নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাকেরগঞ্জে মৃত ব্যক্তির নামে দোয়া অনুষ্ঠানে বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠছে দাড়িয়াল ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে।
সূত্রে জানাযায়, দাড়িয়াল এলকার বারেক হাওলাদার গত ২৩ জানুয়ারী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। তার দাফনের জন্য মরদেহ নেয়া হয় এলকায়। জানাযা নামাজে বাধা প্রদান করে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ও তার ভাতিজা মোনাইম সহ অনেকে। স্থাণীয়দের সহযোগীতায় তার দাফন সম্পন্ন হয়। বারেক হাওলাদারের রুহের মাগফেরাত কামনায় গতকাল বাদ আসর কামারখালী বাজার জামে মসজিদ সহ তিনটি মসজিদে দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করে তার পরিবার। বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুল হককে উক্ত দোয়া মোনাজাত পরিচালনা না করার জন্য মোবাইল ফোন করে বাধা প্রদান করেন শহিদুল ইসলাম। এমনকি মসজিদে উপস্থিত থেকে মিলাদ অন্য সময় পড়ানোর দাবী তুলেন শহিদুল ইসলাম’র ভাতিজা মোনাইম। তাৎক্ষনিক তার প্রতিবাদ করেন ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই বাশির আহম্মেদ বাচ্চুসহ মুসল্লীরা। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক মিলাদ না হয়ে নামাজ শেষে মুসল্লীদের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে মসজিদের ইমাম বলেন, ‘সভাপতি সাহেব আমাকে আসরবাদ মিলাদ না পড়িয়ে বাদ মাগরিব মিলাদ সম্পন্ন করার জন্য বলেন।’ এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই বাশির আহম্মেদ বাচ্চু বলেন ‘ বাদ আসর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের ভাতিজা মোনাইম মিলাদ না পড়ার জন্য বলল্লে উপস্থিত মুসল্লীদের বাধার মুখে আসর বাদ মোনাজাত ও তবারক বিতরণ করা হয়েছে।’
ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘ জানাযার নামাজে কেউ কোন প্রকার বাধা প্রদান করেনি, আমিও জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। তাছাড়া একই সময়ে দুই জায়গায় মিলাদ না পড়ানোর জন্য ইমাম সাহেবকে বলেছিলাম।’
সূত্র: দৈনিক ন্যায় অন্যায়/ বরিশাল বানী