ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সুনামগঞ্জে প্রবাসী সাংবাদিকের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা Logo নিজেই মাদকাসক্ত মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা; মাসে মাসোহারা আদায় ৭লাখ! Logo দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রকারী মাস্টারমাইন্ড সেচ্ছাসেবকলীগ নেত্রী ফাতেমা আক্তার শাপলা Logo ‘শেখ হাসিনা ও জিয়াউলের বিরুদ্ধে ২০০ গুমের প্রমাণ মিলেছে’ Logo দুর্নীতির ছায়ায় রাজউক ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান! Logo নিয়মিত চুমু খেলে মিলবে যে শারীরিক উপকার Logo প্রধান উপদেষ্টা কাতার যাচ্ছেন আজ, সফরসঙ্গী যারা Logo জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার দেয়া নির্বাচনী সময়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি Logo ডেসটিনি প্রতারক রফিকুল আমিনের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন




গৌরীপুরে খুনের মামলার আসামীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৯ ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

মজিবুর,ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সহনাটি ইউনিয়নে টেঙ্গাপাড়া গ্রামে তাঁতীলীগ নেতা ইদ্রিস আলী (৫০) খুনের মামলার আসামীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার (১৩ জানুয়ারী) রাত ১১ টায় এ খুনের মামলার মূল আসামী প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরসহ (৪৭) অপর আসামীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। তবে আসামী পক্ষের লোকজনের অভিযোগ মামলার বাদী পক্ষের লোকজন এ অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মাধ্যমে তাদের প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছেন।


সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, হত্যা মামলার আসামী আব্দুল কাদির ও তার ভাতিজা আল আমিনের (২৫) ৩টি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার অপর আসামীদের ঘরের সম্পূর্ণ মালামাল ও গরু-ছাগল লুট করা হয়েছে।

নিহত ইদ্রিস আলীর ভাতিজা কবির আহমেদ কাজল (২১) জানান, তার চাচা শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঙ্গে ২ জানুয়ারী সকাল ১০ টায় বাড়ির পাশে আলু চাষ নিয়ে মৃত আলী হোসেনের ছেলে প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরের বাক-বিতন্ডা হয়। এর জের ধরে পরদিন ভোরে আব্দুল কাদির গংরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে অতর্কিতে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তিনিসহ তার বাবা হাদিস মিয়া (৬৫), চাচা ইদ্রিস আলী (৫০), আজিজুল হাকিম (৩৫) কে কুপিয়ে ও পিঠিয়ে মারাত্মক রক্তাত্ব জখম করা হয়। তিনিসহ আহত তিন চাচাকে ওই দিনই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারী) দিনগত রাত পৌনে ২ টায় তার চাচা ইদ্রিস আলী মারা যান।

নিহত ইদ্রিস আলীর ভাই আজিজুল হাকিম জানান, আসামী পক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার সাথে তারা জড়িত নন। আসামী পক্ষের লোকজন তাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে ষড়যন্ত্রমূলক নিজেদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী রুমেলা খাতুন (৫৫), মৃত আব্দুল আলীর ছেলে বাচ্চু মিয়া (৪০), মৃত বাবর আলীর ছেলে দুলাল মিয়া (৪৫) জানান, রোববার রাত ১১টায় আব্দুল কাদিরের নারী-পুরুষ শূণ্য বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখেন। এসময় তারা প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় উক্ত আগুন নিভান।

স্থানীয় লোকজন জানান, ইদ্রিস আলীর মৃত্যুর খবর শুনার পর থেকে আব্দুল কাদিরসহ অপর আসামীরা বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করে। এরপর থেকে দুর্বৃত্তরা পিকআপ ভ্যানের মাধ্যমে তাদের বাড়ি ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যেতে শুনেছেন।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নিহতের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম ফারুক (৪৫) বাদী হয়ে নাম উল্লেখসহ ১৮ জন ও অজ্ঞাত ৬ জনকে আসামী করে গৌরীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার আসামী আব্দুল কাদিরের স্ত্রী রোজিনা (৩৫) ও ভাতিজা আল মামুন (২৫) কে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, আসামী পক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় এ পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




গৌরীপুরে খুনের মামলার আসামীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট

আপডেট সময় : ১১:০৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৯

মজিবুর,ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সহনাটি ইউনিয়নে টেঙ্গাপাড়া গ্রামে তাঁতীলীগ নেতা ইদ্রিস আলী (৫০) খুনের মামলার আসামীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার (১৩ জানুয়ারী) রাত ১১ টায় এ খুনের মামলার মূল আসামী প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরসহ (৪৭) অপর আসামীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। তবে আসামী পক্ষের লোকজনের অভিযোগ মামলার বাদী পক্ষের লোকজন এ অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মাধ্যমে তাদের প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছেন।


সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, হত্যা মামলার আসামী আব্দুল কাদির ও তার ভাতিজা আল আমিনের (২৫) ৩টি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার অপর আসামীদের ঘরের সম্পূর্ণ মালামাল ও গরু-ছাগল লুট করা হয়েছে।

নিহত ইদ্রিস আলীর ভাতিজা কবির আহমেদ কাজল (২১) জানান, তার চাচা শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঙ্গে ২ জানুয়ারী সকাল ১০ টায় বাড়ির পাশে আলু চাষ নিয়ে মৃত আলী হোসেনের ছেলে প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরের বাক-বিতন্ডা হয়। এর জের ধরে পরদিন ভোরে আব্দুল কাদির গংরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে অতর্কিতে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তিনিসহ তার বাবা হাদিস মিয়া (৬৫), চাচা ইদ্রিস আলী (৫০), আজিজুল হাকিম (৩৫) কে কুপিয়ে ও পিঠিয়ে মারাত্মক রক্তাত্ব জখম করা হয়। তিনিসহ আহত তিন চাচাকে ওই দিনই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারী) দিনগত রাত পৌনে ২ টায় তার চাচা ইদ্রিস আলী মারা যান।

নিহত ইদ্রিস আলীর ভাই আজিজুল হাকিম জানান, আসামী পক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার সাথে তারা জড়িত নন। আসামী পক্ষের লোকজন তাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে ষড়যন্ত্রমূলক নিজেদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী রুমেলা খাতুন (৫৫), মৃত আব্দুল আলীর ছেলে বাচ্চু মিয়া (৪০), মৃত বাবর আলীর ছেলে দুলাল মিয়া (৪৫) জানান, রোববার রাত ১১টায় আব্দুল কাদিরের নারী-পুরুষ শূণ্য বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখেন। এসময় তারা প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় উক্ত আগুন নিভান।

স্থানীয় লোকজন জানান, ইদ্রিস আলীর মৃত্যুর খবর শুনার পর থেকে আব্দুল কাদিরসহ অপর আসামীরা বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করে। এরপর থেকে দুর্বৃত্তরা পিকআপ ভ্যানের মাধ্যমে তাদের বাড়ি ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যেতে শুনেছেন।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নিহতের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম ফারুক (৪৫) বাদী হয়ে নাম উল্লেখসহ ১৮ জন ও অজ্ঞাত ৬ জনকে আসামী করে গৌরীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার আসামী আব্দুল কাদিরের স্ত্রী রোজিনা (৩৫) ও ভাতিজা আল মামুন (২৫) কে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, আসামী পক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় এ পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।