বান্দরবানে ওএলএইচএফ প্রকল্পের উদ্যোগে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উদযাপিত
- আপডেট সময় : ০৯:০৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মার্চ ২০২০ ৯৬ বার পড়া হয়েছে
সকালের সংবাদ ডেস্ক রিপোর্ট;
বান্দরবানে বিভিন্ন আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করেছে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অনন্যা কল্যাণ সংগঠন, গ্রাউস ও তহজিংডং। “নারীর সমঅধিকার বাস্তবায়নে আমি সমতার প্রজন্ম”প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৭ মার্চ শনিবার সকালে বান্দরবান সদর ইউনিয়নের রেইছা উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যৎ’ (ওএলএইচএফ) প্রকল্পের উদ্যোগে বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে আলোচনার সভা, সাংস্কৃতিক পর্ব, পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের মাস্টার ট্রেইনার সুমিত বণিক এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বান্দরবান সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউ.পি সদস্য মো. নুরুন্নবী। রেইছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহ্রী মার্মার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিমাভি বাংলাদেশ’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাহবুবা হক কুমকুম, অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার দেব, অত্র ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী মাধুরী তঞ্চঙ্গ্যা।
অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, এই প্রকল্প পার্বত্য অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া কিশোরী ও নারীদের স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে কাজ করছে। মেয়েরা যেন নির্ভিগ্নে, নিশ্চিন্তে বিদ্যালয়ে আসতে পারে সেই পরিবেশ এবং বিদ্যালয়ে মাসিকবান্ধব টয়লেট স্থাপনের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারিভাবে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নারীরা এখনো তাদের অধিকার বঞ্চিত, তাদের অধিকার সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে পুরুষদের এগিয়ে আসতে হবে। নারী-পুরুষের সকলের পরিচয় হওয়া উচিত মানুষ। মানুষ হিসেবে নারী-পুরুষের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্যের অবসান ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নারীরা চাইলেই তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে, সেই জন্য দরকার আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যাওয়া। আর নারীরা এগিয়ে গেলেই দেশ এগিয়ে যাবে। তাই নিজেদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হতে হবে এবং নিজেদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন নিজের একটা সুষ্ঠু পরিকল্পনা।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রেইছা উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘নারীবান্ধব বিদ্যালয় ও তোমার ভাবনা’শীর্ষক বিষয়ের উপর রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রচনা প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করেন ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কবির বিনতে তাহসিন, ২য় স্থান অধিকার করেন অংমেচিং মার্মা এবং ৩য় স্থান অধিকার করেন উছাইসিং মার্মা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। সাংস্কৃতিক পর্বে নৃত্য পরিবেশন করেন চন্দ্রিমা ও তার দল, ওয়াংনু ও তার দল, শৈ মেও তার দল, ডউসিং ও তার দল। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন তহজিংডং এর প্রকল্প সমন্বয়কারী রমেশ কুমার তঞ্চঙ্গ্যাসহ ওএলএইচএফ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ।
উল্লেখ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে সিমাভী ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) এর সহায়তায় প্রকল্পটি পার্বত্য চট্টগ্রামের কিশোরী মেয়ে ও যুবতী নারীদের মর্যাদাপূর্ণ ও বৈষম্যহীন, সহিংসতামুক্ত জীবন গঠনে সহায়তা করার লক্ষ্যে এবং সর্বোপরি তাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।