আদালত পাড়ায় ক্যাসিনোর কাণ্ডের মূল হোতা কর্তৃক হামলার শিকার সাংবাদিক!
- আপডেট সময় : ০১:১১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০ ৮৮ বার পড়া হয়েছে
ইসমাইল হোসেন টিটুঃ সিনোকাণ্ডের অন্যতম হোতা দুই ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভুইয়ার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ডিবিসি নিউজের দুই সাংবাদিক।
২৫ জানুয়ারি শনিবার সকালে কেরানীগঞ্জ কদমতলী চৌরাস্তা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে একটি মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়।মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জে প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী। মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
১৯ জানুয়ারি কোতোয়ালি থানায় তিন জন নাম ও ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা হয় এবং সাথে সাথে আদালত পাড়ায় থেকে একজন আটক করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
উল্লেখ্য ক্যাসিনোকাণ্ডের অন্যতম হোতা দুই ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভুইয়ার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক আহত হয়েছেন। বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসির ক্যামেরাপারসন আল আমিনের ওপর হামলা করা হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের মধ্যে মতিন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।আদালত সূত্রে জানা গেছে, রূপন-এনামুলকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আনা হয়। সেজন্য তাদের ৪০-৫০ জন সমর্থক ঢাকা দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়। দুপুর পৌনে ১টার দিকে রূপন-এনামুলকে প্রিজনভ্যান থেকে নামিয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে ওঠানোর সময় ডিবিসির ক্যামেরাপারসন আল আমিন ভিডিও করছিলেন। ওই সময় ৮-১০ জন সমর্থক তার ওপর হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারে। তার পকেটে থাকা ২০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। ক্যামেরাও ভেঙে ফেলে। এসময় দায়িত্বরত পুলিশ একজনকে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যায়।এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মুইনুল ইসলাম বলেন, মতিন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।ডিবিসির রিপোর্টার লিটন মাহমুদ বলেন, ‘আদালতে সাংবাদিকদের ওপর এভাবে হামলায় আমরা শঙ্কিত।