অনলাইন রিপোর্ট |
করোনাভাইরাস চীনের বাইরে ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক শেষে জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় সংস্থাটি।
সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, চীনে এই ভাইরাসের প্রভাব কী তার চেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশে কি ঘটছে। উদ্বেগের বিষয় হল, দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেশগুলোতে এ ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, কয়েক দিনে মানুষে-মানুষে সংস্পর্শের মাধ্যমে করোনাভাইরাস যেভাবে কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে তা উদ্বেগের। যদিও চীনের বাইরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখনও খুব কম। কিন্তু তা সত্ত্বেও এটি মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ভাইরাসে আক্রান্তদের নির্দিষ্ট চিকিৎসা বা প্রতিষেধক নেই। তিনি বলেন, অনেক মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও আবার সেরে উঠতে পারেন। তবে শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে বাহিত হয়ে মারাত্মক সংক্রমণ তৈরি করতে পারে। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে এখন পর্যন্ত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা শুধু চীনেই ৮ হাজারের বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব মতে চীনের বাইরে ১৮টি দেশে ৯৮জনের শরীরের এমন ভাইরাস পাওয়া গেছে। এদের বেশির ভাগই চীনের উহান রাজ্য থেকে আসা। তবে চীনের বাইরে এখনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, মানব দেহের মাধ্যমে ছড়িয়েছে এমন ১৮টি ঘটনা পাওয়া গেছে জার্মানি জাপান, ভিয়েতনাম ও যুক্তরাষ্ট্রে।