উম্মুক্ত স্থানে হাসপাতাল বর্জ্য ফেললে মামলা করবে সবুজ আন্দোলন
- আপডেট সময় : ০৩:০২:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মার্চ ২০২০ ১১০ বার পড়া হয়েছে
খোলা জায়গায় হাসপাতালের বর্জ্য ফেলা বন্ধ না করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করবে সবুজ আন্দোলন। এমনই বক্তব্য দেয়া একটি প্রেস রিলিজ সম্প্রতি গণমাধ্যমের নিকট পাঠায় সবুজ আন্দোলন কর্তৃপক্ষ সকালের সংবাদ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো…
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে লক্ষ্য করা যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় রাজধানীসহ দেশজুড়ে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে রাতের আধারে সিটি করপোরেশন, পরিচ্ছন্ন কর্মী ও নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং হাসপাতাল তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত ক্ষতিকর মেডিকেলের বর্জ্য নিদিষ্ট স্থানে না ফেলে রাজধানীসহ দেশজুড়ে বিভিন্ন রাস্তার পাশে ফেলে দিচ্ছে। যা সম্পুর্ণ অন্যায় এবং আইনের পরিপন্থী। সারা পৃথিবী জুড়ে যখন করোনা ভাইরাস আতংক তখন এই ধরনের কাজ যারা করতে পারে তারা সমাজ এবং রাষ্ট্রের ক্ষতি চায়।তাই আমরা পরিবেশবাদী সামাজিক সংগঠন সবুজ আন্দোলন মনে করি, যারা এবং যে প্রতিষ্ঠান এধরনের গর্হিত কাজের সাথে সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে দেশ ও জনগণের সুরক্ষার স্বার্থে আমরা মামলা করতে পিছপা হবো না।এ বিষয়ে সংগঠনের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,ঢাকা বায়ু দূষণে শীর্ষে,তার উপরে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারন করেছে। আমরা দাবী জানাই সিটি করপোরেশন ও সকল পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবহার করা বর্জ্য নিদিষ্ট স্থানে না ফেলে যেখানে সেখানে ফেলে জনগণকে আরও হুমকির মুখে ফেলা দিচ্ছে। তাই প্রয়োজনে আন্দোলনসহ মামলা করতে আমরা প্রস্তুত।এক্ষেত্রে আমরা মনে করি প্রথমত দায়ীঃঅসেচেতন জনসাধারণ, দ্বিতীয়তঃ সিটি করপোরেশন, তৃতীয়তঃ পরিবেশ অধিদপ্তর এবং চতুর্থঃ হাসপাতাল মনিটরিংয়ে ব্যর্থ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগামী ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে পরিবেশ মন্ত্রী, সিটি মেয়র ও দায়ী প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে মামলা করব।
সবুজ আন্দোলন’র প্রস্তাব সমূহঃ
১। রাজধানীসহ দেশজুড়ে ময়লা ফেলানোর স্থান বৃদ্ধি করতে হবে।
২। যে সকল জেলায় শিল্পকারখানা বেশি সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ময়লা ফেলার জন্য জায়গা অধিগ্রহণ করে আলাদা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩। সারাদেশে ময়লা প্রদানের সময় ও টাকার পরিমান নির্ধারণ করতে হবে।
৪। ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে যেখানে সেখানে ময়লা ফেললে আজীবন কারাদন্ড সহ জরিমানা বৃদ্ধির আইন কার্যকর করতে হবে।
৫। জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সকল পরিবেশবাদী সংগঠনকে এক করে” পরিবেশ বোর্ড” গঠন করতে হবে।
৬। টুরিস্ট পুলিশের মতো আলাদা ইউনিট গঠন করে “ইনভায়রনমেন্ট পুলিশ ” নামে আলাদা ইউনিট গঠন করতে হবে।
৭। দেশের সকল দোকান ও প্রতিষ্ঠানের সামনে ময়লার ড্রাম নিশ্চিত করতে বিশেষ প্রচারণা ও অভিযান চালানো শুরু করতে হবে।
৮। সিটি করপোরেশন,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকবল ও বেতন বৃদ্ধি করত হবে।
৯। মেডিকেলের বর্জ্য রাখার জন্য আলাদা জায়গা অধিগ্রহন এবং বায়োমেডিকেল রিসাইক্লিং প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে হবে।
সর্বোপরি সকলের জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে আমরা সবুজ আন্দোলন নিরলস ভাবে কাজ করছি। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন ও সরকার সহযোগিতা চাইলে আমরা সদা প্রস্তুত আছি।এই সময়ে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি লাভের জন্য সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য সৃষ্টি কর্তার রহমত কামনা করছি।