ঢাকা ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




লকডাউন-কারফিউ তুলে নিলে ভয়াবহ অবস্থা হবে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০২০ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: 

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে লকডাউন, কারফিউ-এর মতো কড়াকড়ি ব্যবস্থা শিথিল করার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলেছে, এমনটি করা হলে হলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। প্রাণঘাতী রূপে আবার জেকে বসতে পারে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ।

এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ছুঁইছুঁই। আর প্রাণ গেছে লাখেরও বেশি।

শুরুতে চীনকে আক্রমণ করে করোনা। পরে সর্বোচ্চ আঘাত হানে ইউরোপের দেশ ইতালি ও স্পেনে। তবে দেশ দুটিতে করোনার বিস্তার আগের তুলনায় কমেছে। এই অবস্থায় আরোপিত বাধানিষেধ শিথিল করার কথা ভাবছে ইতালি ও স্পেন।

শুক্রবার জেনেভায় করোনা সংক্রান্ত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম ঘেব্রেইয়েসুস বলেন, ‘লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ইউরোপের কিছু দেশে (স্পেন, ইতালি) এই মহামারি আগের তুলনায় কিছুটা শ্লথগতিতে বিস্তার করছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন, কারফিউ এর মতো কড়াকড়ি ব্যবস্থা শিথিল করলে এই সংক্রমণের ভয়াবহ পুনরুত্থান ঘটতে পারে।‘ এ ব্যাপারে দেশগুলোকে সতর্ক থাকা ‍উচিত বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

শুক্রবার স্পেনে ৬০৫ জন মারা গেছে করোনায় এবং এটি গত ১৭ দিনের হিসাবে সবচেয়ে কম সংখ্যক প্রাণহানির রেকর্ড। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ২৭৩ জন।

তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, সোমবার থেকে স্পেনে নির্মাণ ও উৎপাদনমুখী কারখানা খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে, সামাজিক ‍দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে দেশজুড়ে লকডাউনের সময়সীমা ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও মঙ্গলবার থেকে কিছু সংখ্যক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার অনুমতি দিয়েছে ইতালি। দেশটিতে গত ১২ মে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

ইতালিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৭ জন। আর মারা গেছে ১৮ হাজার ৮৪৯ জন (এ পর্যন্ত বিশ্বে সর্বোচ্চ)।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, ‘করোনার কারণে আরোপিত বাধানিষেধ কীভাবে শিথিল করা যায় বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছে হু। তবে এতে তাড়াহুড়ো করা মোটেও ঠিক হবে না।’

ড. টেড্রস বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে বাধানিষেধ তুলে নেয়া হলে (সংক্রমণের) মারাত্মক পুনরুত্থান ঘটবে। যথাযথভাবে এর ব্যবস্থাপনা না করা গেলে অবস্থা হবে ভয়ঙ্কর।’

সূত্র : বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




লকডাউন-কারফিউ তুলে নিলে ভয়াবহ অবস্থা হবে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আপডেট সময় : ০৯:১৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: 

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে লকডাউন, কারফিউ-এর মতো কড়াকড়ি ব্যবস্থা শিথিল করার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলেছে, এমনটি করা হলে হলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। প্রাণঘাতী রূপে আবার জেকে বসতে পারে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ।

এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ছুঁইছুঁই। আর প্রাণ গেছে লাখেরও বেশি।

শুরুতে চীনকে আক্রমণ করে করোনা। পরে সর্বোচ্চ আঘাত হানে ইউরোপের দেশ ইতালি ও স্পেনে। তবে দেশ দুটিতে করোনার বিস্তার আগের তুলনায় কমেছে। এই অবস্থায় আরোপিত বাধানিষেধ শিথিল করার কথা ভাবছে ইতালি ও স্পেন।

শুক্রবার জেনেভায় করোনা সংক্রান্ত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম ঘেব্রেইয়েসুস বলেন, ‘লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ইউরোপের কিছু দেশে (স্পেন, ইতালি) এই মহামারি আগের তুলনায় কিছুটা শ্লথগতিতে বিস্তার করছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন, কারফিউ এর মতো কড়াকড়ি ব্যবস্থা শিথিল করলে এই সংক্রমণের ভয়াবহ পুনরুত্থান ঘটতে পারে।‘ এ ব্যাপারে দেশগুলোকে সতর্ক থাকা ‍উচিত বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

শুক্রবার স্পেনে ৬০৫ জন মারা গেছে করোনায় এবং এটি গত ১৭ দিনের হিসাবে সবচেয়ে কম সংখ্যক প্রাণহানির রেকর্ড। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ২৭৩ জন।

তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, সোমবার থেকে স্পেনে নির্মাণ ও উৎপাদনমুখী কারখানা খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে, সামাজিক ‍দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে দেশজুড়ে লকডাউনের সময়সীমা ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও মঙ্গলবার থেকে কিছু সংখ্যক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার অনুমতি দিয়েছে ইতালি। দেশটিতে গত ১২ মে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

ইতালিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৭ জন। আর মারা গেছে ১৮ হাজার ৮৪৯ জন (এ পর্যন্ত বিশ্বে সর্বোচ্চ)।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, ‘করোনার কারণে আরোপিত বাধানিষেধ কীভাবে শিথিল করা যায় বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছে হু। তবে এতে তাড়াহুড়ো করা মোটেও ঠিক হবে না।’

ড. টেড্রস বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে বাধানিষেধ তুলে নেয়া হলে (সংক্রমণের) মারাত্মক পুনরুত্থান ঘটবে। যথাযথভাবে এর ব্যবস্থাপনা না করা গেলে অবস্থা হবে ভয়ঙ্কর।’

সূত্র : বিবিসি