ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




আগে চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মার্চ ২০২০ ১১৩ বার পড়া হয়েছে

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) যে তথ্য দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, নতুন করে কারো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।যার ফলে মৃতের সংখ্যা আগের মতো পাঁচেই রয়েছে। তবে নতুন করে আরো চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে দুজন চিকিৎসক রয়েছেন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮।

সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান,সব ধরনের দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।কেবলমাত্র ওষুধ বা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া। ১০ দিনের সাধারণ ছুটির দুইদিন কার্যত লকডাউন ছিল দেশ। ঘরবন্দি ছিল মানুষ। তবে গণপরিবহন বন্ধ করার আগে ছুটি ঘোষণা করায় ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছে রাজধানীর অনেক মানুষ। ফলে গ্রামাঞ্চলেও করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে দেশের মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে ভীতিও কাজ করছে। এমনকি চিকিৎসকদের মধ্যেও কাজ করছে করোনাভীতি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, চিকিৎসকদের এ ব্যাপারে সক্রিয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে। চিকিৎসকদের অনেকেই নানা অজুহাতে দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করেছেন। কারণ হচ্ছে চিকিৎসকদের অনেকের কাছেই পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই নেই। করোনাভাইরাসের কারণে তাই তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই জ্বর, সর্দি-কাশি দেখলে কিছুটা শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।

শুধু চিকিৎসক নন, নার্স ও টেকনোলজিস্টদের নিরাপত্তা নিয়েও রয়েছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। অনেক আবেদন-নিবেদন করার পরও এখন পর্যন্ত নার্সরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক উপকরণ পাননি বলে খবরে প্রকাশ। সংগত কারণে অনেক এলাকায়ই নার্সরা ভয় পাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চিকিৎসকদের যত ঝুঁকিই থাক না কেন, রোগী ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। যুদ্ধের মধ্যেও চিকিৎসকদের জীবনবাজি রেখেই দায়িত্ব পালন করতে হয়। সেই ব্রত নিয়েই এ পেশায় আসতে হয় চিকিৎসকদের। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের মনোবল শক্ত রাখতে হবে। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকেও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি। চিকিৎসকরা মানুষের জীবন বাঁচান, তাই তাঁদের জীবন বাঁচাতে সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

সবার জন্য পিপিই সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এরই মধ্যে ১০ হাজার টেস্ট কিট, ১০ হাজার পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই এবং এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের একটি চালান বিশেষ বিমানে ঢাকায় পৌঁছেছে। চীনের আলিবাবা ও জ্যাক মা ফাউন্ডেশন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ৩০ হাজার টেস্ট কিট ও তিন লাখ মাস্ক পাঠাচ্ছে।

করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে চিকিৎসকরা। তাই তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আগে চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরী

আপডেট সময় : ১০:৫৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মার্চ ২০২০

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) যে তথ্য দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, নতুন করে কারো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।যার ফলে মৃতের সংখ্যা আগের মতো পাঁচেই রয়েছে। তবে নতুন করে আরো চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে দুজন চিকিৎসক রয়েছেন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮।

সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান,সব ধরনের দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।কেবলমাত্র ওষুধ বা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া। ১০ দিনের সাধারণ ছুটির দুইদিন কার্যত লকডাউন ছিল দেশ। ঘরবন্দি ছিল মানুষ। তবে গণপরিবহন বন্ধ করার আগে ছুটি ঘোষণা করায় ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছে রাজধানীর অনেক মানুষ। ফলে গ্রামাঞ্চলেও করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে দেশের মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে ভীতিও কাজ করছে। এমনকি চিকিৎসকদের মধ্যেও কাজ করছে করোনাভীতি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, চিকিৎসকদের এ ব্যাপারে সক্রিয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে। চিকিৎসকদের অনেকেই নানা অজুহাতে দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করেছেন। কারণ হচ্ছে চিকিৎসকদের অনেকের কাছেই পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই নেই। করোনাভাইরাসের কারণে তাই তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই জ্বর, সর্দি-কাশি দেখলে কিছুটা শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।

শুধু চিকিৎসক নন, নার্স ও টেকনোলজিস্টদের নিরাপত্তা নিয়েও রয়েছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। অনেক আবেদন-নিবেদন করার পরও এখন পর্যন্ত নার্সরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক উপকরণ পাননি বলে খবরে প্রকাশ। সংগত কারণে অনেক এলাকায়ই নার্সরা ভয় পাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চিকিৎসকদের যত ঝুঁকিই থাক না কেন, রোগী ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। যুদ্ধের মধ্যেও চিকিৎসকদের জীবনবাজি রেখেই দায়িত্ব পালন করতে হয়। সেই ব্রত নিয়েই এ পেশায় আসতে হয় চিকিৎসকদের। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের মনোবল শক্ত রাখতে হবে। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকেও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি। চিকিৎসকরা মানুষের জীবন বাঁচান, তাই তাঁদের জীবন বাঁচাতে সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

সবার জন্য পিপিই সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এরই মধ্যে ১০ হাজার টেস্ট কিট, ১০ হাজার পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই এবং এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের একটি চালান বিশেষ বিমানে ঢাকায় পৌঁছেছে। চীনের আলিবাবা ও জ্যাক মা ফাউন্ডেশন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ৩০ হাজার টেস্ট কিট ও তিন লাখ মাস্ক পাঠাচ্ছে।

করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে চিকিৎসকরা। তাই তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরী।