ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




সোনারগাঁওয়ে উপজেলা নির্বাহীর মদদে অবৈধ বালু উত্তলন, হুমকির মুখে কয়েকটি গ্রাম!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০ ৯০ বার পড়া হয়েছে

এস এম রাজু আহমেদঃ নারায়ণগন্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মেঘনা নদীর আনন্দবাজার এলাকায় ইজার ছাড়াই কয়েকটি শক্তিসালি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন। গনমাধ্য সংবাদ প্রকাশের পরও দৃষ্টি পরেনি প্রশাসনের। মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলেফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। বালু খেকোদের অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে মেঘনা আশেপাশের অনেক গ্রাম হুমকির মুখে রয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকাট গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ইতি মধ্যে মালিগাঁও, হাড়িয়া, গোবিন্দি, হাড়িয়া, বৈদ্যেপাড়া, সোনামুইসহ কয়েকটি গ্রাম নদীতে বিলীন হওয়ার হুমকিতে রয়েছে।

যাদের বিরুদ্ধে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে তারা সবাই স্থানীয় প্রভাবশালী। তাদের মধ্যে রয়েছেন বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের টেকপাড়া আমিরাবাদ গ্রামের মৃত নুরু মিয়ার ছেলে আমির হোসেন,আল আমিন, রুহুল আমিন, সানাউল্লাহ ও কবির হোসেন। ১০/১৫ জনের একটি প্রভাবশালীরা- সিন্ডিকেট প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রাশ্যে দিন রাত অবৈধ ভারে বালু উত্তোলন করে আসছে।

উপজেলার মেঘনা নদীতে আমির হোসেন, আল আমিন ও রুহুল আমিনে নেতৃত্বে সানাউল্লাহ ও কবির হোসেন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ ছাড়া বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকার এলাকায় আমির হোসেন একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। ওই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে মেঘনা নদী থেকে প্রতিদিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এজন্য তারা মেঘনা নদীর আনন্দবাজার এলাকায় বসিয়েছে ২০ থেকে ৩০টি ড্রেজার।

আজ সোমবার মেঘনা নদীর আনন্দবাজার এলাকার ১৫-১৬টি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করতে দেখা গেছে। ওই এলাকায় একটি ট্রলারে লাঠিসোটা নিয়ে পাহারা দিচ্ছে বালু উত্তোলনকারীদের লোকজন।

সোনারগাঁওয়ের মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন ও বালু মহাল বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে ডিও লেটার দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। গত ২৬ নভেম্বর জেলা প্রশাসক ও ২৮ নভেম্বর পুলিশ সুপার বরাবর এ ডিও লেটার প্রদান করেন তিনি।
ডিও লেটারে উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদীর থেকে আল-আমিন ও এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও নৌ-চাঁদাবাজরা নুনেরটেক এলাকার মেঘনা নদীর তীর ঘেষে ৮/১০টি শক্তিশালী ড্রেজার দিয়ে রাতদিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে ডিও লেটার দিলেও বন্ধ হয়নি অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সুত্র জানান, উপজেলার আনন্দবাজারে অবৈধ বালুমহালের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের টেকপাড়া আমিরাবাদ এলাকার মৃত. আরজ আলীর ছেলে জাকির হোসেন (৩২) নামে এক যুবক খুন হয়। এর পর কিছু দিন বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও গত কয়ে দিন ধরে প্রকাশ্বে আন্দবাজার এলাকায় আমির হোসেন, আল আমিন ও রুহুল আমিনে নেতৃত্বে সানারউল্লাহ ও কবির হোসেন অবৈধ ভারে বালু উত্তোলন করে আসছে।

সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুর রহমান খান বলেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এখন পযর্ন্ত তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সোনারগাঁওয়ে উপজেলা নির্বাহীর মদদে অবৈধ বালু উত্তলন, হুমকির মুখে কয়েকটি গ্রাম!

আপডেট সময় : ০২:১৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০

এস এম রাজু আহমেদঃ নারায়ণগন্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মেঘনা নদীর আনন্দবাজার এলাকায় ইজার ছাড়াই কয়েকটি শক্তিসালি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন। গনমাধ্য সংবাদ প্রকাশের পরও দৃষ্টি পরেনি প্রশাসনের। মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলেফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। বালু খেকোদের অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে মেঘনা আশেপাশের অনেক গ্রাম হুমকির মুখে রয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকাট গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ইতি মধ্যে মালিগাঁও, হাড়িয়া, গোবিন্দি, হাড়িয়া, বৈদ্যেপাড়া, সোনামুইসহ কয়েকটি গ্রাম নদীতে বিলীন হওয়ার হুমকিতে রয়েছে।

যাদের বিরুদ্ধে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে তারা সবাই স্থানীয় প্রভাবশালী। তাদের মধ্যে রয়েছেন বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের টেকপাড়া আমিরাবাদ গ্রামের মৃত নুরু মিয়ার ছেলে আমির হোসেন,আল আমিন, রুহুল আমিন, সানাউল্লাহ ও কবির হোসেন। ১০/১৫ জনের একটি প্রভাবশালীরা- সিন্ডিকেট প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রাশ্যে দিন রাত অবৈধ ভারে বালু উত্তোলন করে আসছে।

উপজেলার মেঘনা নদীতে আমির হোসেন, আল আমিন ও রুহুল আমিনে নেতৃত্বে সানাউল্লাহ ও কবির হোসেন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ ছাড়া বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকার এলাকায় আমির হোসেন একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। ওই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে মেঘনা নদী থেকে প্রতিদিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এজন্য তারা মেঘনা নদীর আনন্দবাজার এলাকায় বসিয়েছে ২০ থেকে ৩০টি ড্রেজার।

আজ সোমবার মেঘনা নদীর আনন্দবাজার এলাকার ১৫-১৬টি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করতে দেখা গেছে। ওই এলাকায় একটি ট্রলারে লাঠিসোটা নিয়ে পাহারা দিচ্ছে বালু উত্তোলনকারীদের লোকজন।

সোনারগাঁওয়ের মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন ও বালু মহাল বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে ডিও লেটার দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। গত ২৬ নভেম্বর জেলা প্রশাসক ও ২৮ নভেম্বর পুলিশ সুপার বরাবর এ ডিও লেটার প্রদান করেন তিনি।
ডিও লেটারে উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদীর থেকে আল-আমিন ও এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও নৌ-চাঁদাবাজরা নুনেরটেক এলাকার মেঘনা নদীর তীর ঘেষে ৮/১০টি শক্তিশালী ড্রেজার দিয়ে রাতদিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে ডিও লেটার দিলেও বন্ধ হয়নি অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সুত্র জানান, উপজেলার আনন্দবাজারে অবৈধ বালুমহালের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের টেকপাড়া আমিরাবাদ এলাকার মৃত. আরজ আলীর ছেলে জাকির হোসেন (৩২) নামে এক যুবক খুন হয়। এর পর কিছু দিন বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও গত কয়ে দিন ধরে প্রকাশ্বে আন্দবাজার এলাকায় আমির হোসেন, আল আমিন ও রুহুল আমিনে নেতৃত্বে সানারউল্লাহ ও কবির হোসেন অবৈধ ভারে বালু উত্তোলন করে আসছে।

সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুর রহমান খান বলেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এখন পযর্ন্ত তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।