ঢাকা ১০:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’ Logo ওয়াসা প্রকৌশলী ফকরুলের আমলনামা: অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য Logo আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা Logo সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ Logo স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির রাঘব বোয়াল বায়ো ট্রেড ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাব্বি লাপাত্তা




জাল সঞ্চয়পত্র দিয়ে ৯ কোটি আত্মসাৎ করেছে বাদল দম্পতি!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০ ১০৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বিগত কয়েক বছরে ২১টি ভুয়া সঞ্চয়পত্র জমা দিয়ে দুটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে আট কোটি ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে এক দম্পতি। অবশেষে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেফতার দুইজন হচ্ছেন- এইচ এম এ বারিক ওরফে বাদল ওরফে বাদল হাওলাদার ওরফে মোস্তাক আহমেদ এবং তার স্ত্রী মরশিদা আফরীন। সিআইডি জানায়, ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তারা ভুয়া সঞ্চয়পত্র জমা দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সিআইডির সদর দফতরে সিআইডির ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তদন্তের বিষয়ে সিআইডি কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, ‘২০০৪ সাল থেকে একটি প্রতারক চক্র ২১টি ভুয়া সঞ্চয়পত্র তৈরি করে এর বিপরীতে এবি ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে আট কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার তৎকালীন ম্যানেজার জড়িত ছিল।’

উক্ত দম্পতি জালিয়াতি করে ঢাকায় একাধিক বাড়ি ও অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দম্পতির ব্যাংক হিসাবে জালিয়াতি করে উপার্জিত দুই কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছি। এছাড়াও তাদের নামে গুলশান-২ এ প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যে একটি ৯ তলা বাড়ি, একাধিক ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমির তথ্য পেয়েছি।’

তিনি জানান, ২০০৪ সালে এবি ব্যাংক থেকে এভাবে জালিয়াতি অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়। তবে তখন থেকে পালিয়ে ছিলেন মোস্তাক হাওলাদার। তখন ওই মামলায় তার সাজাও হয়েছে। এরপর থেকে সে পলাতক।

গত ১৬ বছরে সে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভারতে পালিয়ে ছিল। ২০১১ সালে গোপনে দেশে এসে আবার জালিয়াতি শুরু করে। ১৬ বছর ধরে পলাতক মোস্তাককে খুঁজছিল পুলিশ।

তিনি আরও জানান, ওই মামলায় এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি ব্রাঞ্চের তৎকালীন ম্যানেজার আসিরুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে তিনমাস কারাভোগ করেন তিনি। পরবর্তীতে সে জামিনে মুক্ত হলে হৃদরোগে মারা যান। তবে এর সঙ্গে ব্যাংকের আর কোনো কর্মকর্তা জড়িত আছে কি না? তা তদন্ত করে দেখছে সিআইডি।

ব্যাংক থেকে ভুয়া সঞ্চয়পত্র দিয়ে ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের এই ঘটনায় দুদক ২০০৪, ২০১১ ও ২০১৬ সালে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরা পশ্চিম ও মোহাম্মদপুর থানায় সাতটি মামলা দায়ের করে। মামলাগুলো সিআইডি তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।

সিআইডি জানিয়েছে, চক্রটির মূলহোতা একজন শিল্পপতি। তার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যবসা ছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই শিল্পপতির নাম গোপন রেখেছে সিআইডি। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে তারা। ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাৎ করে সে ব্যবসা করে শিল্পপতি হয়েছে। তার পরিচয় পেয়েছে সিআইডি। শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




জাল সঞ্চয়পত্র দিয়ে ৯ কোটি আত্মসাৎ করেছে বাদল দম্পতি!

আপডেট সময় : ০৫:৪১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বিগত কয়েক বছরে ২১টি ভুয়া সঞ্চয়পত্র জমা দিয়ে দুটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে আট কোটি ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে এক দম্পতি। অবশেষে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেফতার দুইজন হচ্ছেন- এইচ এম এ বারিক ওরফে বাদল ওরফে বাদল হাওলাদার ওরফে মোস্তাক আহমেদ এবং তার স্ত্রী মরশিদা আফরীন। সিআইডি জানায়, ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তারা ভুয়া সঞ্চয়পত্র জমা দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সিআইডির সদর দফতরে সিআইডির ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তদন্তের বিষয়ে সিআইডি কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, ‘২০০৪ সাল থেকে একটি প্রতারক চক্র ২১টি ভুয়া সঞ্চয়পত্র তৈরি করে এর বিপরীতে এবি ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে আট কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার তৎকালীন ম্যানেজার জড়িত ছিল।’

উক্ত দম্পতি জালিয়াতি করে ঢাকায় একাধিক বাড়ি ও অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দম্পতির ব্যাংক হিসাবে জালিয়াতি করে উপার্জিত দুই কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছি। এছাড়াও তাদের নামে গুলশান-২ এ প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যে একটি ৯ তলা বাড়ি, একাধিক ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমির তথ্য পেয়েছি।’

তিনি জানান, ২০০৪ সালে এবি ব্যাংক থেকে এভাবে জালিয়াতি অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়। তবে তখন থেকে পালিয়ে ছিলেন মোস্তাক হাওলাদার। তখন ওই মামলায় তার সাজাও হয়েছে। এরপর থেকে সে পলাতক।

গত ১৬ বছরে সে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভারতে পালিয়ে ছিল। ২০১১ সালে গোপনে দেশে এসে আবার জালিয়াতি শুরু করে। ১৬ বছর ধরে পলাতক মোস্তাককে খুঁজছিল পুলিশ।

তিনি আরও জানান, ওই মামলায় এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি ব্রাঞ্চের তৎকালীন ম্যানেজার আসিরুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে তিনমাস কারাভোগ করেন তিনি। পরবর্তীতে সে জামিনে মুক্ত হলে হৃদরোগে মারা যান। তবে এর সঙ্গে ব্যাংকের আর কোনো কর্মকর্তা জড়িত আছে কি না? তা তদন্ত করে দেখছে সিআইডি।

ব্যাংক থেকে ভুয়া সঞ্চয়পত্র দিয়ে ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের এই ঘটনায় দুদক ২০০৪, ২০১১ ও ২০১৬ সালে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরা পশ্চিম ও মোহাম্মদপুর থানায় সাতটি মামলা দায়ের করে। মামলাগুলো সিআইডি তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।

সিআইডি জানিয়েছে, চক্রটির মূলহোতা একজন শিল্পপতি। তার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যবসা ছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই শিল্পপতির নাম গোপন রেখেছে সিআইডি। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে তারা। ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাৎ করে সে ব্যবসা করে শিল্পপতি হয়েছে। তার পরিচয় পেয়েছে সিআইডি। শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করা হবে।