ঢাকা ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo প্রশ্নফাঁসে ১০ জনের সাজা, খালাস ১১৪ Logo জাতীয় লেখক উৎসব-২০২৪ অনুষ্ঠিত Logo আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর সামার-২০২৪ সেমিস্টারের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত Logo ঘুমের ঘোরে চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তর: পাহাড় কাটছে প্রভাবশালীরা Logo রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান সাবেক ডিআইজি হাবিব? Logo বিপুর লুটেরা সহযোগী ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি গাউছ মহিউদ্দিন বহাল পিজিসিবিতে! Logo আর্থিক খাতে লুটপাটের মাস্টারমাইন্ড: কে এই প্রতারক ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম? Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’




গণমাধ্যমে অস্থিরতা কি সত্যি ভয়াবহ?- নয়ন মুরাদ 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৭:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০ ১৪০ বার পড়া হয়েছে
গণমাধ্যমের সংকট গণমাধ্যমকর্মীদের হতাশা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে লিখেছেন মেধাবী গণমাধ্যম কর্মী নয়ন মুরাদ….

বাংলাদেশের গণমাধ্যম সঙ্কটকাল অতিবাহিত করছে এটা ঠিক। অনেক সাংবাদিক পেশা ছেড়ে কর্পোরেট পেশায় চলে যাচ্ছেন। আবার বন্ধুরা প্রতিদিনই বলেন, ‘ভাই এ পেশায় আর থাকা যাবে না’। অনেকেই বিকল্প পেশা চিন্তা করছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি ব্যবসার পরিকল্পনার করছেন। কিন্তু আসলেই কি অবস্থা অতিমাত্রায় ভয়াবহ?

বেতন-ভাতা:
পত্রিকার জন্য নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা হলেও হাতে গোনা কয়েকটি হাউজ ছাড়া বাকি মালিকরা এখনো তা বাস্তবায়ন করেননি। তবে সেসব হাউজে আগের মতোই বেতন ভাতা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ‘মুল ধারার’ পত্রিকা, টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইন প্রচার মাধ্যমের সংখ্যা প্রায় ২০০। এই দুইশো হাউজের মধ্যে বেতন নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে এমন হাউজের সংখ্যা ১৫/২০টি। কমও হতে পারে। বাকিরা বেতন দিচ্ছে এবং সাংবাদিক-কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন। হয়তো যোগ্যতা অনুযায়ী আশানুরূপ পাচ্ছেন না। কিন্তু একেবারেই বেতন-ভাতা ছাড়া মাসের পর মাস কাজ করতে হচ্ছে এমন হাউজের সংখ্যা একেবারেই হাতে গোনা কয়েকটি। (যাদের সন্দেহ আছে, তারা খোঁজ খবর নিন। কাগজ কলম নিয়ে তালিকা করুন। আন্ডারগ্রাউন্ড সংখ্যা বাদ দিয়ে হিসেব করুন।) তার মানে এই সেক্টর নিয়ে খুব বেশি আশাহত হওয়ার কারণ দেখি না। তবে এটি একটি অনিশ্চিত পেশা তা সত্যি। গত কয়েক বছরে বেতন ভাতা ও ছাটাই নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন হয়েছে, তাও সব মিলিয়ে ৮/১০টি বেশি হবে না।

কাজের পরিবেশ ও স্বাধীনতা:
নানান আইন কানুনের কারণে সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ ও স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়েছে এটা ঠিক। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার দরজা প্রতিনিয়ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে, এসব আইন কানুনের কারণে সংবাদের নামে লাগামহীন গল্প লেখাও বন্ধ হয়েছে। এটাও জরুরী ছিলো। প্রত্যেকটি পেশারই কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। তবে সাংবাদিকরা নিয়মিত হামলা-মামলার শিকার হচ্ছে, যা স্বাধীন সাংবাদিকতায় বড় ধরনের অন্তরায়। আবার সাংবাদিকদের সামাজিক মর্যাদা আগের চেয়ে নি:সন্দেহে বেড়েছে। আপাত দৃষ্টিতে কম মনে হতে পারে।

সব মিলিয়ে যা বলতে চাই…
হাতে গোনা কয়েকটি হাউজে বেতন-ভাতা কিংবা ছাটাই সমস্যা বৃহৎ গণমাধ্যম শিল্পের জন্য উদাহরণ হতে পারে না। অধিকাংশ হাউজের সমস্যা নেই। এটাই উদাহরণ। আর তথ্য সংগ্রহ ও সংবাদ পরিবেশনের কৌশল জানলে আইন-কানুন কিংবা রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোনও সমস্যা নয়। আশাহত হওয়ার কিছু নেই। আশাবাদিরাই ভবিষ্যৎ….সাংবাদিকদের মর্যাদার প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে সব সমস্যা আছে, তাও কেটে যাবে।

(জ্ঞান দেওয়ার জন্য নয়, আশাবাদি করার জন্য লিখলাম। শুধুমাত্র ঢাকায় কর্মরতদের নিয়ে প্রথম পর্ব।)

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




গণমাধ্যমে অস্থিরতা কি সত্যি ভয়াবহ?- নয়ন মুরাদ 

আপডেট সময় : ০৬:৪৭:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০
গণমাধ্যমের সংকট গণমাধ্যমকর্মীদের হতাশা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে লিখেছেন মেধাবী গণমাধ্যম কর্মী নয়ন মুরাদ….

বাংলাদেশের গণমাধ্যম সঙ্কটকাল অতিবাহিত করছে এটা ঠিক। অনেক সাংবাদিক পেশা ছেড়ে কর্পোরেট পেশায় চলে যাচ্ছেন। আবার বন্ধুরা প্রতিদিনই বলেন, ‘ভাই এ পেশায় আর থাকা যাবে না’। অনেকেই বিকল্প পেশা চিন্তা করছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি ব্যবসার পরিকল্পনার করছেন। কিন্তু আসলেই কি অবস্থা অতিমাত্রায় ভয়াবহ?

বেতন-ভাতা:
পত্রিকার জন্য নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা হলেও হাতে গোনা কয়েকটি হাউজ ছাড়া বাকি মালিকরা এখনো তা বাস্তবায়ন করেননি। তবে সেসব হাউজে আগের মতোই বেতন ভাতা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ‘মুল ধারার’ পত্রিকা, টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইন প্রচার মাধ্যমের সংখ্যা প্রায় ২০০। এই দুইশো হাউজের মধ্যে বেতন নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে এমন হাউজের সংখ্যা ১৫/২০টি। কমও হতে পারে। বাকিরা বেতন দিচ্ছে এবং সাংবাদিক-কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন। হয়তো যোগ্যতা অনুযায়ী আশানুরূপ পাচ্ছেন না। কিন্তু একেবারেই বেতন-ভাতা ছাড়া মাসের পর মাস কাজ করতে হচ্ছে এমন হাউজের সংখ্যা একেবারেই হাতে গোনা কয়েকটি। (যাদের সন্দেহ আছে, তারা খোঁজ খবর নিন। কাগজ কলম নিয়ে তালিকা করুন। আন্ডারগ্রাউন্ড সংখ্যা বাদ দিয়ে হিসেব করুন।) তার মানে এই সেক্টর নিয়ে খুব বেশি আশাহত হওয়ার কারণ দেখি না। তবে এটি একটি অনিশ্চিত পেশা তা সত্যি। গত কয়েক বছরে বেতন ভাতা ও ছাটাই নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন হয়েছে, তাও সব মিলিয়ে ৮/১০টি বেশি হবে না।

কাজের পরিবেশ ও স্বাধীনতা:
নানান আইন কানুনের কারণে সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ ও স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়েছে এটা ঠিক। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার দরজা প্রতিনিয়ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে, এসব আইন কানুনের কারণে সংবাদের নামে লাগামহীন গল্প লেখাও বন্ধ হয়েছে। এটাও জরুরী ছিলো। প্রত্যেকটি পেশারই কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। তবে সাংবাদিকরা নিয়মিত হামলা-মামলার শিকার হচ্ছে, যা স্বাধীন সাংবাদিকতায় বড় ধরনের অন্তরায়। আবার সাংবাদিকদের সামাজিক মর্যাদা আগের চেয়ে নি:সন্দেহে বেড়েছে। আপাত দৃষ্টিতে কম মনে হতে পারে।

সব মিলিয়ে যা বলতে চাই…
হাতে গোনা কয়েকটি হাউজে বেতন-ভাতা কিংবা ছাটাই সমস্যা বৃহৎ গণমাধ্যম শিল্পের জন্য উদাহরণ হতে পারে না। অধিকাংশ হাউজের সমস্যা নেই। এটাই উদাহরণ। আর তথ্য সংগ্রহ ও সংবাদ পরিবেশনের কৌশল জানলে আইন-কানুন কিংবা রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোনও সমস্যা নয়। আশাহত হওয়ার কিছু নেই। আশাবাদিরাই ভবিষ্যৎ….সাংবাদিকদের মর্যাদার প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে সব সমস্যা আছে, তাও কেটে যাবে।

(জ্ঞান দেওয়ার জন্য নয়, আশাবাদি করার জন্য লিখলাম। শুধুমাত্র ঢাকায় কর্মরতদের নিয়ে প্রথম পর্ব।)