ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




কেন হলুদ খাবেন, কতটুকু খাবেন?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৭:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২০ ১২৭ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক;  বাঙালি রান্নার এক অনন্য উপকরণ হলুদ। যার ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই এ পর্যন্ত হয়ে আসছে। নিত্য দিনের রান্নায় হলুদ ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজেই পাওয়া যাবে না। রান্নায় এই মসলাজাতিও দ্রব্য শুধু রঙ তৈরি করে না বরং এর স্বাদও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়।

হলুদের এমন অনেক গুনাগুণ আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। দিনদিন হলুদের জনপ্রিয়তা বাড়ার কারণ- গবেষণায় হলুদের ইতিবাচক প্রভাব। হলুদের মধ্যে থাকা কারকুমিন বিভিন্ন অসুখ বিসুখের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক অন্যতম হাতিয়ার।

গবেষণা বলছে, হলুদ ব্যবহারে প্রদাহরোধী উপকার পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু শরীর থেকে প্রদাহ বা ব্যথা কমাতে কতটুকু হলুদ ব্যবহার করা উচিত? বিশেষজ্ঞদের মতে, হলুদ ব্যবহারের সর্বোত্তম ও নিরাপদ পরিমাণ নির্ভর করে কিছু বিষয়ের ওপর।

হলুদ গ্রহণের ভিন্ন কিছু উপায় রয়েছে। হলুদের গুঁড়া, হলুদের নির্যাস ও কারকামিন সাপ্লিমেন্ট হচ্ছে হলুদের প্রচলিত ব্যবহার। কারকামিন হলো হলুদের প্রধান সক্রিয় উপাদান যা হলুদকে প্রদাহনাশক ক্ষমতা দিয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল ফুড ইনফরমেশন কাউন্সিল ফাউন্ডেশনের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আলি ওয়েবস্টার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘হলুদের নির্যাস ও কারকামিন সাপ্লিমেন্টে বেশি মাত্রায় কারকামিন থাকে। ব্যথা কমাতে শুকনো হলুদের চেয়ে এগুলো বেশি কার্যকরী।

আমেরিকার আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন প্রদাহ বা ব্যথা কমাতে প্রতিদিন তিনটি করে ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিগ্রাম টারমারিক ক্যাপসুল অথবা অর্ধ থেকে তিন গ্রাম হলুদের গুঁড়া ব্যবহার করতে পরামর্শ দিচ্ছে। জার্নাল অব মেডিসিনাল ফুডে প্রকাশিত গবেষণা মতে, আর্থ্রাইটিস বা বাতের রোগীরা প্রতিদিন এক গ্রাম কারকামিন খেয়ে উপকার পেতে পারেন।

মনে রাখতে হবে, শরীর হলুদ ভালোভাবে শোষণ করতে পারে না। এ কারণে হলুদের সঙ্গে গোল মরিচ ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। সাধারণত রান্নায় যে পরিমাণ হলুদ ব্যবহার করা হয় তা নিরাপদ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না। কিন্তু অত্যধিক পরিমাণে হলুদ খেলে পেটে অস্বস্তিকর অনুভূতি, মাথাঘোরা, বমিভাব ও ডায়রিয়া হতে পারে।

কিছু রক্ত তরলকারী ওষুধ রয়েছে। ভুলেও এই ওষুধের সঙ্গে হলুদ খাবেন না। তাহলে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। তবে প্রদাহজনিত সমস্যা থাকলে প্রতিদিনকার রেসিপিতে এখন থেকে হলুদের গুঁড়া আরেকটু বাড়িয়ে নিতে পারেন। তবে এর আগে অবশ্যই পরিমাণ চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে ভুলবেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কেন হলুদ খাবেন, কতটুকু খাবেন?

আপডেট সময় : ০২:১৭:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২০

লাইফস্টাইল ডেস্ক;  বাঙালি রান্নার এক অনন্য উপকরণ হলুদ। যার ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই এ পর্যন্ত হয়ে আসছে। নিত্য দিনের রান্নায় হলুদ ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজেই পাওয়া যাবে না। রান্নায় এই মসলাজাতিও দ্রব্য শুধু রঙ তৈরি করে না বরং এর স্বাদও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়।

হলুদের এমন অনেক গুনাগুণ আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। দিনদিন হলুদের জনপ্রিয়তা বাড়ার কারণ- গবেষণায় হলুদের ইতিবাচক প্রভাব। হলুদের মধ্যে থাকা কারকুমিন বিভিন্ন অসুখ বিসুখের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক অন্যতম হাতিয়ার।

গবেষণা বলছে, হলুদ ব্যবহারে প্রদাহরোধী উপকার পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু শরীর থেকে প্রদাহ বা ব্যথা কমাতে কতটুকু হলুদ ব্যবহার করা উচিত? বিশেষজ্ঞদের মতে, হলুদ ব্যবহারের সর্বোত্তম ও নিরাপদ পরিমাণ নির্ভর করে কিছু বিষয়ের ওপর।

হলুদ গ্রহণের ভিন্ন কিছু উপায় রয়েছে। হলুদের গুঁড়া, হলুদের নির্যাস ও কারকামিন সাপ্লিমেন্ট হচ্ছে হলুদের প্রচলিত ব্যবহার। কারকামিন হলো হলুদের প্রধান সক্রিয় উপাদান যা হলুদকে প্রদাহনাশক ক্ষমতা দিয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল ফুড ইনফরমেশন কাউন্সিল ফাউন্ডেশনের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আলি ওয়েবস্টার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘হলুদের নির্যাস ও কারকামিন সাপ্লিমেন্টে বেশি মাত্রায় কারকামিন থাকে। ব্যথা কমাতে শুকনো হলুদের চেয়ে এগুলো বেশি কার্যকরী।

আমেরিকার আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন প্রদাহ বা ব্যথা কমাতে প্রতিদিন তিনটি করে ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিগ্রাম টারমারিক ক্যাপসুল অথবা অর্ধ থেকে তিন গ্রাম হলুদের গুঁড়া ব্যবহার করতে পরামর্শ দিচ্ছে। জার্নাল অব মেডিসিনাল ফুডে প্রকাশিত গবেষণা মতে, আর্থ্রাইটিস বা বাতের রোগীরা প্রতিদিন এক গ্রাম কারকামিন খেয়ে উপকার পেতে পারেন।

মনে রাখতে হবে, শরীর হলুদ ভালোভাবে শোষণ করতে পারে না। এ কারণে হলুদের সঙ্গে গোল মরিচ ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। সাধারণত রান্নায় যে পরিমাণ হলুদ ব্যবহার করা হয় তা নিরাপদ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না। কিন্তু অত্যধিক পরিমাণে হলুদ খেলে পেটে অস্বস্তিকর অনুভূতি, মাথাঘোরা, বমিভাব ও ডায়রিয়া হতে পারে।

কিছু রক্ত তরলকারী ওষুধ রয়েছে। ভুলেও এই ওষুধের সঙ্গে হলুদ খাবেন না। তাহলে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। তবে প্রদাহজনিত সমস্যা থাকলে প্রতিদিনকার রেসিপিতে এখন থেকে হলুদের গুঁড়া আরেকটু বাড়িয়ে নিতে পারেন। তবে এর আগে অবশ্যই পরিমাণ চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে ভুলবেন না।