাজারমুখি হচ্ছেন না।

সাহাদাৎ হোসেন ১৫ বছর ধরে মতিঝিলে মাছ বিক্রি করেন। তিনি বলেন, আমার ব্যবসাকালে মৌসুম বাজার এতো খারাপ (কম দাম) কখনও দেখিনি। এবার বাজারে ক্রেতাই নেই। যারা আসছেন তাদের মাছের প্রতি আগ্রহ নেই।

হাসান নামে অপর এক মাছ বিক্রেতা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসা মন্দা। বাজারে ক্রেতারা আসতে ভয় পাচ্ছেন। অনেকে মনে করছেন উৎসব নেই ইলিশ খাবো কেনো। অনেক ব্যবসায়ী গত ১০/১৫ দিন ধরে বরফ দিয়ে মাছি হিমায়িত করে রেখেছিলেন তাদের বরফের দামও উঠবে না।

মাসুম নামে খিলগাঁও বাজারের এক ক্রেতা বলেন, আমি চার দিন পর বাজার করতে এসেছি। করোনা ভাইরাসের কারণে এখন বাজার-ঘাটে বের হয় না। মাছ কেনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকেই ইলিশ কিনে রেখেছেন, এদিন খাওয়ার জন্য। কারণ এসময় বিক্রেতারা মাছের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন। তাই এখন আর মাছ কেনার প্রতি আগ্রহ নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইলিশ কেনায় আগ্রহ নেই ক্রেতার

আপডেট সময় : ০৯:৪৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | প্রতি বছর পহেলা বৈশাখের আগে  সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ‘বৈশাখে পান্তা ইলিশ’ এড়িয়ে চলতে বলেন। যদিও এটা অফিসিয়াল না তবে ইলিশ প্রজননের কথা ভেবেই এটা বলা হয়। এরপরও কে শোনে কার কথা, বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়ে ক্রেতারা। সুযোগ বুঝে বিক্রেতাও কয়েকগুণ দাম বাড়িয়ে দেন ইলিশের।

তবে এবারই প্রথম, যেখানে বাজারে সব ধরনের (ছোট, বড়) ইলিশ থাকলেও ক্রেতা ছিলো না। অনেক বিক্রেতা বড় ইলিশ পূর্ব থেকে হিমায়িত করে রেখেছিলেন ‘বৈশাখের বাজার ধরতে’। সেটা আর হলো না। ইলিশের দাম তেমন না বাড়লেও ক্রেতার আগমন ছিলো না বললেই চলে।

বিক্রেতারা বলছেন, গত ১০/১৫ দিন ধরে বরফ দিয়ে মাছ হিমায়িত করে রাখলেও এখন বরফের দামও উঠবে না। মাছ কেনায় ক্রেতার আগ্রহ নেই। এজন্য তারা করোনা ভাইরাসকে (কভিড-১৯) দায়ি করছেন।

আর ক্রেতারা বলছেন, মানুষের আনন্দ যেমন করোনা কেড়েছে, তেমনি বিক্রেতাও মাছের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। দামের কথা মাথায় রেখে অনেকে আগেই ইলিশ কিনে রেখেছেন।

মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি, কমলাপুর ও ফকিরাপুল বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এ বাজারগুলোতে ক্রেতা না থাকায় আড্ডায় সময় কাটান অনেকেই। তারা বলছেন, এবারের মৌসুম তাদের জন্য ‘লোকসানি।’ বাজারে ক্রেতা নাই, কিছু ক্রেতা থাকলেও তাদের চাহিদা নেই মোটেও।

এসব বাজারে বছরের একই সময়ের (অন্য বছরের বৈশাখ) তুলনায় সামান্যই দাম বেড়েছে ইলিশের। বর্তমানে প্রতি এক কেজি ওজনের ইলিশ ১১৫০ থেকে ১২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, প্রতি ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০৬০ টাকা, ৭৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজিদরে, প্রতি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজিদরে। আর জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিদরে।

অথচ এক সপ্তাহ আগে এসব বাজারে প্রতি এক কেজি ওজনের ইলিশ ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকা কেজিদরে, প্রতি ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা, ৭৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজিদরে, প্রতি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিদরে। আর জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিদরে। উৎসব হিসেবে ইলিশের দাম না বাড়লেও করোনা ভাইরাসকে এজন্য দায়ী করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ক্রেতারা বাজারমুখি হচ্ছেন না।

সাহাদাৎ হোসেন ১৫ বছর ধরে মতিঝিলে মাছ বিক্রি করেন। তিনি বলেন, আমার ব্যবসাকালে মৌসুম বাজার এতো খারাপ (কম দাম) কখনও দেখিনি। এবার বাজারে ক্রেতাই নেই। যারা আসছেন তাদের মাছের প্রতি আগ্রহ নেই।

হাসান নামে অপর এক মাছ বিক্রেতা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসা মন্দা। বাজারে ক্রেতারা আসতে ভয় পাচ্ছেন। অনেকে মনে করছেন উৎসব নেই ইলিশ খাবো কেনো। অনেক ব্যবসায়ী গত ১০/১৫ দিন ধরে বরফ দিয়ে মাছি হিমায়িত করে রেখেছিলেন তাদের বরফের দামও উঠবে না।

মাসুম নামে খিলগাঁও বাজারের এক ক্রেতা বলেন, আমি চার দিন পর বাজার করতে এসেছি। করোনা ভাইরাসের কারণে এখন বাজার-ঘাটে বের হয় না। মাছ কেনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকেই ইলিশ কিনে রেখেছেন, এদিন খাওয়ার জন্য। কারণ এসময় বিক্রেতারা মাছের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন। তাই এখন আর মাছ কেনার প্রতি আগ্রহ নেই।