ঢাকা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




ভোলা জেলার মাহমুদের দুর্নীতি!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০ ৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ভোলা জেলা কারাগারের জেলার এ জি মাহমুদের বিরুদ্ধে বন্দি বেচাকেনা, সাক্ষাৎ বাণিজ্য, সিট বাণিজ্য, খাবার বাণিজ্য, চিকিৎসা বাণিজ্য ও জামিন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ‘রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ’- প্রতিটি কারাগারের এই স্লোগান অনেকটা ‘কাজীর গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই’ এর মতোই। ঠিক ভোলা জেলা কারাগারও চলছে এই নিয়মে। এই কারাগারে জেল সুপার কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে তার চেয়েও এক ক্ষমতাসীন কর্মকর্তার আবির্ভাব ঘটে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে। যদিও তার পদাবী জেল সুপারের নিচে, তবে তার কাজ কর্মে মনে হয় তিনি জেল সুপার! এত কথা যাকে নিয়ে তিনি আর কেউ নন’ তিনি ভোলা জেলা কারাগারের ‘জেলার এ জি মাহমুদ। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের জেলার হিসেবে ছিলেন তিনি। সেখান থেকে দুর্নীতি’র দ্বায়ে প্রশাসনিক বদলী দেখিয়ে চলতি বছর জানুয়ারী মাসে তাকে ভোলা জেলা কারাগারের জেলার হিসেবে বদলী করে কারা অধিদপ্তর। ভোলায় যোগদান করেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের মত-ই ভোলা জেলা কারাগারের শুরু করেন দুর্নীতি। বিভিন্ন সেক্টর নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন সবার আগে।
অভিযোগ রয়েছে, বন্দিরে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে হলে গেট ওয়াটার আলতাফ এর মাধ্যমে প্রতি ওকালতনামা বাবদ ১০০ টাকা নেন জেলার এ জি মাহমুদ। জামিন টেবিলের কারারক্ষী রিয়াজকে দিয়ে প্রতিদিন জামিনের বের হওয়া লোকজনের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০০-১০০০ টাকা আদায় করেন। জামিন টেবিলের এই টাকা প্রতিদিন ভাগ করে জেলার এ জি মাহমুদ, কারারক্ষী রিয়াজ, ফরিদ ও রমীজ নেন।
কারাসূত্র জানায়, কারাগারের ভিতরে বন্দিদের এক ওয়ার্ড থেকে পছন্দে অন্য ওয়ার্ডে যেতে কারারক্ষী সিআইডি ফরিদের মাধ্যমে ১ হাজার টাকা করে নিয়ে জেলার বন্দিদের পছন্দের ওয়ার্ডে ফাইল কেটে দেন। সরকার থেকে ৪০০ বন্দিকে দেওয়া ৭০ কেজি ডাল কিন্তু জেলার তার একক ক্ষমতা বলে সেখানে এই ৪০০ বন্দিকে দেওয়া হয় ২০ কেজি ডাল। এছাড়াও কারাগারের ভিতরে বন্দিদের জন্য একটি ক্যান্টিন রয়েছে। সেই ক্যান্টিন কারারক্ষীদের কাছে বরাদ্দ দেওয়া হয়। জেলার এ জি মাহমুদ ভোলা কারাগারের আসার পরই ভিতরের ক্যান্টিনটি কারারক্ষীদের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে বরাদ্দ দিয়েছেন। এমনকি বাহিরের ক্যান্টিন ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বরাদ্দ দেন জেলার এ জি মাহমুদ।
অভিযোগ রয়েছে, গত মাসের শেষের দিকে তেলকুফি নামের এক বন্দির কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে অসুস্থ না হলেও তাকে অসুস্থ দেখিয়ে সদর হাসপাতাল ভর্তি করার অনুমোদন দেন জেলার এ জি মাহমুদ। এ প্রতিবেদক ভোলা সদর হাসপাতালের দোতলায় গিয়ে দেখেন ওই বন্দি মোবাইল ফোন চালাচ্ছেন। কারাসূত্র জানায়, কারা হাসপাতালের নিচ তলায় দুইটি ওয়ার্ড অসুস্থ বন্দিদের জন্য ?রাদ্দ থাকলেও সেখানে টাকার বিনিময় ভালো মানুষ থাকে। জনপ্রতি চার হাজার টাকা নিয়ে কারা হাসপাতালে লোক রাখেন জেলার এ জি মাহমুদ। এই দুই ওয়ার্ডে ১৪-১৫ জন বন্দিকে রাখা হয়।
জানা গেছে, সাধারণ ওয়ার্ডও পিছিয়ে নেই। এক ওয়ার্ডে ৩০-৩২ জন লোক থাকে। এখানের বেশির ভাগ লোকই ১০০০ হাজার টাকা করে নিয়ে সিট বিক্রি করেন জেলার। এই সিটগুলো প্রতিটি ওয়ার্ডের মেড ও রাইটার এর মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। অতিরিক্তি কোন কম্বল ব্যবহার করলে একটা কম্বলের দাম গুনতে হয় ২-৩ হাজার টাকা।
মুক্তি পাওয়া এক ব্যক্তি জানান, কারাগারে এক কেজি গরুর মাংস ১২০০ টাকা। এক কেজি মুরগীর মাংস ৮০০ টাকা। এক মুটো শাক ২০০-৩০০ টাকা। এক পিজ পাঙ্গাস মাছ ৪০ টাকা। অন্য মাছ এক পিজ ৫০-৬০ টাকা করে বিক্রি হয় কারা ক্যান্টিনে। তিনি বলেন, কারাগারের ভিতরের অনেক কুকর্ম সুবেদার করিম জড়িত। কোন বন্দি জেলখানার আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে যদি কেউ স্লীপ করে তা প্রথমে কেসটেবিলে টাকার বিনিময়ে সমাধান করেন সুবেদার করিম।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জেলার এ জি মাহমুদের কাছে জানতে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। জেল সুপার নাছির উদ্দিন প্রধানও এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, গত বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব মো. মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।ওই কমিটি একই গত ৬ এপ্রিল ৫১ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।এতে বন্দি বেচাকেনা, সাক্ষাৎ বাণিজ্য, সিট বাণিজ্য, খাবার বাণিজ্য, চিকিৎসা বাণিজ্য ও জামিন বাণিজ্যের প্রমাণ পাওয়ার তথ্য উল্লেখ করে।
এরপর সেই বছরের ২৮ এপ্রিল সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব (কারা-১) মো. মনিরুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাভ্যন্তরে ৯ ধরনের বাণিজ্যে জড়িত জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেলার, প্রধান কারারক্ষী এবং তাদের সহযোগী ২৬ কারারক্ষীকে বদলির পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। এরপর কারা অধিদপ্তর বিভিন্ন সময় ২৬ কারারক্ষীকে বদলি করে। বরখাস্ত করা হয় প্রধান কারারক্ষী আবদুল ওয়াহেদকে। এখানে বলা হয় প্রধান অভিযুক্ত জেলার এ জি মাহমুদ। পরে এখান থেকে তাকে বদলী করে ভোলা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভোলা জেলার মাহমুদের দুর্নীতি!

আপডেট সময় : ১১:৫৯:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ভোলা জেলা কারাগারের জেলার এ জি মাহমুদের বিরুদ্ধে বন্দি বেচাকেনা, সাক্ষাৎ বাণিজ্য, সিট বাণিজ্য, খাবার বাণিজ্য, চিকিৎসা বাণিজ্য ও জামিন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ‘রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ’- প্রতিটি কারাগারের এই স্লোগান অনেকটা ‘কাজীর গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই’ এর মতোই। ঠিক ভোলা জেলা কারাগারও চলছে এই নিয়মে। এই কারাগারে জেল সুপার কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে তার চেয়েও এক ক্ষমতাসীন কর্মকর্তার আবির্ভাব ঘটে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে। যদিও তার পদাবী জেল সুপারের নিচে, তবে তার কাজ কর্মে মনে হয় তিনি জেল সুপার! এত কথা যাকে নিয়ে তিনি আর কেউ নন’ তিনি ভোলা জেলা কারাগারের ‘জেলার এ জি মাহমুদ। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের জেলার হিসেবে ছিলেন তিনি। সেখান থেকে দুর্নীতি’র দ্বায়ে প্রশাসনিক বদলী দেখিয়ে চলতি বছর জানুয়ারী মাসে তাকে ভোলা জেলা কারাগারের জেলার হিসেবে বদলী করে কারা অধিদপ্তর। ভোলায় যোগদান করেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের মত-ই ভোলা জেলা কারাগারের শুরু করেন দুর্নীতি। বিভিন্ন সেক্টর নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন সবার আগে।
অভিযোগ রয়েছে, বন্দিরে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে হলে গেট ওয়াটার আলতাফ এর মাধ্যমে প্রতি ওকালতনামা বাবদ ১০০ টাকা নেন জেলার এ জি মাহমুদ। জামিন টেবিলের কারারক্ষী রিয়াজকে দিয়ে প্রতিদিন জামিনের বের হওয়া লোকজনের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০০-১০০০ টাকা আদায় করেন। জামিন টেবিলের এই টাকা প্রতিদিন ভাগ করে জেলার এ জি মাহমুদ, কারারক্ষী রিয়াজ, ফরিদ ও রমীজ নেন।
কারাসূত্র জানায়, কারাগারের ভিতরে বন্দিদের এক ওয়ার্ড থেকে পছন্দে অন্য ওয়ার্ডে যেতে কারারক্ষী সিআইডি ফরিদের মাধ্যমে ১ হাজার টাকা করে নিয়ে জেলার বন্দিদের পছন্দের ওয়ার্ডে ফাইল কেটে দেন। সরকার থেকে ৪০০ বন্দিকে দেওয়া ৭০ কেজি ডাল কিন্তু জেলার তার একক ক্ষমতা বলে সেখানে এই ৪০০ বন্দিকে দেওয়া হয় ২০ কেজি ডাল। এছাড়াও কারাগারের ভিতরে বন্দিদের জন্য একটি ক্যান্টিন রয়েছে। সেই ক্যান্টিন কারারক্ষীদের কাছে বরাদ্দ দেওয়া হয়। জেলার এ জি মাহমুদ ভোলা কারাগারের আসার পরই ভিতরের ক্যান্টিনটি কারারক্ষীদের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে বরাদ্দ দিয়েছেন। এমনকি বাহিরের ক্যান্টিন ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বরাদ্দ দেন জেলার এ জি মাহমুদ।
অভিযোগ রয়েছে, গত মাসের শেষের দিকে তেলকুফি নামের এক বন্দির কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে অসুস্থ না হলেও তাকে অসুস্থ দেখিয়ে সদর হাসপাতাল ভর্তি করার অনুমোদন দেন জেলার এ জি মাহমুদ। এ প্রতিবেদক ভোলা সদর হাসপাতালের দোতলায় গিয়ে দেখেন ওই বন্দি মোবাইল ফোন চালাচ্ছেন। কারাসূত্র জানায়, কারা হাসপাতালের নিচ তলায় দুইটি ওয়ার্ড অসুস্থ বন্দিদের জন্য ?রাদ্দ থাকলেও সেখানে টাকার বিনিময় ভালো মানুষ থাকে। জনপ্রতি চার হাজার টাকা নিয়ে কারা হাসপাতালে লোক রাখেন জেলার এ জি মাহমুদ। এই দুই ওয়ার্ডে ১৪-১৫ জন বন্দিকে রাখা হয়।
জানা গেছে, সাধারণ ওয়ার্ডও পিছিয়ে নেই। এক ওয়ার্ডে ৩০-৩২ জন লোক থাকে। এখানের বেশির ভাগ লোকই ১০০০ হাজার টাকা করে নিয়ে সিট বিক্রি করেন জেলার। এই সিটগুলো প্রতিটি ওয়ার্ডের মেড ও রাইটার এর মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। অতিরিক্তি কোন কম্বল ব্যবহার করলে একটা কম্বলের দাম গুনতে হয় ২-৩ হাজার টাকা।
মুক্তি পাওয়া এক ব্যক্তি জানান, কারাগারে এক কেজি গরুর মাংস ১২০০ টাকা। এক কেজি মুরগীর মাংস ৮০০ টাকা। এক মুটো শাক ২০০-৩০০ টাকা। এক পিজ পাঙ্গাস মাছ ৪০ টাকা। অন্য মাছ এক পিজ ৫০-৬০ টাকা করে বিক্রি হয় কারা ক্যান্টিনে। তিনি বলেন, কারাগারের ভিতরের অনেক কুকর্ম সুবেদার করিম জড়িত। কোন বন্দি জেলখানার আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে যদি কেউ স্লীপ করে তা প্রথমে কেসটেবিলে টাকার বিনিময়ে সমাধান করেন সুবেদার করিম।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জেলার এ জি মাহমুদের কাছে জানতে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। জেল সুপার নাছির উদ্দিন প্রধানও এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, গত বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব মো. মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।ওই কমিটি একই গত ৬ এপ্রিল ৫১ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।এতে বন্দি বেচাকেনা, সাক্ষাৎ বাণিজ্য, সিট বাণিজ্য, খাবার বাণিজ্য, চিকিৎসা বাণিজ্য ও জামিন বাণিজ্যের প্রমাণ পাওয়ার তথ্য উল্লেখ করে।
এরপর সেই বছরের ২৮ এপ্রিল সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব (কারা-১) মো. মনিরুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাভ্যন্তরে ৯ ধরনের বাণিজ্যে জড়িত জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেলার, প্রধান কারারক্ষী এবং তাদের সহযোগী ২৬ কারারক্ষীকে বদলির পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। এরপর কারা অধিদপ্তর বিভিন্ন সময় ২৬ কারারক্ষীকে বদলি করে। বরখাস্ত করা হয় প্রধান কারারক্ষী আবদুল ওয়াহেদকে। এখানে বলা হয় প্রধান অভিযুক্ত জেলার এ জি মাহমুদ। পরে এখান থেকে তাকে বদলী করে ভোলা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।