আন্তর্জাতিক ডেস্ক; রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত যে আদেশ দিয়েছেন তা ক্ষোভের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেন মিয়ানমার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আদালতে ‘পরিস্থিতির বিকৃত ছবি’ উপস্থাপন করা হয়েছে।
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রাখাইনে সেনা অভিযান শুরু হলে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের শিকার হন এবং সাত লাখের বেশি মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) কর্তৃক আরোপিত পদক্ষেপগুলো বাধ্যতামূলক এবং আপিল যোগ্য নয়।
তবে এই আদেশ মানতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে পারে না আইসিজে। গত বছরের নভেম্বরে মুসলিম প্রধান আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার দায়ে মামলাটি দায়ের করে। আদালত সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড আবারও ঘটতে পারে।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশন রাখাইনে গণহত্যার কোনও প্রমাণ পায়নি। তবে সেখানে যুদ্ধাপরাধের ঘটনা ঘটেছে এবং তা তদন্ত করা হচ্ছে এবং মিয়ানমারের বিচার ব্যবস্থার অধীনে তাদের বিচার করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের সঙ্গে বেশ কিছু দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার ঘটনায় ‘হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টর্স’র সমালোচনা করেছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, এর ফলে রাখাইনে টেকসই উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে মিয়ানমারের সক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।