ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গোপালগঞ্জে ‘নৌকার দুর্গ’ ভাঙার চ্যালেঞ্জে বিএনপি Logo ফরিদপুরে কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ Logo ডিপিডিসির রুহুল আমিন ফকির দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন শতকোটি টাকার সম্পদ Logo উত্তরখানে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা Logo খুলনা-৬ আসনে বিএনপির সাক্ষাতের ডাক পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo গুলশানে ‘Bliss Art Lounge’-এ অভিযান: প্রচুর বিদেশি মদসহ ৯ জন গ্রেফতার Logo টঙ্গীতে ১১ বছরের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নিখোঁজ Logo “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” পেলেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ Logo খুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ, এলাকায় চাপা উত্তেজনা Logo স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী ‘যশোর বিআরটিএ অফিসের তারিক ধরাছোঁয়ার বাইরে|(পর্ব – ০১)

মিলান কনস্যুলেটে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০ ২৭৮ বার পড়া হয়েছে

ইউরোপ ব্যুরোঃ

বাংলাদেশ দূতাবাস রোম যথাযথ মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে। একই সাথে কেন্দ্রীয় উদ্বোধনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ল্যাপটপে কাউন্ট ডাউন ক্লক চালুর মাধ্যমে জন্মশতবার্ষিকীর শুভ ক্ষণগণনা শুরু করেন রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার।

ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও জন্মশতবার্ষিকী ক্ষণগণনা উপলক্ষে ১০ জানুয়ারি বিকেলে দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনায় বক্তারা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যার নেতৃত্বে বাঙালি পেয়েছে এক স্বাধীন বাংলাদেশ।

রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি দেশে প্রত্যাবর্তন করলেও ৪ জানুয়ারি পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্ত হন। সেখান থেকে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন।

তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করলেও জনগণ প্রকৃত বিজয় উপলব্ধি করেন বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যবর্তনের মধ্য দিয়ে। তার আগ পর্যন্ত স্বাধীনতা পেয়েছে কিনা সে বিষয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহ ছিল।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর অস্থিমজ্জায় একজন প্রকৃত বাঙালি হিসেবে সারাজীবন বাঙালি জাতির উন্নয়নে কাজ করেছেন। রাষ্ট্রদূত দুঃখের সাথে বলেন, যে বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই করেছেন, তাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নয়, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বাঙালিরাই বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।

রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দেশ স্বাধীন হবার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দেশ উন্নয়নের সকল ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু পুরোপুরি বাস্তবায়নের আগেই নির্মমভাবে খুন হন যা বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজেই সেই অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে নিয়োজিত আছেন, এবং তার এই আরাধ্য কাজে সকল স্বাধীনতাকামী মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সকলকে অনুরোধ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করতে এবং আগামী প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে তুলে ধরতে সরকার ১৭ই মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ই মার্চ ২০২১ সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন করা হবে।

এ দূতাবাসও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন করবে। কর্মসূচির মধ্যে থাকবে আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর চিত্র প্রদর্শনী ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং ইতালির বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ কন্সুলার সেবা প্রদান। এসব কর্মসূচিগুলিতে সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :
error: Content is protected !!

মিলান কনস্যুলেটে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা

আপডেট সময় : ০৮:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০

ইউরোপ ব্যুরোঃ

বাংলাদেশ দূতাবাস রোম যথাযথ মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে। একই সাথে কেন্দ্রীয় উদ্বোধনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ল্যাপটপে কাউন্ট ডাউন ক্লক চালুর মাধ্যমে জন্মশতবার্ষিকীর শুভ ক্ষণগণনা শুরু করেন রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার।

ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও জন্মশতবার্ষিকী ক্ষণগণনা উপলক্ষে ১০ জানুয়ারি বিকেলে দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনায় বক্তারা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যার নেতৃত্বে বাঙালি পেয়েছে এক স্বাধীন বাংলাদেশ।

রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি দেশে প্রত্যাবর্তন করলেও ৪ জানুয়ারি পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্ত হন। সেখান থেকে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন।

তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করলেও জনগণ প্রকৃত বিজয় উপলব্ধি করেন বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যবর্তনের মধ্য দিয়ে। তার আগ পর্যন্ত স্বাধীনতা পেয়েছে কিনা সে বিষয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহ ছিল।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর অস্থিমজ্জায় একজন প্রকৃত বাঙালি হিসেবে সারাজীবন বাঙালি জাতির উন্নয়নে কাজ করেছেন। রাষ্ট্রদূত দুঃখের সাথে বলেন, যে বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই করেছেন, তাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নয়, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বাঙালিরাই বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।

রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দেশ স্বাধীন হবার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দেশ উন্নয়নের সকল ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু পুরোপুরি বাস্তবায়নের আগেই নির্মমভাবে খুন হন যা বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজেই সেই অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে নিয়োজিত আছেন, এবং তার এই আরাধ্য কাজে সকল স্বাধীনতাকামী মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সকলকে অনুরোধ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করতে এবং আগামী প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে তুলে ধরতে সরকার ১৭ই মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ই মার্চ ২০২১ সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন করা হবে।

এ দূতাবাসও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন করবে। কর্মসূচির মধ্যে থাকবে আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর চিত্র প্রদর্শনী ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং ইতালির বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ কন্সুলার সেবা প্রদান। এসব কর্মসূচিগুলিতে সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।