ঢাকা ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo প্রশ্নফাঁসে ১০ জনের সাজা, খালাস ১১৪ Logo জাতীয় লেখক উৎসব-২০২৪ অনুষ্ঠিত Logo আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর সামার-২০২৪ সেমিস্টারের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত Logo ঘুমের ঘোরে চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তর: পাহাড় কাটছে প্রভাবশালীরা Logo রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান সাবেক ডিআইজি হাবিব? Logo বিপুর লুটেরা সহযোগী ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি গাউছ মহিউদ্দিন বহাল পিজিসিবিতে! Logo আর্থিক খাতে লুটপাটের মাস্টারমাইন্ড: কে এই প্রতারক ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম? Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’




পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড বাতিল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০ ১১৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক; 

রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতের ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করেছেন দেশটির হাইকোর্ট। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী অসন্তোষ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়ার এক মাস না পেরোতেই সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এ আদেশ দিলেন লাহোর হাইকোর্ট।

আদালতের এ আদেশের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ইশতিয়াক এ. খান বলেন, ‘অভিযোগ গঠন, আদালত স্থাপন থেকে শুরু করে কৌঁসুলি টিম নিয়োগ পর্যন্ত সবই অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে…সর্বোপরি পুরো আদেশই বাতিল হয়ে গেছে আদালতে।’এ কৌঁসুলি বলেন, ‘তিনি (পারভেজ মোশাররফ) এখন মুক্ত। এই মুহূর্তে তার বিরুদ্ধে আর কোনো দণ্ডাদেশ নেই।’

এখন রাষ্ট্রপক্ষ চাইলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদনসাপেক্ষে মোশাররফের বিরুদ্ধে ফের মামলা করতে পারে।

পারভেজ মোশাররফ সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে নওয়াজ শরিফের সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালের নভেম্বরে তিনি দেশটির সংবিধান বাতিল করে জরুরি অবস্থা জারি করেন। তারপর বিক্ষোভ শুরু হলে অভিশংসনের ঝুঁকি এড়াতে ২০০৮ সালে পদত্যাগ করেন মোশাররফ।

সংবিধান বাতিলের কারণে ২০১৩ সালে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বে মুসলিম লিগ ক্ষমতায় থাকাকালে মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এই মামলার দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর বিশেষ আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চ গত ১৭ ডিসেম্বর মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার বহু আগে থেকে মোশাররফ বিদেশে আছেন। তিনি বর্তমানে আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হলে সেদিনই বিবৃতি দেয় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডকে সশস্ত্র বাহিনীর পদমর্যাদার জন্য ‘বিরাট এক বেদনা ও প্রচণ্ড কষ্টকর ব্যাপার’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একজন সাবেক সেনাপ্রধান, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের কমিটির চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, যিনি ৪০ বছর দেশের সেবা করেছেন, দেশের হয়ে যুদ্ধে লড়েছেন, তিনি কোনোভাবেই দেশদ্রোহী হতে পারেন না।’

সামরিক বাহিনীর ওই বিবৃতির পর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চ্যালেঞ্জ করে লাহোর হাইকোর্টে আবেদন করেন পারভেজ মোশাররফ। এরপর ইমরান খানের সরকারও বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। পারভেজ মোশাররফের ফাঁসির রায় দেয়া বিশেষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চের প্রধানকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলেন দেশটির আইনমন্ত্রী ফারুগ নাশিম।

এমনসব নাটকীয়তার পর সোমবার লাহোর হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এ আদেশ এলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড বাতিল

আপডেট সময় : ১২:১৭:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক; 

রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতের ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করেছেন দেশটির হাইকোর্ট। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী অসন্তোষ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়ার এক মাস না পেরোতেই সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এ আদেশ দিলেন লাহোর হাইকোর্ট।

আদালতের এ আদেশের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ইশতিয়াক এ. খান বলেন, ‘অভিযোগ গঠন, আদালত স্থাপন থেকে শুরু করে কৌঁসুলি টিম নিয়োগ পর্যন্ত সবই অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে…সর্বোপরি পুরো আদেশই বাতিল হয়ে গেছে আদালতে।’এ কৌঁসুলি বলেন, ‘তিনি (পারভেজ মোশাররফ) এখন মুক্ত। এই মুহূর্তে তার বিরুদ্ধে আর কোনো দণ্ডাদেশ নেই।’

এখন রাষ্ট্রপক্ষ চাইলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদনসাপেক্ষে মোশাররফের বিরুদ্ধে ফের মামলা করতে পারে।

পারভেজ মোশাররফ সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে নওয়াজ শরিফের সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালের নভেম্বরে তিনি দেশটির সংবিধান বাতিল করে জরুরি অবস্থা জারি করেন। তারপর বিক্ষোভ শুরু হলে অভিশংসনের ঝুঁকি এড়াতে ২০০৮ সালে পদত্যাগ করেন মোশাররফ।

সংবিধান বাতিলের কারণে ২০১৩ সালে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বে মুসলিম লিগ ক্ষমতায় থাকাকালে মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এই মামলার দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর বিশেষ আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চ গত ১৭ ডিসেম্বর মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার বহু আগে থেকে মোশাররফ বিদেশে আছেন। তিনি বর্তমানে আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হলে সেদিনই বিবৃতি দেয় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডকে সশস্ত্র বাহিনীর পদমর্যাদার জন্য ‘বিরাট এক বেদনা ও প্রচণ্ড কষ্টকর ব্যাপার’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একজন সাবেক সেনাপ্রধান, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের কমিটির চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, যিনি ৪০ বছর দেশের সেবা করেছেন, দেশের হয়ে যুদ্ধে লড়েছেন, তিনি কোনোভাবেই দেশদ্রোহী হতে পারেন না।’

সামরিক বাহিনীর ওই বিবৃতির পর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চ্যালেঞ্জ করে লাহোর হাইকোর্টে আবেদন করেন পারভেজ মোশাররফ। এরপর ইমরান খানের সরকারও বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। পারভেজ মোশাররফের ফাঁসির রায় দেয়া বিশেষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চের প্রধানকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলেন দেশটির আইনমন্ত্রী ফারুগ নাশিম।

এমনসব নাটকীয়তার পর সোমবার লাহোর হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এ আদেশ এলো।