ঢাকা ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকায় সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শফিক Logo রাজধানীর বাউনিয়ার ভূমিদস্যু খোরশেদ পরিবারের কব্জায় ভুক্তভোগীদের ভিটামাটি  Logo স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক পথচলা Logo রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানঃ  উপদেষ্টা আসিফ Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ 

আগে চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মার্চ ২০২০ ২০৬ বার পড়া হয়েছে

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) যে তথ্য দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, নতুন করে কারো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।যার ফলে মৃতের সংখ্যা আগের মতো পাঁচেই রয়েছে। তবে নতুন করে আরো চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে দুজন চিকিৎসক রয়েছেন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮।

সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান,সব ধরনের দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।কেবলমাত্র ওষুধ বা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া। ১০ দিনের সাধারণ ছুটির দুইদিন কার্যত লকডাউন ছিল দেশ। ঘরবন্দি ছিল মানুষ। তবে গণপরিবহন বন্ধ করার আগে ছুটি ঘোষণা করায় ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছে রাজধানীর অনেক মানুষ। ফলে গ্রামাঞ্চলেও করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে দেশের মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে ভীতিও কাজ করছে। এমনকি চিকিৎসকদের মধ্যেও কাজ করছে করোনাভীতি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, চিকিৎসকদের এ ব্যাপারে সক্রিয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে। চিকিৎসকদের অনেকেই নানা অজুহাতে দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করেছেন। কারণ হচ্ছে চিকিৎসকদের অনেকের কাছেই পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই নেই। করোনাভাইরাসের কারণে তাই তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই জ্বর, সর্দি-কাশি দেখলে কিছুটা শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।

শুধু চিকিৎসক নন, নার্স ও টেকনোলজিস্টদের নিরাপত্তা নিয়েও রয়েছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। অনেক আবেদন-নিবেদন করার পরও এখন পর্যন্ত নার্সরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক উপকরণ পাননি বলে খবরে প্রকাশ। সংগত কারণে অনেক এলাকায়ই নার্সরা ভয় পাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চিকিৎসকদের যত ঝুঁকিই থাক না কেন, রোগী ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। যুদ্ধের মধ্যেও চিকিৎসকদের জীবনবাজি রেখেই দায়িত্ব পালন করতে হয়। সেই ব্রত নিয়েই এ পেশায় আসতে হয় চিকিৎসকদের। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের মনোবল শক্ত রাখতে হবে। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকেও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি। চিকিৎসকরা মানুষের জীবন বাঁচান, তাই তাঁদের জীবন বাঁচাতে সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

সবার জন্য পিপিই সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এরই মধ্যে ১০ হাজার টেস্ট কিট, ১০ হাজার পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই এবং এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের একটি চালান বিশেষ বিমানে ঢাকায় পৌঁছেছে। চীনের আলিবাবা ও জ্যাক মা ফাউন্ডেশন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ৩০ হাজার টেস্ট কিট ও তিন লাখ মাস্ক পাঠাচ্ছে।

করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে চিকিৎসকরা। তাই তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আগে চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরী

আপডেট সময় : ১০:৫৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মার্চ ২০২০

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) যে তথ্য দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, নতুন করে কারো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।যার ফলে মৃতের সংখ্যা আগের মতো পাঁচেই রয়েছে। তবে নতুন করে আরো চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে দুজন চিকিৎসক রয়েছেন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮।

সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান,সব ধরনের দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।কেবলমাত্র ওষুধ বা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া। ১০ দিনের সাধারণ ছুটির দুইদিন কার্যত লকডাউন ছিল দেশ। ঘরবন্দি ছিল মানুষ। তবে গণপরিবহন বন্ধ করার আগে ছুটি ঘোষণা করায় ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছে রাজধানীর অনেক মানুষ। ফলে গ্রামাঞ্চলেও করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে দেশের মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে ভীতিও কাজ করছে। এমনকি চিকিৎসকদের মধ্যেও কাজ করছে করোনাভীতি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, চিকিৎসকদের এ ব্যাপারে সক্রিয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে। চিকিৎসকদের অনেকেই নানা অজুহাতে দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করেছেন। কারণ হচ্ছে চিকিৎসকদের অনেকের কাছেই পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই নেই। করোনাভাইরাসের কারণে তাই তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই জ্বর, সর্দি-কাশি দেখলে কিছুটা শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।

শুধু চিকিৎসক নন, নার্স ও টেকনোলজিস্টদের নিরাপত্তা নিয়েও রয়েছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। অনেক আবেদন-নিবেদন করার পরও এখন পর্যন্ত নার্সরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক উপকরণ পাননি বলে খবরে প্রকাশ। সংগত কারণে অনেক এলাকায়ই নার্সরা ভয় পাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চিকিৎসকদের যত ঝুঁকিই থাক না কেন, রোগী ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। যুদ্ধের মধ্যেও চিকিৎসকদের জীবনবাজি রেখেই দায়িত্ব পালন করতে হয়। সেই ব্রত নিয়েই এ পেশায় আসতে হয় চিকিৎসকদের। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের মনোবল শক্ত রাখতে হবে। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকেও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি। চিকিৎসকরা মানুষের জীবন বাঁচান, তাই তাঁদের জীবন বাঁচাতে সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

সবার জন্য পিপিই সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এরই মধ্যে ১০ হাজার টেস্ট কিট, ১০ হাজার পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই এবং এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের একটি চালান বিশেষ বিমানে ঢাকায় পৌঁছেছে। চীনের আলিবাবা ও জ্যাক মা ফাউন্ডেশন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ৩০ হাজার টেস্ট কিট ও তিন লাখ মাস্ক পাঠাচ্ছে।

করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে চিকিৎসকরা। তাই তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরী।