সকালের সংবাদ ডেস্ক;
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় সময় অভিযোগ ওঠে হাসপাতালে গিয়ে রোগীরা ডাক্তার পাওয়া যায় না। এর ফলে দেশের ভিবিন্ন স্থানে অসহায় রোগীরা হাসপাতালে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ডাক্তারের অপেক্ষায় বসে থাকে। তবে এবার এক মেডিকেল কর্মকর্তাকে হাতেনাতে ধরলেন সেনাবাহিনী। মূলত, এই মেডিকেল কর্মকর্তা নামের পাশে ডাক্তার লেখার অপরাধে ধরা হয়। এই মেডিকেল কর্মকর্তার নাম বনজ কুমার হালদার। এই ঘটনা ঘটেছে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায়। এই মেডিকেল কর্মকর্তাকে তার অপরাধের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার পুরানবাজারে তার প্রাইভেট চেম্বারে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী আক্তার।
এর আগে সিলেট সেনানিবাসের ভারপ্রাপ্ত উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ আরিফ-উজ-জামানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম পুরানবাজারে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালান। এ সময় বনজ কুমার হালদারের চেম্বারে জনসমাগম দেখে তার সঙ্গে কথা বলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে বনজ কুমার সেনাবাহিনীকে জানান তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক। তবে সাইনবোর্ড ও রোগীর ব্যবস্থাপত্রে নিজের নামের আগে ডাক্তার লিখে রেখেছেন তিনি।
মেজর মোহাম্মদ আরিফ-উজ-জামান কথা বলে জানতে পারেন বনজ কুমার চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। পরে বিষয়টি প্রশাসনকে জানান মেজর মোহাম্মদ আরিফ-উজ-জামান।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সাদ্দাম হোসেন বলেন, একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে বনজ কুমার হালদারকে জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী আক্তার বলেন, বনজ কুমার হালদার কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। তিনি হাসপাতালের দায়িত্ব ফেলে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখছেন। একই সঙ্গে নামের পাশে ডাক্তার লিখে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। এজন্য তাকে জরিমানা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী দেশে করোনা মোকাবেলার জন্য মাঠে নেমেছে। মূলত সেনাবাহিনী স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে ও দেশের সাধারণ জনগণকে নানা ভাবে সহায়তা করতে মাঠে নেমেছে। তবে এর আগেও এমন অনেক সুনামের কাজ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আর এবার এই মেডিকেল কর্মকর্তাকে হাতেনাতে ধরলেন সেনাবাহিনী।