ঢাকা ১১:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’ Logo ওয়াসা প্রকৌশলী ফকরুলের আমলনামা: অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য Logo আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা Logo সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ Logo স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির রাঘব বোয়াল বায়ো ট্রেড ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাব্বি লাপাত্তা




ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২০ ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে কৃষিমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্ট |  ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় পেঁয়াজের দাম কমবে। শিগগির বাজারে এর প্রভাব পড়বে। বললেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য শিরিন আখতারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এখন পেঁয়াজের মৌসুম। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে এবং অন্যান্য দেশ থেকেও এসময় পেঁয়াজ আসবে। কোনওক্রমেই পেঁয়াজের দাম ১১০ টাকা কেজি থাকবে না। এটা অবশ্যই কমে আসবে।
তিনি বলেন, আমরা পেঁয়াজের ওপর গবেষণা করেছি এবং বিজ্ঞানীরা অনেক উন্নতমানের জাত আবিষ্কার করেছে। যা হেক্টরে ২০, ২৫, ৩০ টন পর্যন্ত পেঁয়াজ উৎপাদন করা সম্ভব।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতির কারণে সব মসলা বাংলাদেশে হয় না। অনেক মসলা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যেগুলো আমাদের দেশে হয় সেগুলো তো উৎপাদন করছি এবং চালাচি জাতীয় মসলা যারা আবাদ করবে তাদের ৪ শতাংশ হারে সুদ দিয়ে কৃষককে প্রণোদনা দেয় বা ঋণ দেয়। কৃষকরা যদি মসলা, পেঁয়াজ উৎপাদন করে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, এলাচির দাম আন্তর্জাতিক বাজারেই বেশি। তাছাড়া সবজির দাম এবার তুলনামূলকভাবে বেশি। একদিকে সবজি আবাদ করতে যে খরচ হয়, সে অনুযায়ী কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। আবার যেটা অস্বাভাবিক সেটাও গ্রহণযোগ্য না। আমরা এমন একটা জায়গায় আছি আমাদের জন্য উভয় সঙ্কট।
সাংসদ আয়েন উদ্দিনের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে দাম কিছুটা বৃদ্ধি থাকলেও স্থিতিশীল রয়েছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তবে আগামীতে পেঁয়াজ নিয়ে কোনও সঙ্কট সৃষ্টি হবে না।
তিনি জানান, দেশে ২৩ থেকে ২৪ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, কিন্তু চাহিদা রয়েছে ৩০ থেকে ৩২ লাখ মেট্রিক টন। অবশিষ্ট চাহিদা পূরণে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২০

অনলাইন রিপোর্ট |  ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় পেঁয়াজের দাম কমবে। শিগগির বাজারে এর প্রভাব পড়বে। বললেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য শিরিন আখতারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এখন পেঁয়াজের মৌসুম। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে এবং অন্যান্য দেশ থেকেও এসময় পেঁয়াজ আসবে। কোনওক্রমেই পেঁয়াজের দাম ১১০ টাকা কেজি থাকবে না। এটা অবশ্যই কমে আসবে।
তিনি বলেন, আমরা পেঁয়াজের ওপর গবেষণা করেছি এবং বিজ্ঞানীরা অনেক উন্নতমানের জাত আবিষ্কার করেছে। যা হেক্টরে ২০, ২৫, ৩০ টন পর্যন্ত পেঁয়াজ উৎপাদন করা সম্ভব।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতির কারণে সব মসলা বাংলাদেশে হয় না। অনেক মসলা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যেগুলো আমাদের দেশে হয় সেগুলো তো উৎপাদন করছি এবং চালাচি জাতীয় মসলা যারা আবাদ করবে তাদের ৪ শতাংশ হারে সুদ দিয়ে কৃষককে প্রণোদনা দেয় বা ঋণ দেয়। কৃষকরা যদি মসলা, পেঁয়াজ উৎপাদন করে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, এলাচির দাম আন্তর্জাতিক বাজারেই বেশি। তাছাড়া সবজির দাম এবার তুলনামূলকভাবে বেশি। একদিকে সবজি আবাদ করতে যে খরচ হয়, সে অনুযায়ী কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। আবার যেটা অস্বাভাবিক সেটাও গ্রহণযোগ্য না। আমরা এমন একটা জায়গায় আছি আমাদের জন্য উভয় সঙ্কট।
সাংসদ আয়েন উদ্দিনের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে দাম কিছুটা বৃদ্ধি থাকলেও স্থিতিশীল রয়েছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তবে আগামীতে পেঁয়াজ নিয়ে কোনও সঙ্কট সৃষ্টি হবে না।
তিনি জানান, দেশে ২৩ থেকে ২৪ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, কিন্তু চাহিদা রয়েছে ৩০ থেকে ৩২ লাখ মেট্রিক টন। অবশিষ্ট চাহিদা পূরণে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।