ঢাকা ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




অনাস্থা ভোটে টিকে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৯ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

 

 

অনলাইন ডেস্কঃ ব্রেক্সিট ইস্যুতে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর অনাস্থা ভোটে উৎরে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর তেরেসা মে। মাত্র ১৯ ভোটের ব্যবধানে এই অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটে টিকে গেলেন তিনি।

বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে মে’র প্রতি আস্থার পক্ষে ভোট পড়েছে ৩২৫টি। অনাস্থা জানিয়েছেন ৩০৬ জন।

এর আগে মঙ্গলবার ব্রেক্সিট ইস্যুতে দীর্ঘ আলোচনার পর এক ভোটাভুটিতে ২৩০ ভোটের রেকর্ড ব্যবধানে পরাজিত হয় মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি।
এই প্রথম দেশটির কোন ক্ষমতাসীন সরকার পার্লামেন্টে এত বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হয়।

প্রস্তাবটি বাতিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৩২ জন সংসদ সদস্য, যেখানে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২০২ জন।

মূলত ২০১৬ সালের গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় আসে। সে অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে যাওয়ার কথা।

এ অবস্থায় পরবর্তী সম্পর্কের রূপরেখা নিয়ে জোটটির সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর যে চুক্তি হয়েছিল সেটার অনুমোদনের বিষয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই ভোটাভুটি হয়।

ওই চুক্তিতেও ২৯ মার্চের মধ্যে ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল ।

পার্লামেন্টে বিরোধীদলের সদস্যদের পাশাপাশি নিজ দলের ১১৮ জন এমপি বিরোধীদলের সঙ্গে মে’র চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেন।

তার পরপরই তেরেসা মে’র সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধী লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিন।

তেরেসা মে’র প্রশাসনকে ‘জম্বি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তেরেসা মে সরকার পরিচালনার সব ধরনের অধিকার হারিয়েছেন।

তবে অনাস্থা ভোটে টিকে যাওয়ার পর তেরেসা মে বলেন, ব্রেক্সিটের ব্যাপারে একটি সমঝোতায় আসতে তিনি অন্য দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন।

এছাড়া ব্রেক্সিট পরিকল্পনার পক্ষে নিজ এমপিদের সমর্থন আদায় করাটাও তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

আস্থা ভোটে টিকে থাকার প্রতিক্রিয়ায় মে এমপিদের বলেন, তিনি “গণভোটের ফলাফল অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার যে প্রতিশ্রুতি তিনি দেশের জনগণকে দিয়েছেন সেটা তিনি পূরণ করতে কাজ চালিয়ে যাবেন।”

ব্রেক্সিটের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বুধবার রাত থেকেই সব পার্টির নেতাদেরকে সাথে আলাদা আলাদা বৈঠক করারও আমন্ত্রণ জানান।

এসময় তিনি সবার কাছে “গঠনমূলক মনোভাব” নিয়ে তাদের সাথে আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

মে বলেন, “আমাদের এমন একটি সমাধানে আসতে হবে যেটা আলোচনা সাপেক্ষ এবং পার্লামেন্টের জন্যও সহায়ক হবে।”

তবে করবিন বলেন, যেকোনো ইতিবাচক আলোচনার আগেই প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট চুক্তি বাতিল করতে হবে।

সূত্র: বিবিসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অনাস্থা ভোটে টিকে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৯

 

 

অনলাইন ডেস্কঃ ব্রেক্সিট ইস্যুতে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর অনাস্থা ভোটে উৎরে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর তেরেসা মে। মাত্র ১৯ ভোটের ব্যবধানে এই অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটে টিকে গেলেন তিনি।

বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে মে’র প্রতি আস্থার পক্ষে ভোট পড়েছে ৩২৫টি। অনাস্থা জানিয়েছেন ৩০৬ জন।

এর আগে মঙ্গলবার ব্রেক্সিট ইস্যুতে দীর্ঘ আলোচনার পর এক ভোটাভুটিতে ২৩০ ভোটের রেকর্ড ব্যবধানে পরাজিত হয় মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি।
এই প্রথম দেশটির কোন ক্ষমতাসীন সরকার পার্লামেন্টে এত বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হয়।

প্রস্তাবটি বাতিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৩২ জন সংসদ সদস্য, যেখানে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২০২ জন।

মূলত ২০১৬ সালের গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় আসে। সে অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে যাওয়ার কথা।

এ অবস্থায় পরবর্তী সম্পর্কের রূপরেখা নিয়ে জোটটির সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর যে চুক্তি হয়েছিল সেটার অনুমোদনের বিষয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই ভোটাভুটি হয়।

ওই চুক্তিতেও ২৯ মার্চের মধ্যে ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল ।

পার্লামেন্টে বিরোধীদলের সদস্যদের পাশাপাশি নিজ দলের ১১৮ জন এমপি বিরোধীদলের সঙ্গে মে’র চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেন।

তার পরপরই তেরেসা মে’র সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধী লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিন।

তেরেসা মে’র প্রশাসনকে ‘জম্বি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তেরেসা মে সরকার পরিচালনার সব ধরনের অধিকার হারিয়েছেন।

তবে অনাস্থা ভোটে টিকে যাওয়ার পর তেরেসা মে বলেন, ব্রেক্সিটের ব্যাপারে একটি সমঝোতায় আসতে তিনি অন্য দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন।

এছাড়া ব্রেক্সিট পরিকল্পনার পক্ষে নিজ এমপিদের সমর্থন আদায় করাটাও তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

আস্থা ভোটে টিকে থাকার প্রতিক্রিয়ায় মে এমপিদের বলেন, তিনি “গণভোটের ফলাফল অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার যে প্রতিশ্রুতি তিনি দেশের জনগণকে দিয়েছেন সেটা তিনি পূরণ করতে কাজ চালিয়ে যাবেন।”

ব্রেক্সিটের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বুধবার রাত থেকেই সব পার্টির নেতাদেরকে সাথে আলাদা আলাদা বৈঠক করারও আমন্ত্রণ জানান।

এসময় তিনি সবার কাছে “গঠনমূলক মনোভাব” নিয়ে তাদের সাথে আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

মে বলেন, “আমাদের এমন একটি সমাধানে আসতে হবে যেটা আলোচনা সাপেক্ষ এবং পার্লামেন্টের জন্যও সহায়ক হবে।”

তবে করবিন বলেন, যেকোনো ইতিবাচক আলোচনার আগেই প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট চুক্তি বাতিল করতে হবে।

সূত্র: বিবিসি।